ঢাকা ০৪:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রক্তস্বল্পতা দেখা দিলে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:২৮:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুলাই ২০১৭
  • ৩৭৪ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ  যা খাবে ফল  শরীরে সহজেই অ্যাবজর্ব হয়ে যায়—এমন খাবার খাওয়া উচিত। ভিটামিন ‘সি’যুক্ত খাবার শরীরে দ্রুতই অ্যাবজর্ব হয়। ভিটামিন ‘সি’র খুব ভালো উৎস হচ্ছে সিট্রাস ফল। যেমন—কমলালেবু, মুসাম্বি কিউয়ি, আম, অ্যাপ্রিকট, স্ট্রবেরি ও তরমুজ। এ ছাড়া আমলকীতেও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ থাকে। লেবুর পানিও খেতে পারেন। বিভিন্ন শুকনো ফল যেমন—আমন্ড, আখরোট, কিশমিশ শরীরে আয়রন তৈরি করতে সাহায্য করে।

সবজি

সবজির রস যেমন—পালং শাকের রস, টমেটোর রস বা বিটের রস খেতে পারেন।

আরো অনেক সবজি রয়েছে, যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রন আছে। পেঁয়াজ, ধনেপাতা, গাজর, মুলা, বিট, সেলেরি, মেথিশাক, ব্রকলি, ক্যাপসিকাম, বাঁধাকপি, আলু, মেথি। এ ছাড়া রাজমা, ছোলার ডাল, সয়াবিন, হুইট জার্ম, কালো তিল, মধু, গুড়, হুইট গ্রাসে আয়রন রয়েছে।

মাছ-মাংস

ডায়েটে আয়রনযুক্ত খাবারের পাশাপাশি পর্যাপ্ত প্রোটিন আছে—এমন খাবারও খাওয়া উচিত। দুধ, ঘরে বানানো পনির, ছানা, ডিম ইত্যাদি খেতে পারেন। পর্যাপ্ত ভিটামিন ‘বি-১২’ এবং ভিটামিন ‘সি’ খেলেও অ্যানিমিয়া প্রতিরোধ হয়। ডায়েটারি আয়রন দুভাবে পাওয়া যায়। হিম ও নন-হিম আয়রন ফর্মে। মাছ-মাংসের প্রোটিনে থাকা হিম আয়রন শরীরে তাড়াতাড়ি শোষিত হয়। লিভার, সামুদ্রিক মাছ, লিন মিট ও মুরগির মাংসে হিম আয়রনের পরিমাণ অনেকটাই বেশি।

যা খাবেন না

অ্যানিমিয়া প্রতিরোধ করতে কোন ধরনের খাবার খাচ্ছেন, সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। চা, কফি এসিডিক পানীয়, শরীরের ডায়েটারি আয়রন তৈরি হতে বাধা দেয়। যদি অতিরিক্ত চা বা কফি পান করা হয়, তাহলে পাকস্থলী ভালোভাবে খাবার হজম করার জন্য পর্যাপ্ত পাচক রস ক্ষরণ করতে পারে না। ফলে আয়রনও তৈরি হয় না এবং অ্যানিমিয়া দেখা দেয়।

জেনে রাখুন

ডিপ ব্রিদিং ও হালকা ব্যায়াম করলেও শরীরে লোহিত রক্ত কণিকার পরিমাণ বাড়বে, যা অ্যানিমিয়া প্রতিরোধ করতে সাহায্য করবে।

 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

রক্তস্বল্পতা দেখা দিলে

আপডেট টাইম : ০৪:২৮:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুলাই ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ  যা খাবে ফল  শরীরে সহজেই অ্যাবজর্ব হয়ে যায়—এমন খাবার খাওয়া উচিত। ভিটামিন ‘সি’যুক্ত খাবার শরীরে দ্রুতই অ্যাবজর্ব হয়। ভিটামিন ‘সি’র খুব ভালো উৎস হচ্ছে সিট্রাস ফল। যেমন—কমলালেবু, মুসাম্বি কিউয়ি, আম, অ্যাপ্রিকট, স্ট্রবেরি ও তরমুজ। এ ছাড়া আমলকীতেও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ থাকে। লেবুর পানিও খেতে পারেন। বিভিন্ন শুকনো ফল যেমন—আমন্ড, আখরোট, কিশমিশ শরীরে আয়রন তৈরি করতে সাহায্য করে।

সবজি

সবজির রস যেমন—পালং শাকের রস, টমেটোর রস বা বিটের রস খেতে পারেন।

আরো অনেক সবজি রয়েছে, যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রন আছে। পেঁয়াজ, ধনেপাতা, গাজর, মুলা, বিট, সেলেরি, মেথিশাক, ব্রকলি, ক্যাপসিকাম, বাঁধাকপি, আলু, মেথি। এ ছাড়া রাজমা, ছোলার ডাল, সয়াবিন, হুইট জার্ম, কালো তিল, মধু, গুড়, হুইট গ্রাসে আয়রন রয়েছে।

মাছ-মাংস

ডায়েটে আয়রনযুক্ত খাবারের পাশাপাশি পর্যাপ্ত প্রোটিন আছে—এমন খাবারও খাওয়া উচিত। দুধ, ঘরে বানানো পনির, ছানা, ডিম ইত্যাদি খেতে পারেন। পর্যাপ্ত ভিটামিন ‘বি-১২’ এবং ভিটামিন ‘সি’ খেলেও অ্যানিমিয়া প্রতিরোধ হয়। ডায়েটারি আয়রন দুভাবে পাওয়া যায়। হিম ও নন-হিম আয়রন ফর্মে। মাছ-মাংসের প্রোটিনে থাকা হিম আয়রন শরীরে তাড়াতাড়ি শোষিত হয়। লিভার, সামুদ্রিক মাছ, লিন মিট ও মুরগির মাংসে হিম আয়রনের পরিমাণ অনেকটাই বেশি।

যা খাবেন না

অ্যানিমিয়া প্রতিরোধ করতে কোন ধরনের খাবার খাচ্ছেন, সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। চা, কফি এসিডিক পানীয়, শরীরের ডায়েটারি আয়রন তৈরি হতে বাধা দেয়। যদি অতিরিক্ত চা বা কফি পান করা হয়, তাহলে পাকস্থলী ভালোভাবে খাবার হজম করার জন্য পর্যাপ্ত পাচক রস ক্ষরণ করতে পারে না। ফলে আয়রনও তৈরি হয় না এবং অ্যানিমিয়া দেখা দেয়।

জেনে রাখুন

ডিপ ব্রিদিং ও হালকা ব্যায়াম করলেও শরীরে লোহিত রক্ত কণিকার পরিমাণ বাড়বে, যা অ্যানিমিয়া প্রতিরোধ করতে সাহায্য করবে।