ঢাকা ০৮:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

২০২১ সালের মধ্যে করের আওতার ৫০ লাখ মানুষ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:০৫:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অগাস্ট ২০১৭
  • ৩৫২ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দেশের ৫০ লাখ মানুষকে ২০২১ সালের মধ্যে করের আওতার আনার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ জন্য উপজেলা পর্যায়ে কর অফিস স্থাপন এবং কর জরিপ বৃদ্ধি করা হচ্ছে। পাশাপাশি নতুন আয়কর আইন সহজ এবং যুগোপযোগি করার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

বর্তমানে দেশের প্রায় ৩০ লাখ মানুষের ইলেক্ট্রনিক কর সনাক্তকারী নম্বর বা ই-টিআইএন রয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী এনবিআরকে নতুন করে আরো ২০ লাখ মানুষকে করের আওতায় আনতে হবে।

এ প্রসঙ্গে এনবিআরের সদস্য আব্দুর রাজ্জাক গণমাধ্যমকে বলেন, আদর্শ কর ব্যবস্থায় কর বোঝার পরিবর্তে করজাল বিস্তৃত হয়। আমরা সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের আগেই ৫০ লাখ মানুষকে করের আওতায় আনার পরিকল্পনা নিয়েছি। এ জন্য প্রতিবছর সাত থেকে আট হাজার মানুষকে নতুন করে করের আওতায় আনার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি।

তিনি বলেন, আমাদের কর-জিডিপির অনুপাত হতাশাজনক। দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নের স্বার্থে এই অবস্থার পরিবর্তন হওয়া জরুরী। এজন্য রাজস্ব আইন যুগোপযোগি করার পাশাপাশি প্রশাসনিক ব্যবস্থাও ঢেলে সাজানো হচ্ছে।

এনবিআরের এই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, করদাতার সংখ্যা বাড়াতে ন্যূনতম কর দিতে সক্ষম এমন ব্যক্তিদের খুঁজে বের করতে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কারণ কর দিতে সক্ষম এমন অনেকেই এখনো করের বাইরে রয়ে গেছে। উল্লেখ্য, দেশে বর্তমানে প্রায় ৩০ লাখ ই-টিআইএনধারী থাকলেও করদাতার সংখ্যা মাত্র ১২ লাখ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

২০২১ সালের মধ্যে করের আওতার ৫০ লাখ মানুষ

আপডেট টাইম : ০৫:০৫:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অগাস্ট ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দেশের ৫০ লাখ মানুষকে ২০২১ সালের মধ্যে করের আওতার আনার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ জন্য উপজেলা পর্যায়ে কর অফিস স্থাপন এবং কর জরিপ বৃদ্ধি করা হচ্ছে। পাশাপাশি নতুন আয়কর আইন সহজ এবং যুগোপযোগি করার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

বর্তমানে দেশের প্রায় ৩০ লাখ মানুষের ইলেক্ট্রনিক কর সনাক্তকারী নম্বর বা ই-টিআইএন রয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী এনবিআরকে নতুন করে আরো ২০ লাখ মানুষকে করের আওতায় আনতে হবে।

এ প্রসঙ্গে এনবিআরের সদস্য আব্দুর রাজ্জাক গণমাধ্যমকে বলেন, আদর্শ কর ব্যবস্থায় কর বোঝার পরিবর্তে করজাল বিস্তৃত হয়। আমরা সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের আগেই ৫০ লাখ মানুষকে করের আওতায় আনার পরিকল্পনা নিয়েছি। এ জন্য প্রতিবছর সাত থেকে আট হাজার মানুষকে নতুন করে করের আওতায় আনার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি।

তিনি বলেন, আমাদের কর-জিডিপির অনুপাত হতাশাজনক। দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নের স্বার্থে এই অবস্থার পরিবর্তন হওয়া জরুরী। এজন্য রাজস্ব আইন যুগোপযোগি করার পাশাপাশি প্রশাসনিক ব্যবস্থাও ঢেলে সাজানো হচ্ছে।

এনবিআরের এই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, করদাতার সংখ্যা বাড়াতে ন্যূনতম কর দিতে সক্ষম এমন ব্যক্তিদের খুঁজে বের করতে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কারণ কর দিতে সক্ষম এমন অনেকেই এখনো করের বাইরে রয়ে গেছে। উল্লেখ্য, দেশে বর্তমানে প্রায় ৩০ লাখ ই-টিআইএনধারী থাকলেও করদাতার সংখ্যা মাত্র ১২ লাখ।