এখানেই শেষ নয়। কলকাতার মেয়র, রাজ্যের পরিবেশ, অগ্নি নির্বাপন এবং আবাসন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায় (কানন)-কে দেখিয়ে সেই সভাতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মশকরা, ‘‘শ্বশুরের কামাই, খাচ্ছে জামাই!’’ সামনে তখন হাসি চাপতে পারছেন না কাননের শাশুড়ি কস্তুরী দাস। কিঞ্চিৎ অস্বস্তিতে শ্বশুরমশাই দুলাল দাস। তাঁরা দু’জনেই ছিলেন প্রশাসনিক বৈঠকে। কারণ, কস্তুরীদেবী মহেশতলার বিধায়ক আর দুলালবাবু মহেশতলা পুরসভার চেয়ারম্যান।
এই পর্বের কিছু আগেই রায়দিঘির জন্য বিধায়ক দেবশ্রী রায়ের দাবিদাওয়া নিয়েও একপ্রস্থ মজা হয়। মঞ্চে বসে শোভনবাবুই তাঁর ‘বান্ধবী’র চাহিদার কথা বলে দেন। রায়দিঘির বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রীর
কাছে সেখানকার হাসপাতালে মাতৃসদনের দাবি করছিলেন। মমতার প্রশ্ন ছিল, এ ছাড়া আর কিছু চাই? দেবশ্রী তখন কাগজে চোখ বুলোচ্ছিলেন। হঠাৎ মঞ্চ থেকে শোভন বলে ওঠেন, ‘‘একটা সরকারি বাস চায়।’’ যা শুনে মুখ্যমন্ত্রী মুচকি হেসে বলেন, ‘‘দেখেছো দেবশ্রী চুপি চুপি কাননকে সব বলে রেখেছে। আমায় বলছে না!’’ হাসির রোল ওঠে।
সেই হাসি আরও বাড়ে মুখ্যমন্ত্রী যখন কস্তুরীদেবীর কাছে দাবিদাওয়া জানতে চান। তিনি উঠতেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘জামাইষষ্ঠী সবে গেল। অনেকে আবার বলছেন, শ্বশুরের কামাই, খাচ্ছে জামাই!’’ সভাজুড়ে আবার হাসি। মুখ্যমন্ত্রীর ফের ডাক, কোথায় দুলাল দাস কোথায়? উঠে পড়েন শ্বশুরমশাই।
মহেশতলা পুর এলাকায় খাটাল সমস্যার সমাধান নিয়েও ঠাট্টা-মজা হয়। মুখ্যমন্ত্রী জিজ্ঞাসা করেন, ‘‘বলুন কে দেখবে এই সমস্যাটা? কানন?’’ শুনে দুলালবাবু বলেন, ‘‘ববি (ফিরহাদ হাকিম) দেখলেই ভাল।’’ যা শুনে আরও এক বার হাসি। ববি যদিও জানান, মহেশতলার খাটাল আর জলজমার সমস্যা তিনি আর শোভন দু’জনে মিলেই দেখবেন।
হাসি-মশকরা যতই হোক মেয়র কিন্তু তাঁর জামাই জীবনে শ্বশুরমশাইয়ের অবদান অস্বীকার করছেন না। সত্যিই কি আপনি….? কথা কেড়ে নিয়ে শোভন বলেন, ‘‘তখন বেকার ছিলাম, সদ্য কাউন্সিলার হয়েছি। তখন আমার সঙ্গে উনিই মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন। সেই থেকেই ওনার স্নেহে মানুষ হয়েছি। আমার মধ্যে যে সম্ভাবনা রয়েছে, তা সে দিনই তিনি বুঝেছিলেন।’’-আনন্দবাজার