হাওর বার্তা ডেস্কঃ সরকারি কাজে স্বচ্ছতা, দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধিসহ প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা উন্নয়নে ৫১টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) করবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। আগামীকাল বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে এই চুক্তি সম্পাদন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি উপলক্ষে আজ বুধবার সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) এন এম জিয়াউল আলম।
তিনি বলেন, ‘আগামী এক বছর মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো কী কাজ করবে সেই কাজের চুক্তি বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হবে। বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে সিনিয়র সচিব ও সচিবরা সই করবেন। সচিবরা চুক্তি সইয়ের পর তা প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করবেন।’
জিয়াউল আলম বলেন, ‘বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির ডকুমেন্টটি তৈরি করতে আমাদের দীর্ঘ ছয় মাস সময় লেগেছে। বিশেষ করে ডকুমেন্টটি তৈরি করার জন্য বিভিন্ন নীতিমালা প্রণয়ন করতে হয়েছে। ডকুমেন্টটিকে মানসম্মত করতে দেশে-বিদেশে কিছু আন্তর্জাতিক সেমিনারের আয়োজন করেছি এবং বিভিন্ন পর্যায়ের প্রশিক্ষণ দিয়েছি।’
‘ডকুমেন্টের খসড়াটি ১৪টি পর্যালোচনা সভার মাধ্যমে আমরা চূড়ান্ত করেছি। রূপকল্প-২০২১, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি), সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ও মন্ত্রণালয়ের অ্যালোকেশন অব বিজনেস (কার্যপরিধি ও দায়িত্ব) অন্তর্ভুক্ত করে নতুন বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিটি তৈরি করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
২৩টি মন্ত্রণালয় গত অর্থবছরে চুক্তি অনুযায়ী কাজের মূল্যায়নে লক্ষ্যমাত্রার ৯০ শতাংশ অর্জন করেছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদের এই সচিব বলেন, ‘২০১৫-১৬ অর্থবছরের মূল্যায়নে লক্ষ্যমাত্রার ৯০ ভাগের ওপরে ২৩টি মন্ত্রণালয়, আর ৪১টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ ৮০ ভাগের ওপরে অর্জন করেছে। বাকি সাতটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ ৮০ ভাগের নিচে অর্জন করেছে।