ঢাকা ০৮:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উত্তরে বিশুদ্ধ পানির সংকট

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৩:১১:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অগাস্ট ২০১৭
  • ২১৩ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করায় উত্তরাঞ্চলে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির খানিকটা উন্নতি হয়েছে। তবে দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও জ্বালানি সংকট। পেটের পীড়াসহ নানা রোগবালাই দেখা দিয়েছে। বন্যার্তরা বলছে ত্রাণ চাই না, চাই বিশুদ্ধ পানি ও ওষুধ। এদিকে বন্যার কারণে কুড়িগ্রামে ১ হাজার ২৩৩টি ও মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর ব্যতীত সব উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ীর মিল্কভিটা এলাকায় গোখাদ্যের চরম সংকট দেখা দিয়েছে। তাছাড়া নাটোরের সিংড়া উপজেলায় আত্রাই নদীর পানি শনিবার বিপদসীমার ৭১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নতুন করে সিংড়া পৌর শহরের বাজার এলাকা ও পল্লী বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র হুমকির মুখে পড়েছে। এদিকে দেশের মধ্যাঞ্চলে বিভিন্ন নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ফরিদপুর ও মাদারীপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে লাখো মানুষ। বিস্তারিত সংবাদদাতাদের খবরে-
কুড়িগ্রাম : বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শনসহ ৫ লাখ বানভাসির অবস্থা দেখতে আজ কুড়িগ্রামে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে জন্য চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। তিনি কুড়িগ্রামের বন্যাদুর্গত মানুষের দুঃখ-দুর্দশা তাদের সঙ্গে থেকে দেখবেন এবং বন্যাকবলিত মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করবেন। এদিকে বন্যাদুর্গত এলাকায় বিশুদ্ধ খাবার পানি ও খাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। সেই সঙ্গে গবাদি পশুর খাবার সংকটও তীব্র আকার ধারণ করেছে। প্রতিদিন ছড়িয়ে পড়ছে নানা পানিবাহিত রোগ। বানভাসি মানুষ ত্রাণের আশায় ছুটছে এখনও। সরকারি, বেসরকারি ত্রাণ তৎপরতা চললেও ৫ লক্ষাধিক দুর্গত মানুষের জন্য তা যথেষ্ট নয়। পানিতে তলিয়ে থাকা ৫০ হাজার হেক্টর জমির ফসল ও অর্ধশতাধিক পুকুরের মাছ বন্যার পানিতে ভেসে যাওয়ায় অপূরণীয় ক্ষতিতে আছেন এখানকার ৩ লক্ষাধিক কৃষক। পানিতে ডুবে ও  সাপের দংশনে মারা গেছেন প্রায় ১৮ জন। ৬ শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে এবং শনিবার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ হাজার ২৩৩টি প্রতিষ্ঠানের দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
ফরিদপুর : উত্তরাঞ্চলের পর দেশের মধ্যাঞ্চলে বিভিন্ন নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ফরিদপুরের সদর, চরভদ্রাসন ও সদরপুর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের দেড় শতাধিক গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। ওইসব এলাকার ৪৯টি বিভিন্ন স্তরের স্কুল ও মাদরাসা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
মাদারীপুর : ২৪ ঘণ্টায় পদ্মায় পানি বেড়ে বিপদসীমার ৩০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানির তোড়ে মাদারীপুর জেলার শিবচরের পদ্মাবেষ্টিত চরাঞ্চলের কাঁঠালবাড়ী ও চরজানাজাতে ব্যাপক নদীভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনের কবলে পড়েছে মাদরাসাসহ শতাধিক বাড়িঘর।
লালমনিরহাট : তিস্তা-ধরলা পাড়ের ২ লাখ মানুষ চরম  দুঃখ-দুদর্শার  মধ্যে দিন পার  করছেন। ধীরগতিতে  নামায়  এখনও পানিবন্দি জেলার  হাজার  হাজার পরিবার। দুর্গত এলাকায় দেখা  দিয়েছে তীব্র খাবার সংকট।
সিরাজগঞ্জ : সিরাজগঞ্জে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হলেও যমুনার শাখা নদী ফুলজোড়, করতোয়া, ইছামতি, দইভাঙা ও বড়াল নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। বন্যাকবলিত এলাকায় ২৮৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখনও বন্ধ রয়েছে।
নাটোর : সিংড়ার আত্রাই নদীর পানি শনিবার বিপদসীমার ৭১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নতুন করে সিংড়া পৌর শহরের বাজার এলাকা ও পল্লী বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র হুমকির মুখে পড়েছে। বন্যাদুর্গতদের জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৭টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। বন্যাদুর্গতদের জান-মাল রক্ষার্থে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বিভিন্ন এলাকায় ছুটে যাচ্ছেন।
পাবনা : জেলার প্রায় ৩০টি চরাঞ্চলের ২ শতাধিক গ্রাম বন্যাকবলিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন অন্তত ৩ লাখ মানুষ। এবারের আকস্মিক বন্যায় শত শত একর আউশ ধানের ক্ষেত ডুবে গেছে, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু রাস্তা ও ঘরবাড়ি, বিদ্যালয়, মসজিদ, মাদরাসা ও মন্দির। এসব এলাকায় বিশুদ্ধ খাবার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।
রংপুর : বন্যার পানি সরে যাওয়ার সঙ্গে বন্যাকবলিত দুর্গত এলাকাগুলোতে বিশুদ্ধ পানির চরম সংকট দেখা দিয়েছে। পেটের পীড়াসহ নানা রোগবালাই দেখা দিয়েছে। বন্যার্তরা ত্রাণ চায় না, চায় বিশুদ্ধ পানি ও ওষুধ।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ : গোমস্তাপুরে মহানন্দা ও পুনর্ভবা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় আটটি ইউনিয়নের মধ্যে সাতটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
নওগাঁ : ২৪ ঘণ্টায় নওগাঁ সদরে আরও নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
মানিকগঞ্জ : সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এতে জেলার শিবালয়, হরিরামপুর, ঘিওর, সাটুরিয়া, দৌলতপুরসহ ৫টি উপজেলার  হাজার হাজার  মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। বন্যার কারণে সিঙ্গাইর উপজেলা ব্যতীত মানিকগঞ্জের অন্য সব উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা ১৯ আগস্ট থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত স্থগিত করেছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়।
জামালপুর : জেলার বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের তেমন কোনো উন্নতি হয়নি। বন্যাকবলিত এলাকায় দেখা দিয়েছে পানিবাহিত নানা ধরনের রোগ।
গাইবান্ধা : সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। এরই মধ্যে শত শত একর ফসলি জমি ও অসংখ্য ঘরবাড়ি ডুবে গেছে।
শেরপুর : বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। বন্যার্তরা দিনব্যাপী নদীর তীরে এবং উঁচু স্থানে বা পানির মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকছে ত্রাণের আশায়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

উত্তরে বিশুদ্ধ পানির সংকট

আপডেট টাইম : ০৩:১১:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অগাস্ট ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করায় উত্তরাঞ্চলে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির খানিকটা উন্নতি হয়েছে। তবে দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও জ্বালানি সংকট। পেটের পীড়াসহ নানা রোগবালাই দেখা দিয়েছে। বন্যার্তরা বলছে ত্রাণ চাই না, চাই বিশুদ্ধ পানি ও ওষুধ। এদিকে বন্যার কারণে কুড়িগ্রামে ১ হাজার ২৩৩টি ও মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর ব্যতীত সব উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ীর মিল্কভিটা এলাকায় গোখাদ্যের চরম সংকট দেখা দিয়েছে। তাছাড়া নাটোরের সিংড়া উপজেলায় আত্রাই নদীর পানি শনিবার বিপদসীমার ৭১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নতুন করে সিংড়া পৌর শহরের বাজার এলাকা ও পল্লী বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র হুমকির মুখে পড়েছে। এদিকে দেশের মধ্যাঞ্চলে বিভিন্ন নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ফরিদপুর ও মাদারীপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে লাখো মানুষ। বিস্তারিত সংবাদদাতাদের খবরে-
কুড়িগ্রাম : বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শনসহ ৫ লাখ বানভাসির অবস্থা দেখতে আজ কুড়িগ্রামে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে জন্য চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। তিনি কুড়িগ্রামের বন্যাদুর্গত মানুষের দুঃখ-দুর্দশা তাদের সঙ্গে থেকে দেখবেন এবং বন্যাকবলিত মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করবেন। এদিকে বন্যাদুর্গত এলাকায় বিশুদ্ধ খাবার পানি ও খাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। সেই সঙ্গে গবাদি পশুর খাবার সংকটও তীব্র আকার ধারণ করেছে। প্রতিদিন ছড়িয়ে পড়ছে নানা পানিবাহিত রোগ। বানভাসি মানুষ ত্রাণের আশায় ছুটছে এখনও। সরকারি, বেসরকারি ত্রাণ তৎপরতা চললেও ৫ লক্ষাধিক দুর্গত মানুষের জন্য তা যথেষ্ট নয়। পানিতে তলিয়ে থাকা ৫০ হাজার হেক্টর জমির ফসল ও অর্ধশতাধিক পুকুরের মাছ বন্যার পানিতে ভেসে যাওয়ায় অপূরণীয় ক্ষতিতে আছেন এখানকার ৩ লক্ষাধিক কৃষক। পানিতে ডুবে ও  সাপের দংশনে মারা গেছেন প্রায় ১৮ জন। ৬ শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে এবং শনিবার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ হাজার ২৩৩টি প্রতিষ্ঠানের দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
ফরিদপুর : উত্তরাঞ্চলের পর দেশের মধ্যাঞ্চলে বিভিন্ন নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ফরিদপুরের সদর, চরভদ্রাসন ও সদরপুর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের দেড় শতাধিক গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। ওইসব এলাকার ৪৯টি বিভিন্ন স্তরের স্কুল ও মাদরাসা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
মাদারীপুর : ২৪ ঘণ্টায় পদ্মায় পানি বেড়ে বিপদসীমার ৩০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানির তোড়ে মাদারীপুর জেলার শিবচরের পদ্মাবেষ্টিত চরাঞ্চলের কাঁঠালবাড়ী ও চরজানাজাতে ব্যাপক নদীভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনের কবলে পড়েছে মাদরাসাসহ শতাধিক বাড়িঘর।
লালমনিরহাট : তিস্তা-ধরলা পাড়ের ২ লাখ মানুষ চরম  দুঃখ-দুদর্শার  মধ্যে দিন পার  করছেন। ধীরগতিতে  নামায়  এখনও পানিবন্দি জেলার  হাজার  হাজার পরিবার। দুর্গত এলাকায় দেখা  দিয়েছে তীব্র খাবার সংকট।
সিরাজগঞ্জ : সিরাজগঞ্জে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হলেও যমুনার শাখা নদী ফুলজোড়, করতোয়া, ইছামতি, দইভাঙা ও বড়াল নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। বন্যাকবলিত এলাকায় ২৮৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখনও বন্ধ রয়েছে।
নাটোর : সিংড়ার আত্রাই নদীর পানি শনিবার বিপদসীমার ৭১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নতুন করে সিংড়া পৌর শহরের বাজার এলাকা ও পল্লী বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র হুমকির মুখে পড়েছে। বন্যাদুর্গতদের জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৭টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। বন্যাদুর্গতদের জান-মাল রক্ষার্থে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বিভিন্ন এলাকায় ছুটে যাচ্ছেন।
পাবনা : জেলার প্রায় ৩০টি চরাঞ্চলের ২ শতাধিক গ্রাম বন্যাকবলিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন অন্তত ৩ লাখ মানুষ। এবারের আকস্মিক বন্যায় শত শত একর আউশ ধানের ক্ষেত ডুবে গেছে, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু রাস্তা ও ঘরবাড়ি, বিদ্যালয়, মসজিদ, মাদরাসা ও মন্দির। এসব এলাকায় বিশুদ্ধ খাবার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।
রংপুর : বন্যার পানি সরে যাওয়ার সঙ্গে বন্যাকবলিত দুর্গত এলাকাগুলোতে বিশুদ্ধ পানির চরম সংকট দেখা দিয়েছে। পেটের পীড়াসহ নানা রোগবালাই দেখা দিয়েছে। বন্যার্তরা ত্রাণ চায় না, চায় বিশুদ্ধ পানি ও ওষুধ।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ : গোমস্তাপুরে মহানন্দা ও পুনর্ভবা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় আটটি ইউনিয়নের মধ্যে সাতটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
নওগাঁ : ২৪ ঘণ্টায় নওগাঁ সদরে আরও নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
মানিকগঞ্জ : সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এতে জেলার শিবালয়, হরিরামপুর, ঘিওর, সাটুরিয়া, দৌলতপুরসহ ৫টি উপজেলার  হাজার হাজার  মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। বন্যার কারণে সিঙ্গাইর উপজেলা ব্যতীত মানিকগঞ্জের অন্য সব উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা ১৯ আগস্ট থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত স্থগিত করেছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়।
জামালপুর : জেলার বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের তেমন কোনো উন্নতি হয়নি। বন্যাকবলিত এলাকায় দেখা দিয়েছে পানিবাহিত নানা ধরনের রোগ।
গাইবান্ধা : সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। এরই মধ্যে শত শত একর ফসলি জমি ও অসংখ্য ঘরবাড়ি ডুবে গেছে।
শেরপুর : বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। বন্যার্তরা দিনব্যাপী নদীর তীরে এবং উঁচু স্থানে বা পানির মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকছে ত্রাণের আশায়।