হাওর বার্তা ডেস্কঃ পাটের দাম পাওয়ায় বেশ খুশি কৃষকরা। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে পাট গাছ থেকে সোনালি আঁশ ছাড়ানো, সংরক্ষণ ও বিক্রয় কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
চাষিরাও সন্তুষ্ট বাজার দরে। দেশে একের পর এক জুট মিলগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে সোনালি আঁশ নামে খ্যাত এক সময়ের প্রধান অর্থকরী ফসল পাটে নেমে আসে বিপর্যয়।
সম্প্রতি আবারো পাটের তৈরি সামগ্রীর চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সারা দেশের মতো রূপগঞ্জের চাষিরাও পাট চাষে আগ্রহী হয়ে উঠে। এবছর অতিবৃষ্টির কারণে ভালো ফলনের পাশাপাশি কাক্সিক্ষত দর পাচ্ছেন তারা। এ কারণে খুশি রূপগঞ্জের পাট চাষীরা।
এখন কৃষাণ-কৃষাণীরা ব্যস্ত সময় পাড় করছেন আঁশ ছাড়ানো, ধোয়া, শুকানো আর সংরক্ষণের কাজে।
উপজেলা কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ বছর রূপগঞ্জে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে পাটের ফলন বেশি হয়েছে। পাশাপাশি ফলনও ভালো হয়েছে। এবছর প্রায় ৪০০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। হেক্টর প্রতি আড়াই থেকে ৩ টন পাটের উৎপাদন হবে বলে আশাবাদী।
এদিকে পাটের উৎপাদন ভালো হওয়ায় হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। এছাড়া পাটের রং আর মান অনুসারে ১৮০০ থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত মন দরে পাট বিক্রি করতে পারছেন কৃষকরা। নতুন করে সোনালি আঁশে সুদিন ফিরে আসায় পাটে আবার রঙিন স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা।
উপজেলার গোলাকান্দাইল দক্ষিণপাড়া গ্রামের পাট চাষি রিয়াজুল জানান, গত বছর ৩ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেন। পাটের দাম ভালো থাকায় এ বছর ৭ বিঘা জমিতে মেশতা ও বগি জাতের পাট চাষ করেছেন তিনি। পাটের ফলনও ভালো হয়েছে। একই এলাকার পাট চাষি আবু তাহের বলেন, গত বছর প্রতিমণ পাট ১৫০০ থেকে ১৬০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। এতে সে উৎসাহিত হয়ে এবার ২ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছেন। প্রতি বিঘা জমিতে ৬ মণের অধিক পাট উৎপাদন হয়েছে। তিনি পাটের বর্তমান চাহিদা বজায় থাকলে তিনি মন প্রতি অন্তত ২ হাজার টাকা দর পাবেন বলে আশা করছেন।
উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষকেরা আরো জানান, এ বছর পাটের উৎপাদন ভালো হওয়ায় তারা খুশি হয়েছেন।
বাজার দরটা হঠাৎ করে যেন নিম্নমুখী না হয়। সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোরাদুল হাসান জানান, রূপগঞ্জের মাটি ও আবহাওয়া পাট চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। ফলন যেমন ভালো হয়েছে, তেমনি কৃষকেরা দামও ভালো পাবেন বলে আশা করছি।