ঢাকা ০৬:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশি মাছের বংশ বৃদ্ধি রক্ষায় অভয়াশ্রম

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:৩০:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অগাস্ট ২০১৭
  • ২৮৪ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মাছে-ভাতে বাঙালি’ আমাদের ঐতিহ্যবাহী পরিচয়। কিন্তু দিনদিন ফুরিয়ে যেতে বসেছে আমাদের মৎস্য সম্পদ। ফুরিয়ে যেতে বসেছে আমাদের ঐতিহ্যবাহী পরিচয়। তাই দেশি মাছ রক্ষায় সারাদেশের বিভিন্ন নদ-নদীতে তৈরি করা হচ্ছে অভয়াশ্রম।

অফুরন্ত মাছের ভাণ্ডার হাওড়াঞ্চলসহ সারাদেশের নদী-নালা থেকে হারিয়ে যাচ্ছে দেশি প্রজাতির অনেক মাছ। জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে দিন দিন মাছের চাহিদা বাড়লেও ক্রমেই কমে আসছে মাছের যোগান। তাই নদী ও জলাশয়ের নির্দিষ্ট এলাকা জুড়ে বাঁশ ও কংক্রিটের খুঁটি পুতে ডালপালা, বাঁশ, কচুরিপানা দিয়ে ঘিরে তৈরি করা হয়েছে মাছের অভয়াশ্রম। সেখানেই ডিম ও বাচ্চা উৎপাদনের মাধ্যমে মাছের বংশ বৃদ্ধি করছে।

বৃহত্তর যশোর জেলায় মৎস্য চাষ উন্নয়ন প্রকল্পে যশোর, ঝিনাইদহ, মাগুরা ও নড়াইল জেলায় ১৬টি মৎস্য অভয়াশ্রম তৈরি করা হয়েছে। স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করে অভয়াশ্রম সংরক্ষণ ও তদারকি করা হচ্ছে।

যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার দোহাকুলা ইউনিয়নের গলগলিয়া এলাকায় চিত্রা নদীর মৎস্য অভয়াশ্রম ঘুরে দেখা যায়, বাঁশের খুঁটি, সিমেন্টের পিলার পুতে ১ হেক্টর এলাকা ঘিরে ফেলা হয়েছে। সেখানে ডালপালা, বাঁশ দিয়ে দেয়া হয়েছে। কচুরিপানা জমে আছে। অভয়াশ্রম এলাকায় মাছ শিকার নিষিদ্ধ।

স্থানীয় সংরক্ষিত ইউপি সদস্য রাবেয়া হক বলেন, এলাকার মানুষকে সম্পৃক্ত করে অভয়াশ্রম সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এখানে কেউ মাছ ধরে না। অভয়াশ্রম করায় দেশি মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। নদী খালে বিলে মাছে ভরে যাবে। সেই মাছ তো আমরাই ধরে খাবো। এজন্য অভয়াশ্রম সংরক্ষণ করা আমাদের কর্তব্য।

বাঘারপাড়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মঞ্জুরুল আলম বলেন, মা মাছ রক্ষা করে ভবিষৎ প্রজন্মের বংশবৃদ্ধি তরান্বিত করার লক্ষ্যে মাছের অভয়াশ্রম করা হয়েছে। স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করে অভয়াশ্রম রক্ষনাবেশনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

অভয়াশ্রম চালুর ফলে দেশি মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। নদী খাল বিলে মিলছে দেশী প্রজাতির নানা ধরনের মাছ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

দেশি মাছের বংশ বৃদ্ধি রক্ষায় অভয়াশ্রম

আপডেট টাইম : ০৭:৩০:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অগাস্ট ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মাছে-ভাতে বাঙালি’ আমাদের ঐতিহ্যবাহী পরিচয়। কিন্তু দিনদিন ফুরিয়ে যেতে বসেছে আমাদের মৎস্য সম্পদ। ফুরিয়ে যেতে বসেছে আমাদের ঐতিহ্যবাহী পরিচয়। তাই দেশি মাছ রক্ষায় সারাদেশের বিভিন্ন নদ-নদীতে তৈরি করা হচ্ছে অভয়াশ্রম।

অফুরন্ত মাছের ভাণ্ডার হাওড়াঞ্চলসহ সারাদেশের নদী-নালা থেকে হারিয়ে যাচ্ছে দেশি প্রজাতির অনেক মাছ। জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে দিন দিন মাছের চাহিদা বাড়লেও ক্রমেই কমে আসছে মাছের যোগান। তাই নদী ও জলাশয়ের নির্দিষ্ট এলাকা জুড়ে বাঁশ ও কংক্রিটের খুঁটি পুতে ডালপালা, বাঁশ, কচুরিপানা দিয়ে ঘিরে তৈরি করা হয়েছে মাছের অভয়াশ্রম। সেখানেই ডিম ও বাচ্চা উৎপাদনের মাধ্যমে মাছের বংশ বৃদ্ধি করছে।

বৃহত্তর যশোর জেলায় মৎস্য চাষ উন্নয়ন প্রকল্পে যশোর, ঝিনাইদহ, মাগুরা ও নড়াইল জেলায় ১৬টি মৎস্য অভয়াশ্রম তৈরি করা হয়েছে। স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করে অভয়াশ্রম সংরক্ষণ ও তদারকি করা হচ্ছে।

যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার দোহাকুলা ইউনিয়নের গলগলিয়া এলাকায় চিত্রা নদীর মৎস্য অভয়াশ্রম ঘুরে দেখা যায়, বাঁশের খুঁটি, সিমেন্টের পিলার পুতে ১ হেক্টর এলাকা ঘিরে ফেলা হয়েছে। সেখানে ডালপালা, বাঁশ দিয়ে দেয়া হয়েছে। কচুরিপানা জমে আছে। অভয়াশ্রম এলাকায় মাছ শিকার নিষিদ্ধ।

স্থানীয় সংরক্ষিত ইউপি সদস্য রাবেয়া হক বলেন, এলাকার মানুষকে সম্পৃক্ত করে অভয়াশ্রম সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এখানে কেউ মাছ ধরে না। অভয়াশ্রম করায় দেশি মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। নদী খালে বিলে মাছে ভরে যাবে। সেই মাছ তো আমরাই ধরে খাবো। এজন্য অভয়াশ্রম সংরক্ষণ করা আমাদের কর্তব্য।

বাঘারপাড়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মঞ্জুরুল আলম বলেন, মা মাছ রক্ষা করে ভবিষৎ প্রজন্মের বংশবৃদ্ধি তরান্বিত করার লক্ষ্যে মাছের অভয়াশ্রম করা হয়েছে। স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করে অভয়াশ্রম রক্ষনাবেশনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

অভয়াশ্রম চালুর ফলে দেশি মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। নদী খাল বিলে মিলছে দেশী প্রজাতির নানা ধরনের মাছ।