ঢাকা ০৮:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জয়পুরহাটে বিভিন্ন সবজির বাম্পার ফলন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:৫৬:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ অগাস্ট ২০১৭
  • ২৫৪ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ জয়পুরহাটে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে সবজি উৎপাদন হয়েছে ১১ লাখ ৩৪ হাজার ৯৪৯ মেট্রিক টন। যা জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের অন্যান্য জেলায় সরবরাহ করা সম্ভব হয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, জয়পুরহাটের মাটি সবজি চাষের জন্য বেশ উপযোগী। সব ধরনের সবজির উৎপাদন এখানে ভাল হয়ে থাকে। স্থানীয় কৃষি বিভাগ সবজি চাষে ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করে এ জেলায়। ব্যাপক হারে সবজি উৎপাদনে কৃষক পর্যায়ে উন্নত মানের বীজ সরবরাহ এবং প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। ফলে জেলায় ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার অতিরিক্ত সবজির উৎপাদন হয়েছে।

চাষ হওয়া সবজির নাম, জমির পরিমাণ ও উৎপাদনের মধ্যে রয়েছে বেগুন ৫৯৫ হেক্টর, উৎপাদন হয়েছে ১৭ হাজার ৮৭১ মে. টন, টমেটো ৩৯৫ হেক্টর, উৎপাদন ১১ হাজার ৪৫৫ মে. টন, শিম ৪৯০ হেক্টর, উৎপাদন ৬ হাজার ৩৭০ মে. টন, ফুলকপি ৫৫০ হেক্টর, উৎপাদন ১৩ হাজার ২০০ মে. টন, বাঁধাকপি ৫০০ হেক্টর, উৎপাদন ২৭ হাজার ৫০০ মে.টন, মূলা ৪৭৫ হেক্টর, উৎপাদন ১৯ হাজার ৯৫০ মে.টন, লাউ ৩২০ হেক্টর, উৎপাদন ৮ হাজার মে.টন, চালকুমড়া ৪০ হেক্টর, উৎপাদন ৮শ’ মে.টন, মিষ্টিকুমড়া ৩৮০ হেক্টর, উৎপাদন ৪ হাজার ৯৪০ মে.টন, পটল ৪৬৫ হেক্টর, উৎপাদন ১১ হাজার ৬২৫ মে.টন, বরবটি ২৫ হেক্টর, উৎপাদন ২৭৫ মে.টন, শসা ২১০ হেক্টর, উৎপাদন ২ হাজার ৫২০ মে.টন, ঝিঙ্গা ৭৫ হেক্টর, উৎপাদন ৬৭৫ মে.টন, ডাটা ১৫৫ হেক্টর, উৎপাদন ৪ হাজার ৩০ হেক্টর, গোল আলু ৪২ হাজার ৫৩০ হেক্টর, উৎপাদন ৯ লাখ ৬৯ হাজার ৪৮৮ মে. টন এবং লতিরাজ কচু ১ হাজার ২৫০ হেক্টর, উৎপাদন হয়েছে ৩৬ হাজার ২৫০ মেট্রিক টন।

জেলায় ৫ হাজার হেক্টর লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে সবজির চাষ হয়েছে ৫ হাজার ৯২৫ হেক্টর জমিতে এবং ৪২ হাজার ৫৩০ হেক্টর জমিতে এবার আলুর চাষ হয়। ফলে জেলায় উৎপাদিত অতিরিক্ত সবজি বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়ে থাকে।

কৃষি বিভাগ জানায়, গত কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে বর্তমানে জমিতে থাকা প্রায় ৬শ’ হেক্টর জমির সবজি ফসল নষ্ট হয়েছে। এ ক্ষতি পূরণের জন্য জেলার পাঁচ উপজেলাতেই এক লাখ টাকার বিভিন্ন সবজির বীজ বিতরণ করা হবে বলে জানান জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুধেন্দ্রনাথ রায়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জয়পুরহাটে বিভিন্ন সবজির বাম্পার ফলন

আপডেট টাইম : ০৭:৫৬:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ অগাস্ট ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ জয়পুরহাটে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে সবজি উৎপাদন হয়েছে ১১ লাখ ৩৪ হাজার ৯৪৯ মেট্রিক টন। যা জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের অন্যান্য জেলায় সরবরাহ করা সম্ভব হয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, জয়পুরহাটের মাটি সবজি চাষের জন্য বেশ উপযোগী। সব ধরনের সবজির উৎপাদন এখানে ভাল হয়ে থাকে। স্থানীয় কৃষি বিভাগ সবজি চাষে ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করে এ জেলায়। ব্যাপক হারে সবজি উৎপাদনে কৃষক পর্যায়ে উন্নত মানের বীজ সরবরাহ এবং প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। ফলে জেলায় ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার অতিরিক্ত সবজির উৎপাদন হয়েছে।

চাষ হওয়া সবজির নাম, জমির পরিমাণ ও উৎপাদনের মধ্যে রয়েছে বেগুন ৫৯৫ হেক্টর, উৎপাদন হয়েছে ১৭ হাজার ৮৭১ মে. টন, টমেটো ৩৯৫ হেক্টর, উৎপাদন ১১ হাজার ৪৫৫ মে. টন, শিম ৪৯০ হেক্টর, উৎপাদন ৬ হাজার ৩৭০ মে. টন, ফুলকপি ৫৫০ হেক্টর, উৎপাদন ১৩ হাজার ২০০ মে. টন, বাঁধাকপি ৫০০ হেক্টর, উৎপাদন ২৭ হাজার ৫০০ মে.টন, মূলা ৪৭৫ হেক্টর, উৎপাদন ১৯ হাজার ৯৫০ মে.টন, লাউ ৩২০ হেক্টর, উৎপাদন ৮ হাজার মে.টন, চালকুমড়া ৪০ হেক্টর, উৎপাদন ৮শ’ মে.টন, মিষ্টিকুমড়া ৩৮০ হেক্টর, উৎপাদন ৪ হাজার ৯৪০ মে.টন, পটল ৪৬৫ হেক্টর, উৎপাদন ১১ হাজার ৬২৫ মে.টন, বরবটি ২৫ হেক্টর, উৎপাদন ২৭৫ মে.টন, শসা ২১০ হেক্টর, উৎপাদন ২ হাজার ৫২০ মে.টন, ঝিঙ্গা ৭৫ হেক্টর, উৎপাদন ৬৭৫ মে.টন, ডাটা ১৫৫ হেক্টর, উৎপাদন ৪ হাজার ৩০ হেক্টর, গোল আলু ৪২ হাজার ৫৩০ হেক্টর, উৎপাদন ৯ লাখ ৬৯ হাজার ৪৮৮ মে. টন এবং লতিরাজ কচু ১ হাজার ২৫০ হেক্টর, উৎপাদন হয়েছে ৩৬ হাজার ২৫০ মেট্রিক টন।

জেলায় ৫ হাজার হেক্টর লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে সবজির চাষ হয়েছে ৫ হাজার ৯২৫ হেক্টর জমিতে এবং ৪২ হাজার ৫৩০ হেক্টর জমিতে এবার আলুর চাষ হয়। ফলে জেলায় উৎপাদিত অতিরিক্ত সবজি বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়ে থাকে।

কৃষি বিভাগ জানায়, গত কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে বর্তমানে জমিতে থাকা প্রায় ৬শ’ হেক্টর জমির সবজি ফসল নষ্ট হয়েছে। এ ক্ষতি পূরণের জন্য জেলার পাঁচ উপজেলাতেই এক লাখ টাকার বিভিন্ন সবজির বীজ বিতরণ করা হবে বলে জানান জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুধেন্দ্রনাথ রায়।