হাওর বার্তা ডেস্কঃ মৌলভীবাজারের বড়লেখায় পাহাড় ধসে মা ও মেয়ে নিহতের ঘটনায় টিলার পাদদেশে বসবাসকারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসনও অনেকটা নড়েচড়ে বসেছে। প্রশাসনের দাবি, প্রশাসন মাইকিং করেও ঝুঁকিপূর্ণ বাড়িঘর থেকে তাদের সরাতে পারেনি। গত ১৭ জুন রাতের টিলাধসে মাটিচাপার ঘটনার পর আতঙ্কিত অনেকে স্বেচ্ছায় এখান থেকে সরে যায়। গত সোমবার পাহাড়ি দুর্গম এলাকার ২৫ পরিবার নিরাপদ স্থানে সরে গেছে।
গত ১৭ জুন রাতে পাহাড় ধসে নিহতরা হচ্ছে ডিমাই গ্রামের মৃত আব্দুস ছাত্তারের স্ত্রী আফিয়া বেগম (৪০) ও তার মেয়ে কেছরীগুল উচ্চবিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী ফাহমিদা বেগম। আব্দুস ছাত্তারও ২০০৫ সালে টিলার মাটিচাপায় মারা যান। বোবারথল এলাকায় অবৈধ টিলা কাটতে গিয়ে ২০১৫ সালে মাটিচাপায় আরো তিন শ্রমিক নিহত হন। ২০১৪ সালের ৯ মে উপজেলার শাহবাজপুর চা বাগানে টিলাধসে শিশুসহ চা শ্রমিক পরিবারের তিন সদস্য মারা যান। এ নিয়ে গত চার বছরে বড়লেখায় টিলাধসে ৩৩ জনের মৃত্যু হলো।
সরেজমিন ঘুরে দেখার সময় উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর ডিমাই, মধ্যডিমাই, বিওসি কেছরীগুল এবং দণি শাহবাজপুর ইউনিয়নের বোবারথল এলাকায় টিলার নিচে বসবাসকারীদের কয়েক পরিবারকে বাড়িঘর ছাড়তে দেখা গেছে। তবে কাসেমনগর, বোবারথল, পেকুছড়া, ষাটঘরি, মোহাম্মদনগর, ছোটলেখাসহ আরো কয়েকটি এলাকার অধিকাংশ পরিবার এষনও পাহাড় ধ্বসে পড়ার ঝুঁকির মধ্যেও বসবাস করছে। সদর ইউনিয়নের বেকিছড়া, লামাবেকি, তেরাছড়াসহ অন্যান্য এলাকায় টিলার পাদদেশে অনেক পরিবারকে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস করতে দেখা গেছে।
বড়লেখা সদর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার সৈয়দ লুৎফুর রহমান জানান, তার এলাকায় অন্তত ৫০টি পরিবার চরম ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে। ভারী বর্ষণে অনেকের বসতঘরও আংশিক ধসে পড়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, মাটিচাপায় মা ও মেয়ে নিহতের ঘটনায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। দুই ইউনিয়নের দুর্গম এলাকার অন্তত ২৫টি পরিবার ঝুঁকিপূর্ণ বসতঘর থেকে সরে যায়।