ব্লগার নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায় (নিলয় নীল) হত্যার ঘটনার সঙ্গে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার সংযোগ খুঁজে পেয়েছেন গোয়েন্দারা।
আলোচিত ইসলামি সংগঠন হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শফী পরিচালিত হাটহাজারী মাদ্রাসার আশপাশের এলাকা থেকে নিলয় হত্যার দায় স্বীকার করে আল-কায়েদার নামে গণমাধ্যমে ইমেইল বার্তা প্রেরণ এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিলয় হত্যার তথ্য প্রকাশ করা হয়েছিল।
হাটহাজারী মাদ্রাসার আশপাশের এলাকায় ব্যবহৃত একটি আইপি অ্যাড্রেস ব্যবহার করে নিলয় হত্যার দায় স্বীকারের ইমেইল বার্তা প্রেরণ করা হয়েছে বিভিন্ন গণমাধ্যমে। প্রযুক্তিসহায়তার মাধ্যমে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ বিষয়টি পুরোপুরি নিশ্চিত হয়েছে।
ঢাকা গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক সূত্র জানায়, চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার এলাকার একটি আইপি (ইন্টারনেট প্রটোকল) অ্যাড্রেস ব্যবহার করে আনসার আল ইসলাম (আল-কায়দা, ভারতীয় উপমহাদেশ, বাংলাদেশ শাখা) সংগঠনটির নামে শুক্রবার গণমাধ্যমে হত্যার দায় স্বীকার করে ইমেইল বার্তাটি পাঠানো হয়। একই সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও নিলয় হত্যার তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে একই আইপি অ্যাড্রেস থেকে।
পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে, হাটহাজারী উপজেলা থেকে একটি ল্যাপটপ থেকেই একই ব্যক্তি নিলয় হত্যার তথ্য প্রকাশ এবং আল-কায়দার নামে দায় স্বীকার করে বার্তা পাঠিয়েছে। ইতিমধ্যে আইপি অ্যাড্রেস ব্যবহৃত ল্যাপটপটি শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ল্যাপটপটি উদ্ধার এবং ইমেইলে বার্তা প্রেরককে শনাক্ত ও গ্রেফতার করতে কাজ করছে পুলিশ। চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশেরও একটি দল এ বিষয়ে কাজ করছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, ব্লগারদের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী অন্যতম ইসলামি সংগঠন হেফাজতে ইসলামের সব কার্যক্রম পরিচালিত হয় চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসা থেকে। ওই মাদ্রাসার পরিচালক আল্লামা শফী হেফাজতে ইসলামের আমির।
তবে ব্লগার নিলয় হত্যার দায় স্বীকারের বার্তায় হাটহাজারী উপজেলার সংযোগ খুঁজে পাওয়া গেলেও এর সঙ্গে হেফাজতে ইসলাম কিংবা হাটহাজারী মাদ্রাসার কোনো সংযোগ আছে কি না, তা নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।