হাওর বার্তা ডেস্কঃ কাতারের উপর সৌদি আরবের অবরোধের কারণে মারা পড়ছে শত শত উট। সৌদি ভূখণ্ড থেকে কাতারের কৃষকদের বহিষ্কারের কারণে পানির অভাবে মারা যাচ্ছে এসব প্রাণী। দুটি দেশের মধ্যে কূটনীতিক টানাপোড়েন শুরু হলে তার প্রভাব গিয়ে পড়ে উটগুলোর উপরও। আগে মুক্তভাবে পানি ও খাবার গ্রহণ করতে পারলেও এখন সৌদি সীমান্তে চলাচল করতে পারছে না কাতারের কৃষকদের উঠগুলো।
দুদেশের সীমান্তে অনেক উটকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা গেছে। অবরোধ শুরু হওয়ার পর সৌদি সীমান্ত থেকে উটগুলো ফিরিয়ে নিয়ে আসতে কৃষকরা বেশ ঝামেলায় পড়ে গিয়েছিল।
খুব অল্প সময়ের নোটিশে সৌদি ছাড়ার নির্দেশনা আসলে কৃষকরা বেশ বিপাকে পড়ে। নিজেদের উট চিহ্নিত করতে বেশ কষ্ট পোহাতে হয়। আর অল্প সময়ের মধ্যে বিশাল সংখ্যক উট নিরাপদ জায়গায় নিয়ে আসা যায়নি।
জানা গেছে, প্রতিদিন মাত্র কয়েকশ’ উটকে সীমান্ত পার হতে দেওয়া হতো। বেশিরভাগ উটকেই এমন একটি জায়গায় জড়ো করা হয়েছিল যেখানে তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রির উপরে। কাতারের উপর অবরোধ আরোপ করা হলে সৌদি আরব থেকে কাতারি কৃষকদের কিছু অংশ প্রথম দিকেই ফিরে আসে। কিন্তু বেশিরভাগ কৃষকই দুই সপ্তাহেও ফিরতে পারেননি।
কাতারের আবু সামরার এলাকার হুসেইন এল মারি নামে একজন উট মালিক বলেন, আমি সৌদি আরব থেকে ফিরেছি। দেখেছি রাস্তার পাশে একশ’রও বেশি মৃত উট। এছাড়া রয়েছে মালিকবিহীন শত শত উট ও ভেড়া।
বিভিন্ন প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, কাতার অবরোধের ফলে ১২ হাজার থেকে ২৫ হাজার প্রাণীর উপর প্রভাব পড়েছে। অনেক প্রাণী হারিয়ে গেছে। খাবার ও পানির অভাবে কয়েকশ’ মারা গেছে।
উল্লেখ্য, সৌদি আরবের সঙ্গে কাতারের একমাত্র স্থল সীমান্ত। প্রায় ৪৪০০ কিলোমিটার সীমান্তে উট ও ভেড়াকে ঘাস খাওয়ানোর জন্য প্রতিবেশী দেশটির ভূখণ্ডও ব্যবহার করতেন কাতারের কৃষকরা। কিন্তু সন্ত্রাসবাদের সমর্থন দেয়ার কথিত অভিযোগ এনে গত ৫ জুন কাতারের ওপর সর্বাত্মক অবরোধ আরোপ করে সৌদি জোট। বন্ধ করে দেয়া হয় সীমান্ত। এর প্রভাব পড়ে উট ও ভেড়ার মতো নিরীহ প্রাণীর উপরও।