ঢাকা ০৪:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রায়পুরায় মেঘনার ভাঙনের হুমকিতে ৩ শতাধিক বাড়ি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৮:৫৪:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুলাই ২০১৭
  • ৩০২ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ  রায়পুরা উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চল চানপুর ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামে মেঘনার ভাঙন শুরু হয়েছে। গত শনিবার রাতে ইউনিয়নের কালিকাপুরে ৫/৬টি বাড়ি মেঘনা গর্ভে সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে গেছে। ইতিপূর্বে ভাঙনে বিলীন হয়েছে আরো ৫০টির বেশি বাড়ি। হুমকির মুখে পড়েছে আরো তিন শতাধিক বাড়িঘর।

চানপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোমেন সরকার জানিয়েছেন, ভাঙনের হুমকিতে পড়েছে তিন শতাধিক বাড়িঘর। এসব পরিবারের দ্রুত মানবিক সহায়তা প্রয়োজন।

চৌহালীতে অর্ধ লক্ষাধিক  বানভাসী মানুষের দুর্ভোগ

চৌহালী (সিরাজগঞ্জ) সংবাদদাতা জানান, চৌহালীতে ৭টি ইউনিয়নে প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক বানভাসী মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে। ঘর তলিয়ে যাবার ১০/১২ দিন পর ১০ কেজি করে চাল পেয়েছে আটশ পরিবার। সংকট দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির। চৌহালী উপজেলা চেয়ারম্যান মেজর (অব.) আব্দুল্লাহ আল মামুন, বরাদ্দের অপ্রতুল চাল দুর্গত চর গুলোতে নিয়ে গেলে কার্ডধারীরা নিয়ম মাফিক পেলেও বঞ্চিত বানভাসী অসহায় মানুষ তাদের ঘিরে ধরে। জোড় দাবি তোলেন সাহায্যের জন্য। উপায় না বুঝে বিতরণ শেষেই শটকে পড়েন বিতরণকারীরা। এদিকে সদিয়াচাঁদপুর ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদুল ইসলাম সিরাজ জানান, আমার ইউনিয়নে বন্যাকবলিত অসহায় পরিবার প্রায় সাড়ে ৩ হাজার। বরাদ্দ মাত্র ৮শ’ পরিবারের জন্য। তাহলে আমি বাকিদের কিভাবে সহযোগিতা করবো।

গাইবান্ধায় বন্যাকবলিত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সংকট

গাইবান্ধা প্রতিনিধি জানান, ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘট নদীর পানি রবিবার আরো কমে যাওয়ায় গাইবান্ধার ৪টি উপজেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরো উন্নতি হয়েছে। কিন্তু পানিবন্দি মানুষ খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সঙ্কট থেকে এখনও উত্তরণ পান নাই। হলদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ইয়াকুব আলী জানান, একদিকে পানিবন্দি মানুষের হাহাকার, অন্যদিকে নদী ভাঙন কবলিত মানুষের আক্ষেপ। সরকার যে সামান্য ত্রাণ দিয়েছে, তা কাকে রেখে কাকে দেই। গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান জানান, গো-ঘাট এলাকায় বালুর বস্তা ফেলার কাজ করছে। কিন্তু ঠেকানো যাচ্ছে না ভাঙন। তাই স্থায়ী প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। তবে চরাঞ্চলের ভাঙন ঠেকাতে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

রায়পুরায় মেঘনার ভাঙনের হুমকিতে ৩ শতাধিক বাড়ি

আপডেট টাইম : ০৮:৫৪:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুলাই ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ  রায়পুরা উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চল চানপুর ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামে মেঘনার ভাঙন শুরু হয়েছে। গত শনিবার রাতে ইউনিয়নের কালিকাপুরে ৫/৬টি বাড়ি মেঘনা গর্ভে সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে গেছে। ইতিপূর্বে ভাঙনে বিলীন হয়েছে আরো ৫০টির বেশি বাড়ি। হুমকির মুখে পড়েছে আরো তিন শতাধিক বাড়িঘর।

চানপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোমেন সরকার জানিয়েছেন, ভাঙনের হুমকিতে পড়েছে তিন শতাধিক বাড়িঘর। এসব পরিবারের দ্রুত মানবিক সহায়তা প্রয়োজন।

চৌহালীতে অর্ধ লক্ষাধিক  বানভাসী মানুষের দুর্ভোগ

চৌহালী (সিরাজগঞ্জ) সংবাদদাতা জানান, চৌহালীতে ৭টি ইউনিয়নে প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক বানভাসী মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে। ঘর তলিয়ে যাবার ১০/১২ দিন পর ১০ কেজি করে চাল পেয়েছে আটশ পরিবার। সংকট দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির। চৌহালী উপজেলা চেয়ারম্যান মেজর (অব.) আব্দুল্লাহ আল মামুন, বরাদ্দের অপ্রতুল চাল দুর্গত চর গুলোতে নিয়ে গেলে কার্ডধারীরা নিয়ম মাফিক পেলেও বঞ্চিত বানভাসী অসহায় মানুষ তাদের ঘিরে ধরে। জোড় দাবি তোলেন সাহায্যের জন্য। উপায় না বুঝে বিতরণ শেষেই শটকে পড়েন বিতরণকারীরা। এদিকে সদিয়াচাঁদপুর ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদুল ইসলাম সিরাজ জানান, আমার ইউনিয়নে বন্যাকবলিত অসহায় পরিবার প্রায় সাড়ে ৩ হাজার। বরাদ্দ মাত্র ৮শ’ পরিবারের জন্য। তাহলে আমি বাকিদের কিভাবে সহযোগিতা করবো।

গাইবান্ধায় বন্যাকবলিত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সংকট

গাইবান্ধা প্রতিনিধি জানান, ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘট নদীর পানি রবিবার আরো কমে যাওয়ায় গাইবান্ধার ৪টি উপজেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরো উন্নতি হয়েছে। কিন্তু পানিবন্দি মানুষ খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সঙ্কট থেকে এখনও উত্তরণ পান নাই। হলদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ইয়াকুব আলী জানান, একদিকে পানিবন্দি মানুষের হাহাকার, অন্যদিকে নদী ভাঙন কবলিত মানুষের আক্ষেপ। সরকার যে সামান্য ত্রাণ দিয়েছে, তা কাকে রেখে কাকে দেই। গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান জানান, গো-ঘাট এলাকায় বালুর বস্তা ফেলার কাজ করছে। কিন্তু ঠেকানো যাচ্ছে না ভাঙন। তাই স্থায়ী প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। তবে চরাঞ্চলের ভাঙন ঠেকাতে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।