হাওর বার্তা ডেস্কঃ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট জয়কে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের ক্রিকেটের সেরা সাফল্য বলা হয়। গত বছর অক্টোবরে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে তিন দিনেই ইংল্যান্ডকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। ওই সিরিজের পর ঘরের মাঠে পরের সিরিজটিই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলবে মুশফিকুর রহিমের দল। সবকিছু ঠিক থাকলে আগস্টের মাঝামাঝি দুই ম্যাচের টেস্টে সিরিজ খেলতে স্টিভেন স্মিথের দল আসছে বাংলাদেশ সফরে।
বাংলাদেশ টেস্ট দলের নিয়মিত সদস্য ও নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান মুমিনুল হক মনে করেন, ইংল্যান্ডের চেয়ে অস্ট্রেলিয়া সিরিজ কঠিন হবে। কারণ কিছুদিন আগেই অস্ট্রেলিয়ার এ দলটা ভারতের মাটিতে তথা উপমহাদেশের কন্ডিশনে খেলে গেছে। যদিও ওই সিরিজে ভারতের কাছে হেরেছিল অস্ট্রেলিয়া। তবে মুমিনুল বলেছেন, সিরিজটা ড্র হলে খারাপ হবে না। তবে তিনি বিশ্বাস করেন, দুটি ম্যাচই জেতার সামর্থ্য আছে বাংলাদেশের।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজটার জন্য অপেক্ষায় গোটা দেশ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচেই ভালো খেলেছে বাংলাদেশ। প্রথম টেস্ট পঞ্চম দিনের সকালে হেরেছিল মুশফিক বাহিনী। দ্বিতীয় টেস্ট জিতে সিরিজ ড্র করেছিল। অস্ট্রেলিয়া সিরিজ এর চেয়ে কঠিন হবে জানিয়ে গতকাল মুমিনুল হক বলেছেন, ‘আমার মনে হয় ইংল্যান্ডের চেয়ে খানিকটা কঠিন হবে। কিছুদিন আগে অস্ট্রেলিয়া ভারতের কন্ডিশনে খেলে এসেছে। আর ইংল্যান্ড আমাদের বিপক্ষে খেলে ভারতে গিয়েছিল। সবকিছু মিলিয়ে আমার মনে হয় অস্ট্রেলিয়া সিরিজ খানিকটা কঠিন হবে। ওরা এই কন্ডিশনে খেলে এসেছে। আমাদের সেভাবেই প্রস্তুত হতে হবে।’
নিজেদের একশ টেস্টের ইতিহাসে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে চারবার খেলেছে বাংলাদেশ। যার সবকটিই জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। আসন্ন সিরিজেই পরাজয়ের বৃত্ত ভাঙার আশা করছেন টাইগাররা। ২৫ বছর বয়সী মুমিনুল বলেছেন, ‘আমারতো ইচ্ছা ২-০ তে জেতা। এটা আমার নিজের ইচ্ছা। গত কয়েক বছরে আমরা যেভাবে টেস্ট খেলেছি, তাতে করে আমার বিশ্বাস আমরা টেস্ট ম্যাচ জিততে পারি। ১-১ হলেও খারাপ নয়। তবে আমার দৃঢ় বিশ্বাস আমাদের দুটি ম্যাচই জেতার সামর্থ্য রয়েছে। কেননা আগের চেয়ে আমাদের টেস্ট দলটা অনেক ভালো।’
অস্ট্রেলিয়ার পেস আক্রমণে রয়েছেন দ্রুতগতির কয়েকজন ফাস্ট বোলার। জস হ্যাজেলউড, প্যাট কামিন্স, জেমস প্যাটিনসন রয়েছেন দলে। পেস বোলিং অলরাউন্ডার হিল্টন কার্টরাইটও আছেন। স্পিন বিভাগেও বেশ সমৃদ্ধ অস্ট্রেলিয়া। তরুণ অ্যাশটন অ্যাগার ও নাথান লায়ন আছেন দলে। বিশেষ নাথান লায়ন হবেন দলটির বোলিং আক্রমণের মূল অস্ত্র। উপমহাদেশের মাটিতে বল হাতে বেশ সফল তিনি। এছাড়া ব্যাটিংয়ে ডেভিড ওয়ার্নার, অধিনায়ক স্মিথ, উসমান খাজা, ম্যাথু রেনশ, পিটার হ্যান্ডসকম্বের মতো তরুণরা রয়েছেন।
মুমিনুল বলছেন, সার্বিকভাবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজটা অনেক চ্যালেঞ্জিং হবে বাংলাদেশের জন্য। উইকেট যাই হোক তাতে দ্রুত মানিয়ে নিতে পারে অস্ট্রেলিয়ানরা। বাঁহাতি এ টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান গতকাল বলেছেন, ‘যেটাই বলেন না কেন ওদের পেস বোলিং এবং স্পিন বোলিং দুটাই ভালো। যে কোন কন্ডিশনে ওরা নিজেদের মানিয়ে নিতে পারে। আমার কাছে মনে হয় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলাটা অবশ্যই চ্যালেঞ্জিং হবে। আমরা যে ধরনের উইকেটে খেলি সেই ধরনের উইকেটে যে কোন বোলারই আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং হবে।