ঢাকা ১২:৪৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হারিয়ে যাচ্ছে দেশি জাতের মাছ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০২:৩৬:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ জুলাই ২০১৭
  • ৪৮৩ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ নরসিংদী, সখিপুর এবং রাজৈরের খালবিল, পুকুর-জলাশয় ও নদী থেকে বিভিন্ন প্রজাতির দেশি মাছ হারিয়ে যাচ্ছে। চাষ না হওয়ায় দেশি মাছের সংকট দেখা দিয়েছে। জলাশয় ভরাট, জমিতে রাসায়নিক সার ব্যবহার, অপরিকল্পিত মৎস্য আহরণ, প্রজনন মৌসুমে মা-মাছ ও পোনা ধরা, কারেন্ট জাল ব্যবহার, মাছের আবাসস্থল ধ্বংস করা এবং ক্ষতিকর মৎস্য আহরণ সরঞ্জাম ব্যবহার করায় এলাকাগুলো থেকে দেশি মাছ বিলুপ্তির পথে এসে দাঁড়িয়েছে। সংবাদদাতাদের পাঠানো খবর-
নরসিংদী : কথায় আছে মাছে-ভাতে বাঙালি। মাছের প্রতি বাঙালির ঝোঁক চিরকালের। কিন্তু দিন দিন কমছে নদী-খাল-জলাশয়। যেগুলো আছে, তার বেশিরভাগেই হয় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে মাছ চাষ। উন্মুক্ত জলাশয়ে বিনাবাধায় মাছ শিকারের সুযোগ আর তেমন মেলে না। তাই নরসিংদীর খালবিল, পুকুর-জলাশয় ও নদী থেকে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ হারিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে সবচেয়ে সংকটাপন্ন অবস্থায় দেশি জাতের পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ ছোট মাছ। এ জাতীয় মাছের প্রাকৃতিক আবাসভূমি এতটাই দ্রুত বদলে যাচ্ছে, টিকে থাকার উপযোগী জায়গা সংকীর্ণ হতে হতে কোথাও কোথাও প্রায় নিশ্চিহ্ন হওয়ার মুখে। প্রাকৃতিক আবাসস্থল ধ্বংস হওয়া এবং সংরক্ষণে সরকারি বা ব্যক্তি পর্যায়ে উদ্যোগ না থাকায় ছোট মাছ ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে। অন্যদিকে পুকুরে বড় মাছ চাষের আগে ছোট মাছ বিষ দিয়ে মেরে ফেলা হচ্ছে। এছাড়া ব্যবসায়িকভাবে লাভজনক না হওয়ায় ব্যবসায়ীরা এ মাছের প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছেন। এতে করে হারিয়ে যাচ্ছে ছোট প্রজাতির দেশি মাছ। এগুলোর মধ্যে রয়েছে চাপিলা, বৈচা, চাটুয়া, নাপতানি, চাঁদা, নামা চাঁদা, গোল চাঁদা, আইড়, গুলশা, পাবদা, পুঁটি, সরপুঁটি, তিত পুঁটি, বাইলা, মেনি, ভেদা, শিং, কৈ, টাকি, শোল, ফলি, চেলি, মলা, ঢেলা, কানপোনা, দারকিনা, বাচা, বাটা, রিটা, পিয়ালি, জয়া, খৈলশা, বজরি, টেংরা, চান্দা, কাজলি, চ্যাং, ছোট চিংড়ি, বাতাশি, বড় বাইম, তারা বাইম, শাল বাইম, চিকরা বাইম, কাকিয়া, কুঁচিয়া, তারা, খোকসা, খরকুটি, পটকা, কাশখয়রা, টাটকিনি, রয়না, বেলেসহ অনেক প্রজাতির মাছ। একসময় এসব মাছের উৎস ছিল হাওর-বাঁওড়, খালবিল, পুকুর-জলাশয় ও নদী-নালা। জেলার রায়পুরা, মনোহরদী, শিবপুর, পলাশ, বেলাব ও সদর উপজেলার বিভিন্ন জলাশয় ছাড়াও মেঘনা, আড়িয়াল খাঁ, ব্রহ্মপুত্র, পাহাড়িয়া ও শীতলক্ষ্যা নদী থেকে এক দশক আগেও প্রতিদিন জেলার ছোট-বড় বাজারে দেশি জাতের মাছ আসত। এখন বর্ষাকালেও এসব মাছ মিলছে না। শিবপুর উপজেলার দুলালপুর এলাকার আনোয়ার হোসেন স্বপন বলেন, কোনো চাষ ছাড়াই এলাকার বিলে প্রচুর মাছ পাওয়া যেত। বিলের অধিকাংশ এলাকায় বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ, ফসল চাষের আওতায় নেয়া ও কীটনাশক ব্যবহারে এখন মাছই পাওয়া যায় না। নরসিংদীর মৎস্য ব্যবসায়ী হারাধন দাস বলেন, দেশি ছোট মাছের সরবরাহ অনেক হ্রাস পেয়েছে। উৎপাদন কমে যাওয়া হচ্ছে এর প্রধান কারণ। জেলার মৎস্য বিশেষজ্ঞরা জানান, বিলুপ্তির পথে রয়েছে বহু মাছ। হাওর-বাঁওড় ও বিলের গভীরতা কমে যাওয়া, খাল ভরাট, জলাশয়ে বছরের অধিকাংশ সময় পানি না থাকা এবং প্রজনন মৌসুমে পানিপ্রবাহ কমে যাওয়া, জমিতে রাসায়নিক সার ব্যবহার, অপরিকল্পিত মৎস্য আহরণ, প্রজনন মৌসুমে মা-মাছ ও পোনা ধরা, কারেন্ট জাল ব্যবহার, মাছের আবাসস্থল ধ্বংস করা এবং ক্ষতিকর মৎস্য আহরণ সরঞ্জাম ব্যবহারে দেশি প্রজাতির মাছ হারিয়ে যাচ্ছে।
সখিপুর : টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলার বিভিন্ন নদনদী, খালবিল ও জলাশয়ে অবাধে মাছ শিকার করা হচ্ছে। স্থানীয় প্রভাবশালীদের যোগসাজশে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল দিয়ে একশ্রেণীর অসাধু মাছ ব্যবসায়ী এ কাজ করছেন। এতে করে দেশি প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হওয়ার পাশাপাশি প্রজনন ব্যাহত হচ্ছে। জানা যায়, একশ্রেণীর অসাধু জেলে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল, কাঁথা জাল, শুলশুলি জাল ও বাঁশের ঘের দিয়ে অবাধে মাছ শিকার করছে। বিধিমতো মাছের পোনা সংরক্ষণে যেখানে জালের ফাঁস ৪ ইঞ্চির কম করা দণ্ডনীয়, সেখানে ওইসব জালের ফাঁস আধা ইঞ্চি থেকে পৌনে ১ ইঞ্চি। এতে ভরা মৌসুমেও এ অঞ্চলে মাছের সংকট দেখা দিয়েছে। সরেজমিন উপজেলার হামিদপুর, ইন্দ্রাজানি, বেড়বাড়ী, কালীদাস, যাদবপুর, পাথারপুর, চাপড়াবিলসহ বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায়, নিষিদ্ধ জাল ও ঘের দিয়ে মাছ শিকার করায় শিং, কৈ, মলা, পুঁটি, টেংরাসহ অনেক পোনা মাছও আটকা পড়ে ধ্বংস হচ্ছে। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা বলেন, মাছ জাতীয় সম্পদ। দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। সখিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী সরকার রাখী বলেন, দ্রুতই অসাধু জেলেদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে।
রাজৈর : মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট, রাজৈর, কদমবাড়ী, কাশিমপুর, বৈরাগীবাজার, পাইকপাড়া, চৌয়ারীবাড়ী, কবিরাজপুর, হোসেনপুর, বিদ্যানন্দী, ইশিবপুর, আমগ্রাম, পাখুল্লা, লাউশা, লখণ্ডা, বাজিতপুরসহ বিভিন্ন হাটবাজারে অবাধে বিক্রি হচ্ছে ডিমওয়ালা দেশি প্রজাতির মাছ। এতে দেশি প্রজাতির মাছ বিলুপ্তির আশঙ্কা করছে সচেতন মহল। রাজৈর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সন্দীপন মজুমদার বলেন, দেশি ডিমওয়ালা মাছ শিকার না করার ব্যাপারে কোনো ধরনের আইন না থাকায় আমরা কিছু করতে পারছি না। তবে জনগণকে এ বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করা যেতে পারে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

হারিয়ে যাচ্ছে দেশি জাতের মাছ

আপডেট টাইম : ০২:৩৬:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ জুলাই ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ নরসিংদী, সখিপুর এবং রাজৈরের খালবিল, পুকুর-জলাশয় ও নদী থেকে বিভিন্ন প্রজাতির দেশি মাছ হারিয়ে যাচ্ছে। চাষ না হওয়ায় দেশি মাছের সংকট দেখা দিয়েছে। জলাশয় ভরাট, জমিতে রাসায়নিক সার ব্যবহার, অপরিকল্পিত মৎস্য আহরণ, প্রজনন মৌসুমে মা-মাছ ও পোনা ধরা, কারেন্ট জাল ব্যবহার, মাছের আবাসস্থল ধ্বংস করা এবং ক্ষতিকর মৎস্য আহরণ সরঞ্জাম ব্যবহার করায় এলাকাগুলো থেকে দেশি মাছ বিলুপ্তির পথে এসে দাঁড়িয়েছে। সংবাদদাতাদের পাঠানো খবর-
নরসিংদী : কথায় আছে মাছে-ভাতে বাঙালি। মাছের প্রতি বাঙালির ঝোঁক চিরকালের। কিন্তু দিন দিন কমছে নদী-খাল-জলাশয়। যেগুলো আছে, তার বেশিরভাগেই হয় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে মাছ চাষ। উন্মুক্ত জলাশয়ে বিনাবাধায় মাছ শিকারের সুযোগ আর তেমন মেলে না। তাই নরসিংদীর খালবিল, পুকুর-জলাশয় ও নদী থেকে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ হারিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে সবচেয়ে সংকটাপন্ন অবস্থায় দেশি জাতের পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ ছোট মাছ। এ জাতীয় মাছের প্রাকৃতিক আবাসভূমি এতটাই দ্রুত বদলে যাচ্ছে, টিকে থাকার উপযোগী জায়গা সংকীর্ণ হতে হতে কোথাও কোথাও প্রায় নিশ্চিহ্ন হওয়ার মুখে। প্রাকৃতিক আবাসস্থল ধ্বংস হওয়া এবং সংরক্ষণে সরকারি বা ব্যক্তি পর্যায়ে উদ্যোগ না থাকায় ছোট মাছ ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে। অন্যদিকে পুকুরে বড় মাছ চাষের আগে ছোট মাছ বিষ দিয়ে মেরে ফেলা হচ্ছে। এছাড়া ব্যবসায়িকভাবে লাভজনক না হওয়ায় ব্যবসায়ীরা এ মাছের প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছেন। এতে করে হারিয়ে যাচ্ছে ছোট প্রজাতির দেশি মাছ। এগুলোর মধ্যে রয়েছে চাপিলা, বৈচা, চাটুয়া, নাপতানি, চাঁদা, নামা চাঁদা, গোল চাঁদা, আইড়, গুলশা, পাবদা, পুঁটি, সরপুঁটি, তিত পুঁটি, বাইলা, মেনি, ভেদা, শিং, কৈ, টাকি, শোল, ফলি, চেলি, মলা, ঢেলা, কানপোনা, দারকিনা, বাচা, বাটা, রিটা, পিয়ালি, জয়া, খৈলশা, বজরি, টেংরা, চান্দা, কাজলি, চ্যাং, ছোট চিংড়ি, বাতাশি, বড় বাইম, তারা বাইম, শাল বাইম, চিকরা বাইম, কাকিয়া, কুঁচিয়া, তারা, খোকসা, খরকুটি, পটকা, কাশখয়রা, টাটকিনি, রয়না, বেলেসহ অনেক প্রজাতির মাছ। একসময় এসব মাছের উৎস ছিল হাওর-বাঁওড়, খালবিল, পুকুর-জলাশয় ও নদী-নালা। জেলার রায়পুরা, মনোহরদী, শিবপুর, পলাশ, বেলাব ও সদর উপজেলার বিভিন্ন জলাশয় ছাড়াও মেঘনা, আড়িয়াল খাঁ, ব্রহ্মপুত্র, পাহাড়িয়া ও শীতলক্ষ্যা নদী থেকে এক দশক আগেও প্রতিদিন জেলার ছোট-বড় বাজারে দেশি জাতের মাছ আসত। এখন বর্ষাকালেও এসব মাছ মিলছে না। শিবপুর উপজেলার দুলালপুর এলাকার আনোয়ার হোসেন স্বপন বলেন, কোনো চাষ ছাড়াই এলাকার বিলে প্রচুর মাছ পাওয়া যেত। বিলের অধিকাংশ এলাকায় বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ, ফসল চাষের আওতায় নেয়া ও কীটনাশক ব্যবহারে এখন মাছই পাওয়া যায় না। নরসিংদীর মৎস্য ব্যবসায়ী হারাধন দাস বলেন, দেশি ছোট মাছের সরবরাহ অনেক হ্রাস পেয়েছে। উৎপাদন কমে যাওয়া হচ্ছে এর প্রধান কারণ। জেলার মৎস্য বিশেষজ্ঞরা জানান, বিলুপ্তির পথে রয়েছে বহু মাছ। হাওর-বাঁওড় ও বিলের গভীরতা কমে যাওয়া, খাল ভরাট, জলাশয়ে বছরের অধিকাংশ সময় পানি না থাকা এবং প্রজনন মৌসুমে পানিপ্রবাহ কমে যাওয়া, জমিতে রাসায়নিক সার ব্যবহার, অপরিকল্পিত মৎস্য আহরণ, প্রজনন মৌসুমে মা-মাছ ও পোনা ধরা, কারেন্ট জাল ব্যবহার, মাছের আবাসস্থল ধ্বংস করা এবং ক্ষতিকর মৎস্য আহরণ সরঞ্জাম ব্যবহারে দেশি প্রজাতির মাছ হারিয়ে যাচ্ছে।
সখিপুর : টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলার বিভিন্ন নদনদী, খালবিল ও জলাশয়ে অবাধে মাছ শিকার করা হচ্ছে। স্থানীয় প্রভাবশালীদের যোগসাজশে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল দিয়ে একশ্রেণীর অসাধু মাছ ব্যবসায়ী এ কাজ করছেন। এতে করে দেশি প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হওয়ার পাশাপাশি প্রজনন ব্যাহত হচ্ছে। জানা যায়, একশ্রেণীর অসাধু জেলে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল, কাঁথা জাল, শুলশুলি জাল ও বাঁশের ঘের দিয়ে অবাধে মাছ শিকার করছে। বিধিমতো মাছের পোনা সংরক্ষণে যেখানে জালের ফাঁস ৪ ইঞ্চির কম করা দণ্ডনীয়, সেখানে ওইসব জালের ফাঁস আধা ইঞ্চি থেকে পৌনে ১ ইঞ্চি। এতে ভরা মৌসুমেও এ অঞ্চলে মাছের সংকট দেখা দিয়েছে। সরেজমিন উপজেলার হামিদপুর, ইন্দ্রাজানি, বেড়বাড়ী, কালীদাস, যাদবপুর, পাথারপুর, চাপড়াবিলসহ বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায়, নিষিদ্ধ জাল ও ঘের দিয়ে মাছ শিকার করায় শিং, কৈ, মলা, পুঁটি, টেংরাসহ অনেক পোনা মাছও আটকা পড়ে ধ্বংস হচ্ছে। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা বলেন, মাছ জাতীয় সম্পদ। দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। সখিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী সরকার রাখী বলেন, দ্রুতই অসাধু জেলেদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে।
রাজৈর : মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট, রাজৈর, কদমবাড়ী, কাশিমপুর, বৈরাগীবাজার, পাইকপাড়া, চৌয়ারীবাড়ী, কবিরাজপুর, হোসেনপুর, বিদ্যানন্দী, ইশিবপুর, আমগ্রাম, পাখুল্লা, লাউশা, লখণ্ডা, বাজিতপুরসহ বিভিন্ন হাটবাজারে অবাধে বিক্রি হচ্ছে ডিমওয়ালা দেশি প্রজাতির মাছ। এতে দেশি প্রজাতির মাছ বিলুপ্তির আশঙ্কা করছে সচেতন মহল। রাজৈর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সন্দীপন মজুমদার বলেন, দেশি ডিমওয়ালা মাছ শিকার না করার ব্যাপারে কোনো ধরনের আইন না থাকায় আমরা কিছু করতে পারছি না। তবে জনগণকে এ বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করা যেতে পারে।