ঢাকা ০৩:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খবরের জের, মধ্যপ্রদেশের অভাবী কৃষকের পাশে প্রশাসন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৫৬:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ জুলাই ২০১৭
  • ৩২০ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ  জমিতে নিজের দুই মেয়েকে বলদের মতো লাঙল টানাচ্ছেন বাবা। মধ্যপ্রদেশের সেহরের এই ঘটনায় দেশ জুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। বিজেপি শাসিত সরকার কৃষকবিরোধী বলে অভিযোগ ওঠে। সংবাদমাধ্যম বিষয়টি নিয়ে হইচই করার পর অবশেষে মধ্যপ্রদেশের সেহর জেলার অভাবী কৃষকের পাশে দাঁড়াল প্রশাসন। সরদার বারেলা নামে ওই চাষির দুই মেয়ের পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়েছে সরকার। ওই কৃষককে চাষের সামগ্রী কিনে দেওয়া হবে।

[টাকার অভাবে মেয়েদেরকে বলদ হিসাবে খাটাচ্ছেন বাবা! লজ্জার ছবি মধ্যপ্রদেশে]

প্রথমে অস্বীকার, নানা অছিলায় বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা। পাশাপাশি বিষয়টি চেপে যেতে কৃষককে ক্রমাগত শাসানি। নানা ছকে সেহরের ঘটনা পাশ কাটাতে চেয়েছিল বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশ সরকার। এই নিয়ে একাধিক সংবাদমাধ্যম খবর করার পর শেষ পর্যন্ত পিছু হটতে বাধ্য হয় প্রশাসন। কৃষক সরদার বারেলার দুই মেয়ে রাধা ও কুন্তীর পড়াশোনার দায়িত্ব নিল মধ্যপ্রদেশ সরকার। সেহরের আদিবাসী কৃষক পরিবারকে সাহায্যের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। তাদের বিপিএল কার্ড দেওয়া হচ্ছে। ওই কৃষক যাতে ভরতুকিতে রেশন পান তার জন্য ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। তাঁকে চাষের যন্ত্রপাতি দেওয়া হবে। চন্দ্রমোহন মিশ্র নামে এক আধিকারিকের বক্তব্য, খবর পাওয়া মাত্র স্থানীয় জনপদ পঞ্চায়েতের এক কর্মীকে ওই পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়।

[মধ্যপ্রদেশে কৃষক বিক্ষোভ, অনশনে খোদ মুখ্যমন্ত্রী]

প্রশাসন একথা এখন বললেও এর পিছনে রয়েছে নানা গল্প। প্রথমে ভিডিওটির সত্যতা মানতে চায়নি জেলা প্রশাসন। তাদের বক্তব্য ছিল, দিব্যি চাষ করছিলেন ওই কৃষক। তেমন কোনও অভাব ছিল না। লাঙল টানানো নয়, বালিকাদের জমির আগাছা পরিষ্কারের কাজে ব্যবহার করা হয়েছিল। এমন সব যুক্তি দিয়েছিলেন সরকারি আধিকারিকরা। অভিযোগ, স্থানীয় পঞ্চায়েত বিষয়টি ধামাচাপা দিতে কৃষক সরদার বারেলাকে মিডিয়ার কাছে মুখ খুলতে বারণ করেছিল। ফের এমন করলে জেলে যেতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল।  সরদারের খবর জানতে পেরে কর্নাটকের কৃষিমন্ত্রী ডি কে শিবকুমার তাঁকে ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্যের কথা জানিয়েছেন। সেহর জেলার ২০ ভাগ বাসিন্দা দারিদ্রসীমার নিচে বসবাস করেন। আদিবাসী প্রভাবিত এই এলাকার প্রধান পেশা কৃষিকাজ। গত ১ মাসে আর্থিক অনটনের জেরে মধ্যপ্রদেশে ৫১ জন কৃষক আত্মঘাতী হন। সবথেকে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ছিল এই সেহর জেলায়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

খবরের জের, মধ্যপ্রদেশের অভাবী কৃষকের পাশে প্রশাসন

আপডেট টাইম : ১০:৫৬:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ জুলাই ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ  জমিতে নিজের দুই মেয়েকে বলদের মতো লাঙল টানাচ্ছেন বাবা। মধ্যপ্রদেশের সেহরের এই ঘটনায় দেশ জুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। বিজেপি শাসিত সরকার কৃষকবিরোধী বলে অভিযোগ ওঠে। সংবাদমাধ্যম বিষয়টি নিয়ে হইচই করার পর অবশেষে মধ্যপ্রদেশের সেহর জেলার অভাবী কৃষকের পাশে দাঁড়াল প্রশাসন। সরদার বারেলা নামে ওই চাষির দুই মেয়ের পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়েছে সরকার। ওই কৃষককে চাষের সামগ্রী কিনে দেওয়া হবে।

[টাকার অভাবে মেয়েদেরকে বলদ হিসাবে খাটাচ্ছেন বাবা! লজ্জার ছবি মধ্যপ্রদেশে]

প্রথমে অস্বীকার, নানা অছিলায় বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা। পাশাপাশি বিষয়টি চেপে যেতে কৃষককে ক্রমাগত শাসানি। নানা ছকে সেহরের ঘটনা পাশ কাটাতে চেয়েছিল বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশ সরকার। এই নিয়ে একাধিক সংবাদমাধ্যম খবর করার পর শেষ পর্যন্ত পিছু হটতে বাধ্য হয় প্রশাসন। কৃষক সরদার বারেলার দুই মেয়ে রাধা ও কুন্তীর পড়াশোনার দায়িত্ব নিল মধ্যপ্রদেশ সরকার। সেহরের আদিবাসী কৃষক পরিবারকে সাহায্যের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। তাদের বিপিএল কার্ড দেওয়া হচ্ছে। ওই কৃষক যাতে ভরতুকিতে রেশন পান তার জন্য ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। তাঁকে চাষের যন্ত্রপাতি দেওয়া হবে। চন্দ্রমোহন মিশ্র নামে এক আধিকারিকের বক্তব্য, খবর পাওয়া মাত্র স্থানীয় জনপদ পঞ্চায়েতের এক কর্মীকে ওই পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়।

[মধ্যপ্রদেশে কৃষক বিক্ষোভ, অনশনে খোদ মুখ্যমন্ত্রী]

প্রশাসন একথা এখন বললেও এর পিছনে রয়েছে নানা গল্প। প্রথমে ভিডিওটির সত্যতা মানতে চায়নি জেলা প্রশাসন। তাদের বক্তব্য ছিল, দিব্যি চাষ করছিলেন ওই কৃষক। তেমন কোনও অভাব ছিল না। লাঙল টানানো নয়, বালিকাদের জমির আগাছা পরিষ্কারের কাজে ব্যবহার করা হয়েছিল। এমন সব যুক্তি দিয়েছিলেন সরকারি আধিকারিকরা। অভিযোগ, স্থানীয় পঞ্চায়েত বিষয়টি ধামাচাপা দিতে কৃষক সরদার বারেলাকে মিডিয়ার কাছে মুখ খুলতে বারণ করেছিল। ফের এমন করলে জেলে যেতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল।  সরদারের খবর জানতে পেরে কর্নাটকের কৃষিমন্ত্রী ডি কে শিবকুমার তাঁকে ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্যের কথা জানিয়েছেন। সেহর জেলার ২০ ভাগ বাসিন্দা দারিদ্রসীমার নিচে বসবাস করেন। আদিবাসী প্রভাবিত এই এলাকার প্রধান পেশা কৃষিকাজ। গত ১ মাসে আর্থিক অনটনের জেরে মধ্যপ্রদেশে ৫১ জন কৃষক আত্মঘাতী হন। সবথেকে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ছিল এই সেহর জেলায়।