হাওর বার্তা ডেস্কঃ শিল্পী সেমন্তী মঞ্জরীর কণ্ঠে ধারণ করা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানের সংকলন ‘দেখো রে চিত্তকমলে’ বাজারে এনেছে বেঙ্গল ফাউন্ডেশন। ২৯ জুলাই সন্ধ্যা ৭টায় ধানমন্ডির ছায়ানট মিলনায়তন এ অ্যালবামের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠিত হয়। মোড়ক উন্মোচন করেন সংগীতজ্ঞ, শিক্ষক ও গবেষক ড. সনজীদা খাতুন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী মিতা হক।
মোড়ক উন্মোচন পর্ব শেষে শিল্পী সেমন্তী মঞ্জরী পরিবেশন করেন পূজা পর্বের ‘জগতে আনন্দযজ্ঞে আমার নিমন্ত্রণ’ ও ‘আমি তারেই খুঁজে বেড়াই’; বিচিত্র অঙ্গের ‘তরী আমার হঠাৎ ডুবে যায়’; প্রেম পর্বের ‘বাহির পথে বিবাগী হিয়া’; প্রকৃতি পর্যায়ের বর্ষার গান ‘ওরে ঝড় নেমে আয়’, ‘ওই আসে ওই অতি ভৈরব হরষে’; প্রেম পর্যায়ের বর্ষা আবহের ‘সখী, আঁধারে একেলা ঘরে’, ‘এই শ্রাবণের বুকের ভিতর আগুন আছে’, ‘শ্যামল ছায়া নাইবা গেলে’ ও ‘যায় দিন, শ্রাবণদিন যায়’ গানগুলো।
শিল্পীর সঙ্গে যন্ত্রানুষঙ্গে ছিলেন তবলায় এনামুল হক ওমর, এস্রাজে অসিত বিশ্বাস ও কি-বোর্ডে রবীন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক লুভা নাহিদ চৌধুরী।
শিল্পী সেমন্তী মঞ্জরীর বাবা সোহরাব উদ্দীন ও মা নাসিমা খান দুইজনই সংগীতশিল্পী। ৪ বছর বয়সে সংগীতের প্রথম শিক্ষা বাবার কাছে। বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী মিতা হক তারই পরিবারের সদস্য ও ছোটবেলা থেকে তার কাছে শেখার সুযোগ হয় সেমন্তীর। ছায়ানট সংগীত বিদ্যায়তনে রবীন্দ্রসংগীতের কোর্স শেষ করেন। ছায়ানটে শিক্ষার্থী অবস্থায় বিখ্যাত গুণিজনদের সান্নিধ্যে আসার সুযোগ ঘটেছে তার। এর মধ্যে ওয়াহিদুল হক ও সন্জীদা খাতুন অন্যতম।
১৮ বছর বয়সে সেমন্তী জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদের প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেন। বিভিন্ন মঞ্চ ও টেলিভিশনে গান পরিবেশনের সুযোগ পেয়েছেন। পাঁচ বছর ধরে ছায়ানটে শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত আছেন। ২০১৪ সালে ‘রাঙিয়ে দিয়ে যাও’ শিরোনামে বেঙ্গল ফাউন্ডেশন থেকে তার প্রথম একক অ্যালবাম প্রকাশিত হয়। বর্তমানে তিনি লন্ডনে কালচারাল স্টাডিজে মাস্টার্স করছেন।
অ্যালবামটিতে যন্ত্রানুষঙ্গ পরিচালনা করেছেন প্রত্যুষ বন্দ্যোপাধ্যায়।