হাওর বার্তা ডেস্কঃ নরসিংদীতে আখের চাহিদা ও দাম বেশি হওয়ায় আখ চাষিদের মুখে সাফল্যের হাসি ফুটেছে। লাভজনক হওয়ায় এখন অনেক চাষিই আখ চাষে ঝুঁকে পড়েছেন। শিবপুর উপজেলায় এবার ২৫ হেক্টর জমিতে আখ চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগ চিবিয়ে খাওয়া হলুদ গেন্ডারি, মিশ্রিমালা, অমৃত, ঈশ্বরদী-২৪, ২৮, কাজলা, টেনাই, পটাপটি জাতের। চিনি বা গুড় করার জন্য শক্ত জাতের আখের চাষ নেই বললেই চলে। উপজেলার মুন্সেফেরচর, শালুরদিয়া, খড়িয়া ও দুলালপুর এলাকায় আখ চাষ বেশি হয়েছে।
কৃষকরা জানান, এক সময় শিবপুরেও ব্যাপক চাষ হতো। কৃষকরা ন্যায্য দাম না পাওয়া এবং নানা অব্যবস্থাপনায় জেলার দেশবন্ধু সুগার মিল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখন এ জাতীয় আখ চাষ হয় না। তবে চিবিয়ে খাওয়া আখের চাহিদা ব্যাপক। এটি লাভজনক ফসল। বছরে একবার ফলান হলেও বিক্রি করে মোটা অংকের টাকা আয় হয়।
মুন্সেফেরচর গ্রামের কৃষক রতন মিয়া এ বছর ১০৫ হেক্টর জমিতে হলুদ বর্ণের গেন্ডারি চাষ করেছেন। এতে প্রায় ৪০ হাজার টাকা উৎপাদন খরচ হয়েছে। তিনি আখ বিক্রি শুরু করেছেন। এতে তার ২ লাখ টাকা আয় হবে বলে জানান। খড়িয়া গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান, তিনি ৫৫ শতাংশ জমিতে আখ চাষ করেছেন। এতে প্রায় ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। তিনি জমিতেই পাইকারদের কাছে ৯৫ হাজার টাকা বিক্রি করেছেন।
কৃষকরা জানান, উপজেলা কৃষি বিভাগ তাদের প্রশিক্ষণ দিলে আখ চাষ ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাবে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হানিফ সিকদার জানান, এ বিষয়ে কৃষকের সঙ্গে আলোচনা করে উদ্যোগ নেয়া হবে।