হাওর বার্তা ডেস্কঃ কুড়িগ্রামের বিভিন্ন উপজেলার ১০টি গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। অন্যান্য স্থানে পানি সামান্য কমতে শুরু করলেও জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরির্বতিত রয়েছে। এখনও ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার ৫৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এ ছাড়া ব্রহ্মপুত্র নদের পানি প্রবাহিত হচ্ছে বিপৎসীমার ৬৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে। রৌমারীর উত্তর খনজনমারা গ্রামে আরজিনা (৩) নামের এক শিশু পানিতে ডুবে মারা গেছে। উলিপুরের ধরনীবাড়ী, ধামশ্রেণী, বেগমগঞ্জ ইউনিয়ন এবং চিলমারী উপজেলায় আরো ১০টি গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। ভেঙে গেছে বহু কাঁচা পাকা সড়ক।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, কুড়িগ্রাম-রংপুর সড়কে যানবাহল চলাচল শুরু করলেও কুড়িগ্রাম-ভূরুঙ্গামারী সড়কের তিনটি স্থান ভেঙে যাওয়ায় এখনও যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। যোগাযোগ পুনরায় স্থাপিত হয়নি ভুরুঙ্গামরী-সোনাহাট সড়কটিতেও। বন্যার ফলে কুড়িগ্রামের সঙ্গে ফুলবাড়ী, নাগেশ্বরী ও ভুরুঙ্গামারী উপজেলার সড়ক ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় বিকল্প নৌপথে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে। বন্ধ রয়েছে রেল যোগাযোগও।