ঢাকা ১১:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সঙ্কট নিরসনে কেউই ছাড় দিতে নারাজ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:০৮:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুলাই ২০১৭
  • ৩০১ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ  কাতারের সঙ্গে সউদী আরবসহ আটটি মুসলিম দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কচ্ছেদের কারণে সৃষ্ট চলমান সংকট যত দিন যাচ্ছে ততই আরো জটিল হচ্ছে। কাতারের পক্ষ থেকে আলোচনায় বসার আগ্রহ দেখানো হলেও উভয় পক্ষই নিজ অবস্থান থেকে সামান্যতম ছাড় দিতে নারাজ। চলমান সংকট নিরসনে দোহাকে ১৩টি শর্তের তালিকা পাঠিয়েছে সউদী জোট। তবে কাতারের পক্ষ থেকে এসব শর্ত প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। অন্যদিকে সউদী আরব বলছে, শর্ত পালনের বিষয়ে তারা আলোচনায় বসবে না। তাই সহসা সংকট নিরসনের উপায় দেখছেন না সংশ্লিষ্টরা। সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন, আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির অভিযোগে সউদী আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিসর, বাহরাইন, ইয়েমেনসহ আটটি মুসলিম দেশ ৫ জুন কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কচ্ছেদ করে। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে দোহার পক্ষ থেকে আলোচনার প্রস্তাব দেয়া হয়। বিপরীতে চলমান সংকট নিরসনে ২২ জুন দোহাকে ১৩টি শর্তের তালিকা পাঠায় সউদী আরব, আরব আমিরাত, মিসর ও বাহরাইন। এর মধ্যে প্রধান তিনটি শর্ত হলো কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা বন্ধ, কাতারে তুরস্কের সামরিক ঘাঁটি বন্ধ এবং ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক হ্রাস করা। গত শনিবার ইতালির রাজধানী রোমে এক সংবাদ সম্মেলনে কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানি বলেন, সউদী জোটের এসব শর্ত কোনোভাবেই মেনে নেয়া সম্ভব নয়। এটা কাতারের সার্বভৌমত্বের বিরোধী। অবরোধ আরোপকারী দেশগুলো আন্তর্জাতিক আইন ও রীতি ভঙ্গ করেছে। একইদিন সউদী আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল-জুবায়ের টুইটার বার্তায় বলেন, সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন বন্ধে কাতারের ওপর যে শর্ত আরোপ করা হয়েছে তা অবশ্যই দেশটিকে মেনে চলতে হবে। এ বিষয়ে সউদী প্রশাসন কিংবা মিত্র দেশগুলো কোনো রকম আলোচনায় বসবে না। দোহাকে ছাড় দেবে না। শর্ত পালনে সউদী জোটের বেধে দেয়া ১০ দিনের সময়সীমা গতকাল শেষ হয়েছে। এদিকে অবরোধের ফলে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে কিনা সে বিষয়ে তদন্ত করতে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক আইনি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান লালিভের সঙ্গে চুক্তি করেছে কাতারের ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কমিটি (এনএইচআরসি)। তবে দোহা বরাবরই আলোচনায় বসতে প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছে। সংকট নিরসনে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সহায়তা চেয়েছে দেশটি। কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াশিংটন সফর করে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। উপসাগরীয় সংকট নিয়ে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামিদ আল-থানি এবং বাহরাইনের বাদশাহ হামাদ বিন ইশা আল-খলিফার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভাদিমির পুতিন। সংকট নিরসনে আলোচনায় বসার আহান জানিয়েছেন। ইতিমধ্যে মধ্যস্ততা করার আহান জানিয়েছে কুয়েত, তুরস্ক, পাকিস্তান, মরক্কো, ইরান, ফ্রান্স এবং যুক্তরাষ্ট্র। এখন শর্ত পালনের সময়সীমা শেষে হলে তবেই বোঝা যাবে পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে। আল-জাজিরা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

সঙ্কট নিরসনে কেউই ছাড় দিতে নারাজ

আপডেট টাইম : ১২:০৮:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুলাই ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ  কাতারের সঙ্গে সউদী আরবসহ আটটি মুসলিম দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কচ্ছেদের কারণে সৃষ্ট চলমান সংকট যত দিন যাচ্ছে ততই আরো জটিল হচ্ছে। কাতারের পক্ষ থেকে আলোচনায় বসার আগ্রহ দেখানো হলেও উভয় পক্ষই নিজ অবস্থান থেকে সামান্যতম ছাড় দিতে নারাজ। চলমান সংকট নিরসনে দোহাকে ১৩টি শর্তের তালিকা পাঠিয়েছে সউদী জোট। তবে কাতারের পক্ষ থেকে এসব শর্ত প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। অন্যদিকে সউদী আরব বলছে, শর্ত পালনের বিষয়ে তারা আলোচনায় বসবে না। তাই সহসা সংকট নিরসনের উপায় দেখছেন না সংশ্লিষ্টরা। সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন, আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির অভিযোগে সউদী আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিসর, বাহরাইন, ইয়েমেনসহ আটটি মুসলিম দেশ ৫ জুন কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কচ্ছেদ করে। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে দোহার পক্ষ থেকে আলোচনার প্রস্তাব দেয়া হয়। বিপরীতে চলমান সংকট নিরসনে ২২ জুন দোহাকে ১৩টি শর্তের তালিকা পাঠায় সউদী আরব, আরব আমিরাত, মিসর ও বাহরাইন। এর মধ্যে প্রধান তিনটি শর্ত হলো কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা বন্ধ, কাতারে তুরস্কের সামরিক ঘাঁটি বন্ধ এবং ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক হ্রাস করা। গত শনিবার ইতালির রাজধানী রোমে এক সংবাদ সম্মেলনে কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানি বলেন, সউদী জোটের এসব শর্ত কোনোভাবেই মেনে নেয়া সম্ভব নয়। এটা কাতারের সার্বভৌমত্বের বিরোধী। অবরোধ আরোপকারী দেশগুলো আন্তর্জাতিক আইন ও রীতি ভঙ্গ করেছে। একইদিন সউদী আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল-জুবায়ের টুইটার বার্তায় বলেন, সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন বন্ধে কাতারের ওপর যে শর্ত আরোপ করা হয়েছে তা অবশ্যই দেশটিকে মেনে চলতে হবে। এ বিষয়ে সউদী প্রশাসন কিংবা মিত্র দেশগুলো কোনো রকম আলোচনায় বসবে না। দোহাকে ছাড় দেবে না। শর্ত পালনে সউদী জোটের বেধে দেয়া ১০ দিনের সময়সীমা গতকাল শেষ হয়েছে। এদিকে অবরোধের ফলে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে কিনা সে বিষয়ে তদন্ত করতে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক আইনি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান লালিভের সঙ্গে চুক্তি করেছে কাতারের ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কমিটি (এনএইচআরসি)। তবে দোহা বরাবরই আলোচনায় বসতে প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছে। সংকট নিরসনে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সহায়তা চেয়েছে দেশটি। কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াশিংটন সফর করে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। উপসাগরীয় সংকট নিয়ে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামিদ আল-থানি এবং বাহরাইনের বাদশাহ হামাদ বিন ইশা আল-খলিফার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভাদিমির পুতিন। সংকট নিরসনে আলোচনায় বসার আহান জানিয়েছেন। ইতিমধ্যে মধ্যস্ততা করার আহান জানিয়েছে কুয়েত, তুরস্ক, পাকিস্তান, মরক্কো, ইরান, ফ্রান্স এবং যুক্তরাষ্ট্র। এখন শর্ত পালনের সময়সীমা শেষে হলে তবেই বোঝা যাবে পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে। আল-জাজিরা।