ঢাকা ০৩:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
টাকার পাহাড় গড়েছেন সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে শেখ হাসিনা: সেলিমা রহমান ভারতে থাকার বৈধ মেয়াদ শেষ, কী ঘটবে শেখ হাসিনার ভাগ্যে ভারতে ‘এক দেশ এক ভোট’ কি সত্যিই হবে পুলিশের কাজ পুলিশকে দিয়েই করাতে হবে, আইন হাতে তুলে নেওয়া যাবে না জাতিসংঘ অধিবেশন নিউইয়র্কে যাদের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে ড. ইউনূসের বৈশ্বিক-আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য পাকিস্তান-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক জরুরি: বাইডেন ইলিশের দাম কমছে না কেন বায়তুল মোকাররমে মুসল্লিদের মধ্যে হাতাহাতি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা মোতায়েন বায়তুল মোকাররমে মুসল্লিদের মধ্যে হাতাহাতি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা মোতায়েন

বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে…

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:২৯:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ অগাস্ট ২০১৫
  • ৩১৪ বার

বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত্বার্ষিকীতে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে একথা বলতে চাই যে, বাঙালি আজ যে দুর্ভোগের সম্মুখীন হয়েছে তিনি বেঁচে থাকলে আজ হয়তো এমন বিপন্ন অবস্থার মধ্যে পড়তে হতো না। তিনি যে চেয়েছিলেন সকল মানুষের সমান অধিকার সম্পন্ন একটি সুন্দর অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। তাঁর সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে সেই স্বপ্ন ধুলিসাত্ করার মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী চক্রান্ত দীর্ঘকাল থেকে চলে আসছে এবং এখনও চলছে। যুদ্ধাপরাধীদের যথাসময়ে বিচারের মাধ্যমে শাস্তি প্রদান করতে পারলে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী এই জঙ্গি শক্তি আজ নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারতো না। আজ এই জাতীয় সন্ধিক্ষণে এই কামনা করি আমাদের যেন সেই শক্তি হয়, যার মাধ্যমে এদেশকে সত্যিকার অর্থেই অসাম্প্রদায়িক ও ধর্মনিরপেক্ষ সোনার বাংলায় রূপান্তরিত করতে পারি। এজন্য সরকার এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির কাছে একটি আবেদন সেটি হলো, জনবিচ্ছিন্নতা নয়, জনগণের কাছে গিয়ে রাজনীতিকে যথাযথ রূপ দেয়া। তবেই বঙ্গবন্ধুর ঈপ্সিত সোনার বাংলা গঠন সম্ভব হবে।

বঙ্গবন্ধু রাজনৈতিকভাবে একটি আদর্শে বিশ্বাস করলেও সকল মানুষের সমান অধিকারে বিশ্বাস করতেন এবং সে কারণেই দেশটিকে তেমনি একরূপে দেখতে চেয়েছিলেন কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর দোসর দালালদের পুনর্বাসিত করে জেনারেল জিয়াউর রহমান এবং তার স্ত্রী খালেদা জিয়া যে অপরাজনীতির সূচনা করেছিলেন তা থেকে মুক্তি পেতে হলে সকলকেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত করতে হবে।

বঙ্গবন্ধু ব্যক্তি হিসাবেও একজন উদারমনের এবং সাহসী মানুষ ছিলেন। তার প্রমাণ আমরা তার বাল্যকালের ঘটনা থেকেই জানতে পারি। তত্কালীন অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী যখন গোপালগঞ্জ সফরে গিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু তখন স্কুলের ছাত্র কিন্তু স্কুলের ছাদ সংস্কার ও ছাত্রদের হোস্টেল তৈরির জন্য সাহসের সঙ্গে দাবি নিয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন। এই যে সাহস ছোটবেলায় সঞ্চয় করেছিলেন তাই একদিন জাতিকে তার মুক্তির লক্ষ্যে পৌঁছে দেয়ার জন্য এক মহীরুহে পরিণত হয়েছিল বলেই আমরা তাঁকে বঙ্গবন্ধু হিসাবে গ্রহণ করেছিলাম। তাই তিনি বাংলার সাধারণ মানুষের অত্যন্ত প্রিয় এবং অবিসংবাদিত নেতায় পরিণত হয়েছিলেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

টাকার পাহাড় গড়েছেন সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা

বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে…

আপডেট টাইম : ১২:২৯:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ অগাস্ট ২০১৫

বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত্বার্ষিকীতে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে একথা বলতে চাই যে, বাঙালি আজ যে দুর্ভোগের সম্মুখীন হয়েছে তিনি বেঁচে থাকলে আজ হয়তো এমন বিপন্ন অবস্থার মধ্যে পড়তে হতো না। তিনি যে চেয়েছিলেন সকল মানুষের সমান অধিকার সম্পন্ন একটি সুন্দর অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। তাঁর সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে সেই স্বপ্ন ধুলিসাত্ করার মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী চক্রান্ত দীর্ঘকাল থেকে চলে আসছে এবং এখনও চলছে। যুদ্ধাপরাধীদের যথাসময়ে বিচারের মাধ্যমে শাস্তি প্রদান করতে পারলে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী এই জঙ্গি শক্তি আজ নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারতো না। আজ এই জাতীয় সন্ধিক্ষণে এই কামনা করি আমাদের যেন সেই শক্তি হয়, যার মাধ্যমে এদেশকে সত্যিকার অর্থেই অসাম্প্রদায়িক ও ধর্মনিরপেক্ষ সোনার বাংলায় রূপান্তরিত করতে পারি। এজন্য সরকার এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির কাছে একটি আবেদন সেটি হলো, জনবিচ্ছিন্নতা নয়, জনগণের কাছে গিয়ে রাজনীতিকে যথাযথ রূপ দেয়া। তবেই বঙ্গবন্ধুর ঈপ্সিত সোনার বাংলা গঠন সম্ভব হবে।

বঙ্গবন্ধু রাজনৈতিকভাবে একটি আদর্শে বিশ্বাস করলেও সকল মানুষের সমান অধিকারে বিশ্বাস করতেন এবং সে কারণেই দেশটিকে তেমনি একরূপে দেখতে চেয়েছিলেন কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর দোসর দালালদের পুনর্বাসিত করে জেনারেল জিয়াউর রহমান এবং তার স্ত্রী খালেদা জিয়া যে অপরাজনীতির সূচনা করেছিলেন তা থেকে মুক্তি পেতে হলে সকলকেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত করতে হবে।

বঙ্গবন্ধু ব্যক্তি হিসাবেও একজন উদারমনের এবং সাহসী মানুষ ছিলেন। তার প্রমাণ আমরা তার বাল্যকালের ঘটনা থেকেই জানতে পারি। তত্কালীন অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী যখন গোপালগঞ্জ সফরে গিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু তখন স্কুলের ছাত্র কিন্তু স্কুলের ছাদ সংস্কার ও ছাত্রদের হোস্টেল তৈরির জন্য সাহসের সঙ্গে দাবি নিয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন। এই যে সাহস ছোটবেলায় সঞ্চয় করেছিলেন তাই একদিন জাতিকে তার মুক্তির লক্ষ্যে পৌঁছে দেয়ার জন্য এক মহীরুহে পরিণত হয়েছিল বলেই আমরা তাঁকে বঙ্গবন্ধু হিসাবে গ্রহণ করেছিলাম। তাই তিনি বাংলার সাধারণ মানুষের অত্যন্ত প্রিয় এবং অবিসংবাদিত নেতায় পরিণত হয়েছিলেন।