হাওর বার্তা ডেস্কঃ চলতি বন্যায় টাঙ্গাইলের ১০টি উপজেলায় রোপা আমন, বোনা আমন ও কালিজিরা ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এ ক্ষতি কাটিয়ে উঠেতে এবং ধান আবাদের লক্ষমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে কৃষি বিভাগের পরামর্শে কৃষকরা বাড়ি উঠান ও উচু জায়গায় তৈরী করে রেখেছেন বীজতলা। জমি থেকে বন্যার পানি নেমে গেলেই কৃষকরা পুনঃরায় নতন করে ধানের চারা লাগাবেন।
উজানের ঢল ও টানা বৃষ্টিপাতের কারনে টাঙ্গাইলের ১০টি উপজেলা গত কয়েকদিন আগে বন্যার কবলে পরে। যা এখনও অব্যাহত। মহুর্তের মধ্যে বন্যার পানিতে তলিয়ে যায় কৃষকের ফসলী জমি।
এতে, সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হয় ব্রীধান ৪৯, বিআর১১ ও বিনাশাইল আগাম জাতের রোপা আমন, বোনা আমন ও সুগন্ধী ধানের। সদ্য লাগানো ধানের চারা বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পরেন কৃষকরা। স্থানীয় কৃষি বিভাগও চিন্তিত হয়ে পরে ধানের লক্ষমাত্রা অর্জন নিয়ে। পরে কৃষি বিভাগ কৃষকদের পরামর্শ দেন বাড়ির উঠান ও উচু স্থানে বীজতলা তৈরীর।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার দাইন্যা ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ ওসমান গনী জানান, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হয় নিজেদের বাড়ির উঠান ও উচু স্থানে ব্রীধান ৪৬, বিআর ২২ ও কালিজিরার লেট জাতের ধানের বীজতলা তৈরীর।
এজাতের ধান দেরীতে রোপন করলেও অল্প সময়েই ফসল ঘরে তোলা যায়। ব্যাতিক্রমী এ পরামর্শ পেয়ে প্রান ফিরে পান কৃষকরা। তারা বুকে আশা বেধে নিজেদের বাড়ির উঠান ও উচু স্থানে তৈরী করে ফেলেন বীজতলা।
স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তাদের সার্বিক সহযোগিতায় দ্রুত বেড়ে উঠছে এসব বীজতলা। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে কৃষকরা আবারো নেমে পরবেন ধান আবাদে।
বন্যার পানি নেমে যাবার পর কৃষকরা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পুরোদামে লেগে পরবেন নতুন করে ধান আবাদে। সরকারি কৃষকদের সারসহ অন্যান্য উপকরন বিনামুল্যে সরবরাহ করা হলেই কৃষকরা সফলতা পাবে। এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্ঠরা।