মহাসড়ক পরিদর্শনে গিয়ে এক সিএনজি অটোরিকশা চালককে কানে ধরিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছেন সড়কমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। অটোরিকশা, টেম্পোসহ অযান্ত্রিক কম গতির ও তিন চাকার সব যানবাহনকে দুর্ঘটনার জন্য দায়ী করে ১ অগাস্ট থেকে সারা দেশের মহাসড়কে তিন চাকার যান চলাচল নিষিদ্ধ করে সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় মহাসড়ক পরিদর্শনের সময় নিয়ম ভাঙার জন্য অটোরিকশা চালককে কান ধরিয়ে উঠবস করানো এবং সেই ছবি নিজের ফেইসবুক পাতায় দেওয়ার পর ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে সড়কমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সমালোচনা।
‘রোড সেফটি প্রোগ্রাম মাওয়া ০৯/০৮/২০১৫’ নামের ওই অ্যালবামের একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, একজন চালককে কান ধরে বসতে বলছেন একজন পুলিশ কর্মকর্তা। আর তার সামনে দাঁড়িয়ে আছেন কালো প্যান্ট ও সাদা শার্ট পরা ওবায়দুল কাদের।
এই ছবিটি নিয়ে ব্লগার ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য লিখেছেন, “এই তুচ্ছ আইন অমান্যতে একজন মন্ত্রী যদি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন; ট্র্যাফিক আইন না মানার অপরাধে তাৎক্ষণিক কান ধরা যদি সিএনজি চালকের ‘পাওনা’ হয়, তবে শেয়ার বাজারে নিঃস্ব হয়ে যাওয়া তিরিশ লক্ষ পরিবারকে যারা পথে বসিয়েছে তাদের কী পাওনা?”
“সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার হল-মার্ক কেলেঙ্কারির কুশীলবদের? লুট হয়ে যাওয়া বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান আর পরিচালকদের? ফাঁস হয়ে যাওয়া প্রশ্নপত্রে আমাদের শিশুদের ভবিষ্যৎ ধ্বংস করে দেয়ার ধারাবাহিক ঘটনায়, সবশেষে আমার ছিনিয়ে নেওয়া ভোটাধিকারের জন্য পাওনা কী? এই সিএনজি চালক সমাজের সবচেয়ে দুর্বল শ্রেণী, তাই ওদের কান ধরিয়ে অপমানে কোনো ঝুঁকি নেই।
আলী আল মাসুদ নামে একজন লিখেছেন, “এমনি তো আর ফাটাকেষ্ট মন্ত্রী নাম লাগেনি।”
জ্যোতির্ময় বণিক নামে একজন লিখেছেন, “আমি অনেকবারই কথাটা বলসি, আবারও বলি- মন্ত্রী সাহেবের উচিত অনিল কাপুর, রানী মুখার্জি অভিনীত ‘নায়ক’ সিনেমাটা একটু কম-কম দেখা। ওইটার থেকে চোথা মারতে মারতে উনি হুঁশ হারায়া ফেলতেছেন।”
রাশেদ মোশাররফ নামে একজন লিখেছেন, “সরকারি গাড়ি, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসগুলো যখন ব্যস্ত রাস্তায় উল্টো পথ দিয়ে যায়, তখন এর ব্যবস্থা কী?”
কাজী আশরাফ নামে একজন লিখেছেন, “বুকে পাটা থাকলে রেলওয়ে এবং সড়ক ও জনপথের জমি অবৈধ দখলদার কাউকে কান ধরে ওঠবস করাক|”