ঢাকা ০৪:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ২৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুসলিম যুবকের সমকামী বিয়ে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৮:৩০:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুলাই ২০১৭
  • ২৭৭ বার
হাওর বার্তা ডেস্কঃ  হাজারো ঝড়ঝাপটা, বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে অবশেষে দাম্পত্য জীবনে পা রাখলেন সমকামী মুসলিম যুবক জাহেদ চৌধুরি। এটাই ব্রিটেনের ইতিহাসে প্রথম মুসলিম সমকামী বিয়ে। জাহেদ এবং শন রোগান গত ২২ জুন বিয়ে করেন ওই দুই সমকামী যুবক।
জীবনে চলার পথ মোটেও মসৃণ ছিল না জাহেদের। নিজের পরিবারেই বহিরাগতদের মতো থাকতে হত তাকে। ছিলেন ব্রাত্য। সমবয়সি আর পাঁচটা ছেলের মতো ফুটবল নয়, তাকে মেয়েদের ফ্যাশন-পোশাক টানত বেশি। ফলস্বরূপ স্কুলজীবনে সহপাঠীদের হেনস্তার শিকার হতে হয় তাকে। ছোটবেলার কথা বলতে গিয়ে গলা ধরে আসে জাহেদের। বলেন, ‘সবাই আমার গায়ে থুতু ছেটাত, ডাস্টবিন ছুড়ে মারত, শুয়োর বলত। বিশেষ করে মুসলিমরা আমাকে হারাম বলে গালি দিত। আমাদের ধর্মে এই কথা খুবই খারাপ।’
তারপর যত বড় হয়েছেন, রাস্তাঘাটে ঘৃণার পাত্রে পরিণত হন তিনি। এমনকী স্থানীয় মসজিদের দরজাও তার জন্য বন্ধ হয়ে যায়। তার সমকামিতাকে কুনজরে দেখতে শুরু করে সবাই। যখন সমাজ থেকে পুরোপুরি ব্রাত্য হওয়ার মুখে তখনই রোগানের সঙ্গে দেখা হয় জাহেদের। বেঞ্চের উপর কাঁদছিলেন তিনি, তখনই তার কাছে আসেন রোগান। জাহেদের পাশে দাঁড়িয়ে জীবনযুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা জোটান রোগান। তারপর ধীরে ধীরে ঘনিষ্ঠ হন দু’জনে। শেষপর্যন্ত বিয়ে। বিয়ের পর দুজনেই স্পেনে গিয়েছিলেন মধুচন্দ্রিমায়। তিনি বলেছেন, ‘মধুচন্দ্রিমা ছিল এক্কেবারে সতেজ বাতাসের মতো। যেখানে আমাকে কেউ চেনে না। নিজেকে মুক্ত মনে হচ্ছিল।’
প্রায় একমাস কেটে গেছে বিয়ের পর। সবকিছু বেশ ভালভাবে চলছে। রোগানের মাও জাহেদকে মেনে নিয়েছেন। ভালই চলছে ঘরসংসার। ‘এখন আমি অনেক খুশি জানিয়েছেন জাহেদ।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

মুসলিম যুবকের সমকামী বিয়ে

আপডেট টাইম : ০৮:৩০:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুলাই ২০১৭
হাওর বার্তা ডেস্কঃ  হাজারো ঝড়ঝাপটা, বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে অবশেষে দাম্পত্য জীবনে পা রাখলেন সমকামী মুসলিম যুবক জাহেদ চৌধুরি। এটাই ব্রিটেনের ইতিহাসে প্রথম মুসলিম সমকামী বিয়ে। জাহেদ এবং শন রোগান গত ২২ জুন বিয়ে করেন ওই দুই সমকামী যুবক।
জীবনে চলার পথ মোটেও মসৃণ ছিল না জাহেদের। নিজের পরিবারেই বহিরাগতদের মতো থাকতে হত তাকে। ছিলেন ব্রাত্য। সমবয়সি আর পাঁচটা ছেলের মতো ফুটবল নয়, তাকে মেয়েদের ফ্যাশন-পোশাক টানত বেশি। ফলস্বরূপ স্কুলজীবনে সহপাঠীদের হেনস্তার শিকার হতে হয় তাকে। ছোটবেলার কথা বলতে গিয়ে গলা ধরে আসে জাহেদের। বলেন, ‘সবাই আমার গায়ে থুতু ছেটাত, ডাস্টবিন ছুড়ে মারত, শুয়োর বলত। বিশেষ করে মুসলিমরা আমাকে হারাম বলে গালি দিত। আমাদের ধর্মে এই কথা খুবই খারাপ।’
তারপর যত বড় হয়েছেন, রাস্তাঘাটে ঘৃণার পাত্রে পরিণত হন তিনি। এমনকী স্থানীয় মসজিদের দরজাও তার জন্য বন্ধ হয়ে যায়। তার সমকামিতাকে কুনজরে দেখতে শুরু করে সবাই। যখন সমাজ থেকে পুরোপুরি ব্রাত্য হওয়ার মুখে তখনই রোগানের সঙ্গে দেখা হয় জাহেদের। বেঞ্চের উপর কাঁদছিলেন তিনি, তখনই তার কাছে আসেন রোগান। জাহেদের পাশে দাঁড়িয়ে জীবনযুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা জোটান রোগান। তারপর ধীরে ধীরে ঘনিষ্ঠ হন দু’জনে। শেষপর্যন্ত বিয়ে। বিয়ের পর দুজনেই স্পেনে গিয়েছিলেন মধুচন্দ্রিমায়। তিনি বলেছেন, ‘মধুচন্দ্রিমা ছিল এক্কেবারে সতেজ বাতাসের মতো। যেখানে আমাকে কেউ চেনে না। নিজেকে মুক্ত মনে হচ্ছিল।’
প্রায় একমাস কেটে গেছে বিয়ের পর। সবকিছু বেশ ভালভাবে চলছে। রোগানের মাও জাহেদকে মেনে নিয়েছেন। ভালই চলছে ঘরসংসার। ‘এখন আমি অনেক খুশি জানিয়েছেন জাহেদ।