হাওর বার্তা ডেস্কঃ সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় এবং পর্যবেক্ষণ লেখা নিয়ে বিচার বিভাগ ও নির্বাহী বিভাগ মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বিরুদ্ধে আক্রমণাত্নক বক্তব্য, পদত্যাগের জন্য আল্টিমেটাম ছাড়াও নানা আলোচনায় সরগরম সারাদেশ। রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তুলকালাম চলছে। এরই মধ্যে প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগ নিয়ে তদন্ত শুরু করতে চায় সরকার। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে তাকে চাপে রেখেই মেয়াদ শেষ করতে চায়। এই তদন্ত চাপেরই একটি অংশ বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ নিয়ে তদন্ত হবে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- ১. যুদ্ধাপরাধে দণ্ডিত একজন আসামির ডেথ রেফারেন্স আপিল বিভাগে বিচারাধীন থাকা অবস্থায়, দণ্ডিত ব্যক্তির পরিবারের সঙ্গে ‘বৈঠক’। সরকার মনে করছে, এর মাধ্যমে তিনি বিচারপতিদের যে আচরণবিধি তা লঙ্ঘন করেছেন। ডেথ রেফারেন্স বিচারাধীন থাকা অবস্থায় আসামি পক্ষের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ গুরুতর অসদাচারণ বলে সরকার মনে করছে।
২. একজন আবেদকারীর অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগের বেঞ্চ পরিবর্তন। ওই আবেদনকারী প্রধান বিচারপতিকে অনুরোধ করেন যে, বাড়ি সংক্রান্ত তাঁর মামলার শুনানির জন্য যেন একজন নির্দিষ্ট বিচারপতিকে বেঞ্চে না রাখেন। কোর্টের বাইরে এ ধরনের অভিযোগ পক্ষপাতপূর্ণ এবং তা অসদাচারণের পর্যায়ে পড়ে। ওই আবেদনকারীর অনুরোধে তিনি বেঞ্চ পরিবর্তন করেন।
৩. প্রধান বিচারপতি থাকাকালীন সময়ে আদালতের বাইরে রাজনৈতিক এবং উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রদান যা একজন বিচারপতির আচরণের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। সরকার পক্ষ থেকে এধরনের একাধিক বক্তব্যের অডিও এবং ভিডিও সংগ্রহ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সংবিধানের ৯৬ (৬) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, এসব অভিযোগ সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের কাছে এলে, তারা এ বিষয়ে তদন্ত করবেন। সংবিধানে ৯৬ (৭) অনুযায়ী তদন্তের জন্য কাউন্সিল স্বীয় কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করবেন।