ঢাকা ০২:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জাতির পিতার অবদান অস্বীকার করার সুযোগ নেই

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:৫৫:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ অগাস্ট ২০১৭
  • ৩৪৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ  জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া বলেছেন, যারা জাতির পিতার অবদানকে অস্বীকার করে, তারা বাংলাদেশ বাঙালি জাতি ও স্বাধীনতাকে অস্বীকার করে। জাতির পিতার জন্ম না হলে এ বাংলাদেশ নামক স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম হত না। বাংলাদেশ না হলে দেশের কোন গুরুত্বপূর্ণ পদে কোন বাঙালি আসীন হতে পারতেন না।

আজ বুধবার সংসদ ভবনের এলডি হল প্রাঙ্গণে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোকদিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ডেপুটি স্পিকার এসব কথা বলেন। শেরে বাংলানগর গণপূর্ত ঠিকাদার ব্যবসায়ী কো-অপারেটিভ লিঃ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

মো. ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ শুধু একটি রাজনৈতিক দল নয়, একটি ইতিহাস। বঙ্গবন্ধুও তেমনি শুধু একটি নাম নয়, একটি ইতিহাস, একটি আন্দোলন, একটি স্বাধীন বাংলাদেশ। জীবনের চৌদ্দটি বছর তিনি কারাবরণ করেছেন উল্লেখ করে ডেপুটি স্পিকার বলেন, দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু গোটা বাঙালি জাতিকে একত্রিত করতে পেরেছিলেন। ৭ মার্চে রেসকোর্স ময়দানে ঐতিহাসিক ভাষণের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। তাঁর আহবানে সাড়া দিয়ে বাঙালি জাতি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয় এটাই ঐতিহাসিক সত্য।

ডেপুটি স্পিকার ষোড়শ সংশোধনী এ্যপিলেট ডিভিশনের দেয়া রায়ে কিছু অপ্রাসঙ্গিক বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, সংসদ যদি অকার্যকর হয়, সংসদ সদস্যরা যদি অদক্ষ হন, তাহলে এই সংসদই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করেছেন এবং সেই রাষ্ট্রপতিই প্রধান বিচারপতিসহ অন্যান্য বিচারপতি নিয়োগ দিয়েছেন। তাদের (বিচারক) নিয়োগের বিষয়ে তো তাদের কোন প্রশ্ন নেই। এই সংসদই বিচারকদের বেতন-ভাতাসহ অন্যাান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করেছে, সেটি গ্রহণ করার ক্ষেত্রেও তো তাদের কোন দ্বিমত আমরা লক্ষ্য করিনি। কিন্তু যখন ৭২ এর মূল সংবিধানে ফিরে যেতে সরকার ষোড়শ সংশোধী বিল আনল এবং সংসদ সেটি পাশ করল ঠিক তখনই সংসদ ও সরকার বিচার বিভাগের বিরাগভাজন হয়ে পড়ল।

ডেপুটি স্পিকার বলেন, একজন এমিক্যাস কিউরি যিনি বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সভাপতি ছিলেন তিনিই আজ ৭২ এর সংবিধান পরিপন্থি কথা বলছেন। অনেকটা নিজেই নিজের সন্তানকে হত্যা করার মত কাজে লিপ্ত হয়েছেন। তার কাছ থেকে এমন স্ববিরোধী কথাবার্তা জাতি আশা করেনি।

তিনি বলেন, দেশের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে একধরণের ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। এসময় তিনি আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে এ ষড়যন্ত্রের মোকাবেলা করার আহ্বান জানান।

আয়োজোক সংগঠনের সভাপতি মো. আবু দায়েন মীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক মো. আমিনুল ইসলাম, ডিএনসিসি’র কাউন্সিলর ফরিদুর রহমান খান ইরান, শেরে বাংলানগর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ছাব্বির হোসেন মাছুদ, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. খুরশিদুর রহমান প্রমুখ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জাতির পিতার অবদান অস্বীকার করার সুযোগ নেই

আপডেট টাইম : ০৯:৫৫:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ অগাস্ট ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ  জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া বলেছেন, যারা জাতির পিতার অবদানকে অস্বীকার করে, তারা বাংলাদেশ বাঙালি জাতি ও স্বাধীনতাকে অস্বীকার করে। জাতির পিতার জন্ম না হলে এ বাংলাদেশ নামক স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম হত না। বাংলাদেশ না হলে দেশের কোন গুরুত্বপূর্ণ পদে কোন বাঙালি আসীন হতে পারতেন না।

আজ বুধবার সংসদ ভবনের এলডি হল প্রাঙ্গণে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোকদিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ডেপুটি স্পিকার এসব কথা বলেন। শেরে বাংলানগর গণপূর্ত ঠিকাদার ব্যবসায়ী কো-অপারেটিভ লিঃ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

মো. ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ শুধু একটি রাজনৈতিক দল নয়, একটি ইতিহাস। বঙ্গবন্ধুও তেমনি শুধু একটি নাম নয়, একটি ইতিহাস, একটি আন্দোলন, একটি স্বাধীন বাংলাদেশ। জীবনের চৌদ্দটি বছর তিনি কারাবরণ করেছেন উল্লেখ করে ডেপুটি স্পিকার বলেন, দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু গোটা বাঙালি জাতিকে একত্রিত করতে পেরেছিলেন। ৭ মার্চে রেসকোর্স ময়দানে ঐতিহাসিক ভাষণের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। তাঁর আহবানে সাড়া দিয়ে বাঙালি জাতি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয় এটাই ঐতিহাসিক সত্য।

ডেপুটি স্পিকার ষোড়শ সংশোধনী এ্যপিলেট ডিভিশনের দেয়া রায়ে কিছু অপ্রাসঙ্গিক বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, সংসদ যদি অকার্যকর হয়, সংসদ সদস্যরা যদি অদক্ষ হন, তাহলে এই সংসদই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করেছেন এবং সেই রাষ্ট্রপতিই প্রধান বিচারপতিসহ অন্যান্য বিচারপতি নিয়োগ দিয়েছেন। তাদের (বিচারক) নিয়োগের বিষয়ে তো তাদের কোন প্রশ্ন নেই। এই সংসদই বিচারকদের বেতন-ভাতাসহ অন্যাান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করেছে, সেটি গ্রহণ করার ক্ষেত্রেও তো তাদের কোন দ্বিমত আমরা লক্ষ্য করিনি। কিন্তু যখন ৭২ এর মূল সংবিধানে ফিরে যেতে সরকার ষোড়শ সংশোধী বিল আনল এবং সংসদ সেটি পাশ করল ঠিক তখনই সংসদ ও সরকার বিচার বিভাগের বিরাগভাজন হয়ে পড়ল।

ডেপুটি স্পিকার বলেন, একজন এমিক্যাস কিউরি যিনি বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সভাপতি ছিলেন তিনিই আজ ৭২ এর সংবিধান পরিপন্থি কথা বলছেন। অনেকটা নিজেই নিজের সন্তানকে হত্যা করার মত কাজে লিপ্ত হয়েছেন। তার কাছ থেকে এমন স্ববিরোধী কথাবার্তা জাতি আশা করেনি।

তিনি বলেন, দেশের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে একধরণের ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। এসময় তিনি আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে এ ষড়যন্ত্রের মোকাবেলা করার আহ্বান জানান।

আয়োজোক সংগঠনের সভাপতি মো. আবু দায়েন মীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক মো. আমিনুল ইসলাম, ডিএনসিসি’র কাউন্সিলর ফরিদুর রহমান খান ইরান, শেরে বাংলানগর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ছাব্বির হোসেন মাছুদ, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. খুরশিদুর রহমান প্রমুখ।