ঢাকা ০৮:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৪২৮ চালকল কালো তালিকাভুক্ত

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:০৭:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অগাস্ট ২০১৭
  • ২৬৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ঝিনাইদহ জেলায় চলতি বোরো সংগ্রহ অভিযানে খাদ্য বিভাগের সঙ্গে চাল সরবরাহের চুক্তি না করায় ৪২৮ চালকলকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। সরকারের সংগ্রহ মূল্যের চেয়ে খোলা বাজারে ধান চালের দাম বেশি থাকায় এ জেলায় সরকারের চাল সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত নাও হতে পারে।

জেলা খাদ্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, ঝিনাইদহ জেলায় ৪৮৬টি চালকল আছে। এর মধ্যে ৫৮টি চালকল সরকারের চাল ক্রয় কেন্দ্রগুলোতে চাল সরবরাহের জন্য চুক্তি করেছে। বাকি ৪২৮টি চালকল কোনো চুক্তি করেনি।

অন্য বছর সংগ্রহ মূল্যের চেয়ে খোলা বাজারে চালের দাম কম থাকায় চালকল মালিকেরা চাল সরবরাহের চুক্তি করার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ত। এবার ক্রয় কেন্দ্রলোতে তাদের দেখা যাচ্ছে না। মিলের লাইসেন্স রক্ষার জন্য কেউ কেউ চুক্তি করেছে।

এবার চালের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতিকেজি ৩৪ টাকা। জেলার কোথাও ৩৪ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি হচ্ছে না। চালের দাম কেজিতে দেড় দুই টাকা কমার পর স্থির আছে। আদ্রতাযুক্ত মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৩৭/৩৮ টাকা কেজি দরে। আর ক্রয় কেন্দ্রেগুলোতে আদ্রতা যুক্ত চাল কেনা হয় না।

আদ্রতা মুক্ত প্রতিকেজি মোটা চাল ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এতে কেজিপ্রতি ৫-৬ টাকা করে লোকসান হবে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন মিল মালিক জানান। লাইসেন্স বাঁচাতে ১০ টন চাল সরবরাহের চুক্তি করেছেন। এতে তার প্রায় লাখ টাকা লোকসান হবে জানান।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. বাবুল হোসেন জানান, এবার ঝিনাইদহ জেলায় ১০ হাজার ৬৮৮ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। সোমবার পর্যন্ত দুই হাজার টন চাল সংগ্রহ হয়েছে। সংগ্রহ অভিযান ৩১ আগস্ট পর্যন্ত চলবে।

তিনি আরো জানান, যে সব চালকল মালিক সরকারের সঙ্গে চাল সরবরাহের চুক্তি করেননি, তাদের কালো তালিকাভুক্ত করা সিদ্ধান্ত নিয়েছে খাদ্য অধিদপ্তর।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

৪২৮ চালকল কালো তালিকাভুক্ত

আপডেট টাইম : ০৫:০৭:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অগাস্ট ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ঝিনাইদহ জেলায় চলতি বোরো সংগ্রহ অভিযানে খাদ্য বিভাগের সঙ্গে চাল সরবরাহের চুক্তি না করায় ৪২৮ চালকলকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। সরকারের সংগ্রহ মূল্যের চেয়ে খোলা বাজারে ধান চালের দাম বেশি থাকায় এ জেলায় সরকারের চাল সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত নাও হতে পারে।

জেলা খাদ্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, ঝিনাইদহ জেলায় ৪৮৬টি চালকল আছে। এর মধ্যে ৫৮টি চালকল সরকারের চাল ক্রয় কেন্দ্রগুলোতে চাল সরবরাহের জন্য চুক্তি করেছে। বাকি ৪২৮টি চালকল কোনো চুক্তি করেনি।

অন্য বছর সংগ্রহ মূল্যের চেয়ে খোলা বাজারে চালের দাম কম থাকায় চালকল মালিকেরা চাল সরবরাহের চুক্তি করার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ত। এবার ক্রয় কেন্দ্রলোতে তাদের দেখা যাচ্ছে না। মিলের লাইসেন্স রক্ষার জন্য কেউ কেউ চুক্তি করেছে।

এবার চালের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতিকেজি ৩৪ টাকা। জেলার কোথাও ৩৪ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি হচ্ছে না। চালের দাম কেজিতে দেড় দুই টাকা কমার পর স্থির আছে। আদ্রতাযুক্ত মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৩৭/৩৮ টাকা কেজি দরে। আর ক্রয় কেন্দ্রেগুলোতে আদ্রতা যুক্ত চাল কেনা হয় না।

আদ্রতা মুক্ত প্রতিকেজি মোটা চাল ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এতে কেজিপ্রতি ৫-৬ টাকা করে লোকসান হবে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন মিল মালিক জানান। লাইসেন্স বাঁচাতে ১০ টন চাল সরবরাহের চুক্তি করেছেন। এতে তার প্রায় লাখ টাকা লোকসান হবে জানান।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. বাবুল হোসেন জানান, এবার ঝিনাইদহ জেলায় ১০ হাজার ৬৮৮ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। সোমবার পর্যন্ত দুই হাজার টন চাল সংগ্রহ হয়েছে। সংগ্রহ অভিযান ৩১ আগস্ট পর্যন্ত চলবে।

তিনি আরো জানান, যে সব চালকল মালিক সরকারের সঙ্গে চাল সরবরাহের চুক্তি করেননি, তাদের কালো তালিকাভুক্ত করা সিদ্ধান্ত নিয়েছে খাদ্য অধিদপ্তর।