হাওর বার্তা ডেস্কঃ মুন্সীগঞ্জ জেলা স্টেডিয়ামে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিকমানের ক্রিকেট পিচ নির্মাণ হচ্ছে। ক্রিকেটারদের দীর্ঘদিনের দাবি মেটাতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আর্থিক সহায়তায় ও তত্ত্বাবধানে দুইটি ক্রিকেট পিচ নির্মাণের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। আর মাত্র ১০ থেকে ১২ দিনের মধ্যে পিচ দুইটি নির্মাণের কাজ শেষ হবে জানা গেছে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সূত্রে।
মুন্সীগঞ্জ জেলা ক্রিকেট দলের অন্যতম পেসার মেহরাব হোসেন জোসি বলেন, ‘মুন্সীগঞ্জে এই প্রথম টার্ফ পিচ নির্মাণ করা হচ্ছে। এই জন্য আমিসহ দলের সবাই খুব খুশি। কারণ আমরা এখন নিয়মিত টার্ফ পিচে অনুশীলন করতে পারব। এজন্য জেলা ক্রীড়া সংস্থার সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।
জেলা ক্রিকেট দলের বর্তমান অধিনায়ক আহমেদ জামান লিখন বলেন, ‘টার্ফ পিচ নির্মাণের খবরে আমরা সবাই খুশি। আমরা দীর্ঘদিন যাবত ক্রিকেট খেললেও টার্ফ পিচ পাইনি। এখন নতুন পিচে খেলা অনুশীলন করা যাবে। নতুন খেলোয়াড়রাও এই সুযোগটি গ্রহণ করতে পারবে।
মুন্সীগঞ্জ জেলা ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক শিহাবুল হাসান জানান, ‘অনেকদিন পর একটা ভালো উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এজন্য আমি এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। তবে পিচ তৈরির পাশাপাশি ক্রিকেট প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা করতে হবে। বয়সভিত্তিক ক্রিকেটসহ সকল প্রকার ক্রিকেট খেলার আয়োজন করতে হবে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পিচ তত্ত্বাবধায়ক শফিউল আলম বেলাল হাওর বার্তাকে জানান, ‘মুন্সীগঞ্জে আমরা দুইটি আন্তর্জার্তিকমানের পিচ তৈরি করছি। এর একটির কাজ প্রায় ৭০ ভাগ শেষ। আরও একটির কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। আর সপ্তাহখানেকের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারব বলে আশা করি।
তবে পিচ শুধু তৈরি করলেই হবে না, সেটা নিয়মিতভাবে সংরক্ষণও করতে হবে বলে জানান তিনি।.
জেলা ক্রিকেট সংস্থার সদস্য ও ক্রিকেট কমিটির সদস্য সচিব মোঃ জুনায়েদ হোসেন বলেন, ‘এটা মুন্সীগঞ্জের ক্রিকেটারদের অনেকদিনের দাবি ছিল। ক্রিকেটাররা সবাই খুব খুশি। মুন্সীগঞ্জের পক্ষ থেকে বিসিবি’র সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনসহ সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানাই।
মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি সায়লা ফারজানা হাওর বার্তাকে বলেন, ‘জেলা স্টেডিয়ামের সার্বিক উন্নয়নের জন্য জেলা এডহক কমিটি সাবেক জাতীয় ক্রিকেটার গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর মাধ্যমে বিসিবি বরাবর একটি চাহিদাপত্র পাঠায়। সেই অনুসারে এই টার্ফ পিচ নির্মাণের কাজ চলছে। এর কাজ শেষ হলে অন্যান্য উন্নয়ন কাজও হাতে নেওয়া হবে।