ঢাকা ০৭:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জয়পুরহাটে হাজার হাজার হেক্টর জমির ফসল পানির নিচে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:৩৬:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ অগাস্ট ২০১৭
  • ৪০১ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ জয়পুরহাট জেলায় ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে ৭ হাজার হেক্টর জমির রোপা আমন ধান, ৬০ হেক্টর জমির সবজি, ৫ শতাধিক পুকুরের মাছ পানির নিচে ভেসে গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় উজানের ঢলে ৬ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান, পানি উন্নয়ন বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী এ কে এম নজমুল হাসান।
পানি উন্নয়ন বিভাগ সূত্র জানায়, তুলশীগঙ্গা নদীর তিনটি ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে মেরামত কাজ শেষ হলেও সতর্কাবস্থায় রয়েছে পানি উন্নয়ন বিভাগের লোকজন। অপর দিকে জয়পুরহাট-বগুড়া মহাসড়কের পল্লী বিদ্যুৎ ও বানিয়াপাড়া এলাকায় সড়কের ওপর হাঁটু পানি হওয়ায় ধীরে ধীরে যান চলাচল করছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত সদরের বম্বু ইউনিয়নের সোটাহার, ধারকী, চক দাদরা, বানিয়াপাড়া, ঘোনাপাড়া, নামা ধারকী, আমদই ইউনিয়নের সুন্দরপুর, মুরারীপুর, রাংতা, ঘোনাপাড়া, গুয়াবাড়ি, পাইকর, গোপালপুর, পলিকাদোয়া, কাদোয়া, চান্দাপাড়া, মাধাইনগর, আমদই ও কেন্দুলী মাঝিপাড়া গ্রামের গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

এতে প্রায় ৪০ গ্রামের মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছেন। ঘরের মধ্যে পানি ঢুকে যাওয়ায় গুয়াবাড়ী ঘাট ও মুরারীপুর, ঘোনাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পাঁচবিবি উপজেলার আটাপুর, কুসুম্বা, মোহাম্মদপুর, আওলাই ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ক্ষেতলাল উপজেলার তুলসীগঙ্গা ইউনিয়নের বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

জেলার ওপর দিয়ে বয়ে চলা ছোট যমুনা ও তুলসীগঙ্গা নদীর পানি বিপদসীমার সামান্য নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মারজান হোসেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ভারী বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে তুলসীগঙ্গা ও ছোট যমুনার দুই পাশে পানি উপচে প্রায় ৭ হাজার হেক্টর জমির রোপা আমন ধান তলিয়ে গেছে এবং ৬০ হেক্টর জমির সবজি বিশেষ করে পটল, শসা, বেগুন, করলা ও কাঁচা মরিচের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানান জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক সুধেন্দ্রনাথ রায়।

উজানের ঢলে জেলার ৫ শতাধিক পুকুরের মাছ ভেসে যাওয়ায় ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় এক কোটি টাকা বলে জানান, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুল জলিল মিয়া। পানি বৃদ্ধি পেলেও বন্যা পরিস্থিতি সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে বলে জানান, জেলা প্রশাসক মো. মোকাম্মেল হক। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকার পাশাপাশি ক্ষয়-ক্ষতি নিরূপণের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জয়পুরহাটে হাজার হাজার হেক্টর জমির ফসল পানির নিচে

আপডেট টাইম : ০৪:৩৬:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ অগাস্ট ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ জয়পুরহাট জেলায় ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে ৭ হাজার হেক্টর জমির রোপা আমন ধান, ৬০ হেক্টর জমির সবজি, ৫ শতাধিক পুকুরের মাছ পানির নিচে ভেসে গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় উজানের ঢলে ৬ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান, পানি উন্নয়ন বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী এ কে এম নজমুল হাসান।
পানি উন্নয়ন বিভাগ সূত্র জানায়, তুলশীগঙ্গা নদীর তিনটি ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে মেরামত কাজ শেষ হলেও সতর্কাবস্থায় রয়েছে পানি উন্নয়ন বিভাগের লোকজন। অপর দিকে জয়পুরহাট-বগুড়া মহাসড়কের পল্লী বিদ্যুৎ ও বানিয়াপাড়া এলাকায় সড়কের ওপর হাঁটু পানি হওয়ায় ধীরে ধীরে যান চলাচল করছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত সদরের বম্বু ইউনিয়নের সোটাহার, ধারকী, চক দাদরা, বানিয়াপাড়া, ঘোনাপাড়া, নামা ধারকী, আমদই ইউনিয়নের সুন্দরপুর, মুরারীপুর, রাংতা, ঘোনাপাড়া, গুয়াবাড়ি, পাইকর, গোপালপুর, পলিকাদোয়া, কাদোয়া, চান্দাপাড়া, মাধাইনগর, আমদই ও কেন্দুলী মাঝিপাড়া গ্রামের গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

এতে প্রায় ৪০ গ্রামের মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছেন। ঘরের মধ্যে পানি ঢুকে যাওয়ায় গুয়াবাড়ী ঘাট ও মুরারীপুর, ঘোনাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পাঁচবিবি উপজেলার আটাপুর, কুসুম্বা, মোহাম্মদপুর, আওলাই ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ক্ষেতলাল উপজেলার তুলসীগঙ্গা ইউনিয়নের বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

জেলার ওপর দিয়ে বয়ে চলা ছোট যমুনা ও তুলসীগঙ্গা নদীর পানি বিপদসীমার সামান্য নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মারজান হোসেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ভারী বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে তুলসীগঙ্গা ও ছোট যমুনার দুই পাশে পানি উপচে প্রায় ৭ হাজার হেক্টর জমির রোপা আমন ধান তলিয়ে গেছে এবং ৬০ হেক্টর জমির সবজি বিশেষ করে পটল, শসা, বেগুন, করলা ও কাঁচা মরিচের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানান জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক সুধেন্দ্রনাথ রায়।

উজানের ঢলে জেলার ৫ শতাধিক পুকুরের মাছ ভেসে যাওয়ায় ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় এক কোটি টাকা বলে জানান, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুল জলিল মিয়া। পানি বৃদ্ধি পেলেও বন্যা পরিস্থিতি সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে বলে জানান, জেলা প্রশাসক মো. মোকাম্মেল হক। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকার পাশাপাশি ক্ষয়-ক্ষতি নিরূপণের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।