আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেছেন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলই (জাসদ) বঙ্গবন্ধু হত্যার ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছিল, যার সুযোগ নিয়েই জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুকে খুনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন। জিয়াউর রহমান এবং এরশাদ উভয়ই বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুরস্কৃত করেছেন। জিয়ার মতো এরশাদও তার মন্ত্রীসভায় স্বাধীনতা বিরোধীদের ঠাঁই দিয়েছিলেন।
আজ বৃহস্পতিবার শেখ হাসিনার ৩৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে যুবলীগ ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, এরশাদের সময় শেখ হাসিনাকে একাধিকবার হত্যার চেষ্টা করা হয়। ১৯৮৩ সালে চট্টগ্রামে শেখ হাসিনার জনসভায় অংশ নেয়া নেতাকর্মীদের বহনকারী একটি ট্রাকে পুলিশ গুলি চালালে ২৪ জন নিহত হয়। তারই ধারাবাহিকতায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান শেখ হাসিনার ওপর ১৯ বার হামলা চালায়। বাঙালির স্বার্থে শেখ হাসিনাকে আল্লাহতায়ালা বাঁচিয়ে রেখেছেন।
১৯৯১ ও ২০০১ সালের নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদ ও বিচারপতি লতিফুর রহমান অন্যায়ভাবে খালেদা জিয়াকে ক্ষমতায় এনেছিলেন। খালেদা জিয়াই এদেশে সাম্প্রদায়িক এবং হত্যার রাজনীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছেন।
শেখ সেলিম বলেন, খালেদা জিয়ার রক্ষা নেই। শেখ হাসিনা এই দেশে বিচারের সংস্কৃতি চালু করেছেন। বঙ্গবন্ধু হত্যা, জেলহত্যা, যুদ্ধাপরাধের বিচারের মধ্য দিয়ে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। আন্দোলনের নামে খালেদা জিয়া যে অপরাধ করেছেন শেখ হাসিনা তারও বিচার করবেন।
সংলাপ আহবানকারী সুশীল সমাজের সামলোচনা করে শেখ সেলিম বলেন, এখনকার বুদ্ধিজীবীরা কুবুদ্ধিতে ওস্তাদ। সুশীল মানে ভালো নাপিত। ভালো নাপিত আর ভালো বুদ্ধিজীবী এক বিষয় নয়। এখনকার সুশীলদের সমাজের জন্য কিছুই করার মুরোদ নেই।
বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ প্রসঙ্গে শেখ সেলিম বলেন, সালাহউদ্দিনকে গুমের মধ্য দিয়ে খালেদা জিয়া জাতির সামনে যে নাটক উপস্থাপন করেছেন এর জন্য তাকে অস্কার পুরস্কার দেয়া উচিত। উত্তরের সভাপতি মাইনুল হোসেন খান নিখিলের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ প্রমুখ।আস