হাওর বার্তা ডেস্কঃ কেন সাজা শেষের আগেই মুক্তি দেওয়া হল অভিনেতা সঞ্জয় দত্তকে। মহারাষ্ট্র সরকারকে তার কারণ ব্যাখ্যা করতে বলেছিল মুম্বাই হাইকোর্ট। তার প্রেক্ষিতে মহারাষ্ট্র সরকার জানিয়েছিল, জেলে থাকাকালীন সঞ্জয় দত্তের ভালো আচরণ দেখেই সাজা শেষের ৫ বছর আগে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়।
মহারাষ্ট্র সরকারের এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে মুম্বাই হাইকোর্ট ভাল ব্যবহারের সঠিক ব্যাখ্যা দিতে বলে। সাজা শেষ হওয়ার আট মাস আগেই সঞ্জয় দত্তকে ইয়েরওয়াড়া জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। তাতে ক্ষিপ্ত হয়ে মুম্বাইয়ের হাইকোর্টের এই জবাবদিহি তলব বলে মনে করা হচ্ছে। তারপরেই অনেকটা বেকায়দায় পড়ে রাজ্য সরকার।
বুধবার নিজের দাবি থেকে সরে আদালতকে সরকারি আইনজীবী জানান, সঞ্জয় দত্তের জেলে ফিরে যেতে হবে। তবে তাঁর ভিআইপি মর্যাদার কারণে একাধিকবার প্যারোলে মুক্তি দিতে হবে।
যদিও যে কদিন সঞ্জয় দত্ত জেলে ছিলেন, তার মধ্যে ১০০ দিন নানা কারণে প্যারোলে মুক্ত হয়ে জেলের বাইরেই আছেন। তাই নিয়ে একাধিকবার প্রশ্ন ওঠে। কিন্তু তার আগাম মুক্তি কোনওভাবেই মেনে নিতে রাজি নয় মুম্বাই হাইকোর্ট। এই নিয়ে রাজ্য সরকারের কাছে কৈফিয়ৎ তলব করা হয়। সঞ্জয় দত্তকে ভিভিআইপি হিসেবে বাড়তি সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মহারাষ্ট্র সরকারের বিরুদ্ধে।
১৯৯৩ এর মুম্বাইয়ের ধারাবাহিক বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছিল সঞ্জয় দত্তের বিরুদ্ধে। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছিল বেআইনি একে-৫৬ রাইফেল ও পিস্তল।
যদিও সঞ্জয়ের দাবি ছিল, মুম্বাইয়ে দাঙ্গার সময় নিজের পরিবারকে রক্ষা করতে সেগুলি সংগ্রহ করেছিলেন। যদিও আদালতে তা মিথ্যে প্রমাণিত হয়। মুম্বাই হাইকোর্ট তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেন। সাজা ঘোষণার পর ১৮ মাস তিনি জেলে ছিলেন। তারপরে জামিন পেয়ে যান। পরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ফের ৪২ মাস জেলে থাকার সাজা ঘোষণা হয়। সেই সাজা শেষ হওয়ার ৮ মাস আগেই সঞ্জয় দত্তকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।