বিয়ের দাওয়াত কার্ড বিলি করছিল বর ও কনে পক্ষ। আগামী ১৩ আগষ্ট বৃহস্পতিবার কক্সবাজার শহরের ডায়াবেটিক হাসপাতাল পয়েন্টে অবস্থিত বিয়াম ফাউন্ডেশনের অডিটরিয়ামে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা হওয়ার কথা। কিন্তু সেই আয়োজন সব ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেছে। আর বিয়ের পিড়িতে বসা হয়নি কক্সবাজার জেলা ছাত্রদল সভাপতি রাশেদুল হক রাসেলর।
এই জেলা ছাত্রদলের সভাপতির হবু স্ত্রী নিলুফা মনি’কে নিয়ে উধাও হয়ে গেছেন কক্সবাজার শহর ছাত্রলীগ নেতা আরমান। গত সোমবার ভোর রাতে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে এ ঘটনাটি গতকাল কক্সবাজার শহরে টক অব দ্যা টাউনে পরিণত হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কক্সবাজার জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রাশেদুল হক রাসেল এর সাথে কক্সবাজার শহরের মধ্যম নুনিয়াছড়ার আবদুল কাদেরের কন্যা ও জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মনির উদ্দিনের বোন নিলুফা মনির কাবিন ও আকদ সম্পন্ন হয় দুই মাস আগে।
আগামী ১৩ আগষ্ট বৃহস্পতিবার কক্সবাজার শহরের ডায়াবেটিক হাসপাতাল পয়েন্টে অবস্থিত বিয়াম ফাউন্ডেশনের অডিটরিয়ামে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা হওয়ার কথা। সেই হিসেবে বিয়ের দাওয়াত দিয়ে চিঠিও বিলি করা হচ্ছিল কয়েক দিন ধরে। কিন্তু হঠাৎ করেই ১০ আগষ্ট সোমবার ভোর রাতে পুরনো প্রেমিক শহরের বইল্ল্যাপাড়া এলাকার বাসিন্দা ও কক্সবাজার শহর ছাত্রলীগ নেতা আরমানের হাত ধরে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমান নিলুফা। ছাত্রলীগ নেতা আরমান শহরের বইল্ল্যাপাড়া এলাকার আরমান ম্যানশনের বাসিন্দা। তিনি আওয়ামী লীগ নেতা বাদশা মিয়া চৌধুরীর নাতি (মেয়ের ছেলে) বলে জানা গেছে।ছাত্রদল নেতার হবু স্ত্রীকে নিয়ে ছাত্রলীগ নেতা উধাও
ছাত্রদলের সভাপতি রাশেদুল হক রাসেল’র সাথে আকদ অনুষ্ঠানে নিলুফা মনি
এদিকে, সোমবার ভোর রাতে পুরনো প্রেমিক আরমানের হাত ধরে নিলুফা উধাও হওয়ার পর থেকে উভয় পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাদের সন্ধান মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত পাননি। এ বিষয়ে আরমানের বক্তব্যের জন্য বিভিন্নভাবে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
অপরদিকে নিলুফা মনির পরিবারও এ বিষয়ে মুখ খুলতে রাজি হননি। জানতে চাইলে নিলুফা মনির স্বামী ও জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রাশেদুল হক রাসেল বলেন, ‘ঘটনা জানার পর আমার পরিবারের লোকজন মেয়ের বাড়িতে গেছেন। আমার শ্বাশুর বাড়ির লোকজন জানিয়েছেন, নিলুফা বিয়ের দাওয়াত দিতে কার্ড নিয়ে সকালে বাড়ি থেকে বের হলে রাস্তা থেকে তাকে অপহরণ করা হয়েছে।’ এর বেশি কিছু তিনি জানেন না বলে জানান তিনি।