ঢাকা ১১:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৮ বছর ধরে সৎমেয়েকে ধর্ষণ: ‘ধর্ষকের’ রিমান্ড

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৮:০৬:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুলাই ২০১৭
  • ৩০৩ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ  আট বছর ধরে সৎ মেয়েকে ধর্ষণকারী পাষণ্ড বাবা আরমান হোসেন সুমনের  (৩৮) দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) আরমানকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে ৫ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন কাউন্টার টেরিরিজম ইউনিটের সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং টিমের পুলিশ পরিদর্শক মো. নাজমুল নিশাত।

তবে আসামির রিমান্ড বাতিল করে জামিনের আবেদন করেন তার আইনজীবী ফয়সাল মাহমুদ। রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন আদালতের রমনা থানা নারী ও শিশু জেনারেল শাখার জিআরও শরিফুল ইসলাম।

শুনানি শেষে জামিন আবেদন নাকচ করে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জাকির হোসেন টিপু ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে মঙ্গলবার (১১ জুলাই) রাতে রমনা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ও তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় আরমানের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন ওই তরুণী।

প্রাথমিক তদন্ত শেষে বুধবার (১২ জুলাই) রাতে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেল থেকে চাকরিচ্যুত শব্দ প্রকৌশলী আরমানকে গ্রেফতার করা হয়।  গ্রেফতার আরমান একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের শব্দ প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত বলে নিজের পরিচয়

মামলার এজাহারে মেয়েটি উল্লেখ করেন, তার বাবার সঙ্গে মায়ের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। ২০০৫ সালে আরমান হোসেনকে বিয়ে করেন তার মা। দ্বিতীয় বিয়ের এক বছর পর থেকে মায়ের কাছে থাকা শুরু করেন মেয়েটি। চাকরির কারণে মেয়েটির মা মোহাম্মদপুরের নুরজাহান রোডের বাড়ি থেকে সকালে কর্মস্থলে চলে যেতেন। ২০০৮ সালের কোনো একদিন দুপুরে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েটিকে আরমান প্রথম ধর্ষণ করেন। এ সময় মেয়েটির আপত্তিকর ছবি মোবাইলে তুলে রাখেন আরমান। ছবি ও ভিডিও প্রকাশের হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে আরমান এরপর থেকে প্রায়ই ধর্ষণ করে আসছিলেন বলে অভিযোগ করেন মেয়েটি।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০১৫ সালে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে পরে গর্ভপাত ঘটান। এরপরও তার ওপর নির্যাতন চালিয়ে যান আরমান। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে ওই মেয়ে তার এক নিকটাত্মীয়ের বাড়িতে চলে আসেন। সেখানেও কুপ্রস্তাব পাঠাতে থাকেন আরমান। এতে রাজি না হওয়ায় মেয়েটির এক বন্ধুকে ভিডিও ও অডিও ক্লিপ পাঠান আরমান। এ ছাড়া আরমানের বিরুদ্ধে ফেসবুকে দুটি নকল আইডি খুলে মেয়েটি তাঁর ছবিযুক্ত করার অভিযোগ আনেন।

মেয়েটির ঘনিষ্ঠ এক সূত্র থেকে জানা গেছে, আরমানের এই নির্যাতনের কথা মেয়েটির মা জানলেও কিছুই করতে পারেননি। দু-একবার চেষ্টা করলেও তাকে নানাভাবে হুমকি দিতেন আরমান।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

৮ বছর ধরে সৎমেয়েকে ধর্ষণ: ‘ধর্ষকের’ রিমান্ড

আপডেট টাইম : ০৮:০৬:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুলাই ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ  আট বছর ধরে সৎ মেয়েকে ধর্ষণকারী পাষণ্ড বাবা আরমান হোসেন সুমনের  (৩৮) দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) আরমানকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে ৫ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন কাউন্টার টেরিরিজম ইউনিটের সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং টিমের পুলিশ পরিদর্শক মো. নাজমুল নিশাত।

তবে আসামির রিমান্ড বাতিল করে জামিনের আবেদন করেন তার আইনজীবী ফয়সাল মাহমুদ। রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন আদালতের রমনা থানা নারী ও শিশু জেনারেল শাখার জিআরও শরিফুল ইসলাম।

শুনানি শেষে জামিন আবেদন নাকচ করে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জাকির হোসেন টিপু ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে মঙ্গলবার (১১ জুলাই) রাতে রমনা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ও তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় আরমানের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন ওই তরুণী।

প্রাথমিক তদন্ত শেষে বুধবার (১২ জুলাই) রাতে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেল থেকে চাকরিচ্যুত শব্দ প্রকৌশলী আরমানকে গ্রেফতার করা হয়।  গ্রেফতার আরমান একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের শব্দ প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত বলে নিজের পরিচয়

মামলার এজাহারে মেয়েটি উল্লেখ করেন, তার বাবার সঙ্গে মায়ের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। ২০০৫ সালে আরমান হোসেনকে বিয়ে করেন তার মা। দ্বিতীয় বিয়ের এক বছর পর থেকে মায়ের কাছে থাকা শুরু করেন মেয়েটি। চাকরির কারণে মেয়েটির মা মোহাম্মদপুরের নুরজাহান রোডের বাড়ি থেকে সকালে কর্মস্থলে চলে যেতেন। ২০০৮ সালের কোনো একদিন দুপুরে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েটিকে আরমান প্রথম ধর্ষণ করেন। এ সময় মেয়েটির আপত্তিকর ছবি মোবাইলে তুলে রাখেন আরমান। ছবি ও ভিডিও প্রকাশের হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে আরমান এরপর থেকে প্রায়ই ধর্ষণ করে আসছিলেন বলে অভিযোগ করেন মেয়েটি।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০১৫ সালে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে পরে গর্ভপাত ঘটান। এরপরও তার ওপর নির্যাতন চালিয়ে যান আরমান। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে ওই মেয়ে তার এক নিকটাত্মীয়ের বাড়িতে চলে আসেন। সেখানেও কুপ্রস্তাব পাঠাতে থাকেন আরমান। এতে রাজি না হওয়ায় মেয়েটির এক বন্ধুকে ভিডিও ও অডিও ক্লিপ পাঠান আরমান। এ ছাড়া আরমানের বিরুদ্ধে ফেসবুকে দুটি নকল আইডি খুলে মেয়েটি তাঁর ছবিযুক্ত করার অভিযোগ আনেন।

মেয়েটির ঘনিষ্ঠ এক সূত্র থেকে জানা গেছে, আরমানের এই নির্যাতনের কথা মেয়েটির মা জানলেও কিছুই করতে পারেননি। দু-একবার চেষ্টা করলেও তাকে নানাভাবে হুমকি দিতেন আরমান।