ঢাকা ০৮:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ জানুয়ারী ২০২৫, ১৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সরকারের দুই মন্ত্রী প্রতিদিন ২০ কোটি টাকার চাঁদাবাজি করছেন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:৫৩:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ মে ২০১৭
  • ২৭৬ বার

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির সভাপতি পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গাকে মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণের দাবি জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের নেতারা।

তারা অভিযোগ করেছেন, এ দুই মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী সরকারের মন্ত্রিসভায় থেকেও সড়ক পরিবহন আইনের বিরোধিতা করছেন। বিভিন্ন সময়ে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে পরিবহন ধর্মঘটসহ সরকারবিরোধী নানা কর্মসূচি পালন করেছেন। তাদের নেতৃত্বে প্রতিদিন পরিবহন খাতে অন্তত ২০ কোটি টাকা চাঁদাবাজি হয়।

এ দুই মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে পরিবহন খাত থেকে এ পর্যন্ত হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ করে তাদের এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের সম্পদের হিসাব দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মাধ্যমে অনুসন্ধান করারও দাবি জানান তারা।

বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আয়োজিত পরিবহন শ্রমিক সমাবেশে বক্তারা জোরালোভাবে এসব দাবির কথা তুলে ধরেন।

পরিবহন শ্রমিকদের নিয়োগপত্র প্রদান ও গণপরিবহনে অবৈধ চাঁদাবাজি বন্ধসহ নানা দাবিতে বৃহস্পতিবার এ সমাবেশের আয়োজন করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগ।

সংগঠনের সভাপতি মো. রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহম্মদ হোসেন। বক্তব্য রাখেন শ্রম ও জনশক্তিবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি ফজলুল হক মন্টু, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলামসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।

অনুষ্ঠানে ঘোষণাপত্র পাঠ করেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইনসুর আলী। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্যাবিনেট সভায় সড়ক পরিবহন আইনের খসড়া অনুমোদন করা হয়েছে। মন্ত্রিসভার সদস্য হয়েও শাজাহান খান সেই খসড়া আইনের বিরোধিতা করছেন। তিনি নিজেকে শ্রমিকদের জান দাবি করলেও প্রকৃতপক্ষে তিনি শ্রমিক হত্যাকারী। অপর দিকে প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গা এ আইন পাস হলে হাত কেটে ফেলার ধৃষ্টতা দেখিয়েছেন। সরকারে থেকেও এই দু’জন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী এভাবে মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত খসড়া আইনের বিরোধিতা করেছেন।

তিনি বলেন, তারা (দুই মন্ত্রী) পরিবহন খাত থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এটা করে মন্ত্রিত্বের শপথ ভঙ্গ করেছেন। তাই তাদের মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণ করতে হবে। ঘোষণাপত্রে তিনি বলেন, কয়েক দিন আগে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন দেশব্যাপী হঠাৎ করে পরিবহন ধর্মঘট ডেকে জনজীবনে জনদুর্ভোগ ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করে। সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। তারা অহেতুক শ্রমআইন পরিপন্থী পরিবহন ধর্মঘট ডেকে সরকারের বিরুদ্ধে পরিবহন শ্রমিকদের উসকানি দিয়ে আন্দোলন সৃষ্টি করেছে। বিভিন্নভাবে আদায় করা অবৈধ চাঁদাকে আলোচনার মাধ্যমে বৈধ করছেন। সড়ক পরিবহনে নৈরাজ্য ও সরকারের উন্নয়ন কাজে বাধা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন গণপরিবহন থেকে ৭০ টাকা হারে ২০ কোটি ৬৪ লাখ টাকা চাঁদাবাজি করা হচ্ছে। এগুলো বন্ধ করতে হবে।

হাবিবুর রহমান সিরাজ বলেন, পরিবহন সেক্টরে সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্য চলছে। মানুষ এগুলো ভালোভাবে নিচ্ছে না। কয়েক দিন আগে দেখলাম বিএনপি নেতা শিমুল বিশ্বাসের গ্রেফতারের প্রতিবাদে শ্রমিক ফেডারেশনের নেতৃত্বে আন্দোলন হয়েছে। আমার প্রশ্ন- সরকারের একজন মন্ত্রীর নেতৃত্বে থাকা শ্রমিক ফেডারেশন কীভাবে বিএনপি নেতার মুক্তির দাবিতে আন্দোলন করতে পারে। শাজাহান খানের নাম উল্লেখ না করে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, যিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে এমপি হয়েছেন, আওয়ামী লীগের মন্ত্রিসভায় রয়েছেন, তার নেতৃত্বের সংগঠন কিভাবে বিএনপির নেতার মুক্তি চাইল?

তিনি বলেন, বিএনপি, সিপিবি, বাসদ, ফ্রিডম পার্টির লোকজন নিয়ে যেই শ্রমিক ফেডারেশন চলে তাতে আমার কোনো সমর্থন নেই। পরিবহন সেক্টরকে সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজাদের সেক্টরে পরিণত হতে দিতে পারি না।

সিরাজুল ইসলাম বলেন, পরিবহন শ্রমিকদের শ্রমিক নেতারা নিয়ন্ত্রণ করছেন না। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রুমে বসে একদল লোক শ্রমিকদের নিয়ন্ত্রণ করছেন। এভাবে চলতে পারে না। শ্রমিকদের নিয়ন্ত্রণ শ্রমিকরা করবে বলে জানান তিনি।

পরিবহন শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি মো. আজহার আলী বলেন, সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে পরিবহন সেক্টরে অরাজকতা সৃষ্টি করতে একের পর এক ধর্মঘট ডাকা হচ্ছে। সর্বশেষ উত্তরাঞ্চলে ধর্মঘট ডেকে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। এসব বন্ধ করতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট হয়েছে। লুটেরাদের বিরুদ্ধে শ্রমিকদের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আহম্মদ হোসেন বলেন, আমি সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের সঙ্গে আছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্রমিকদের পক্ষে আছেন। আগামী নির্বাচনে নৌকার পক্ষে কাজ করতে শ্রমিকদের প্রতি আহবান জানান তিনি।

প্রতিদিন গণপরিবহন থেকে ৭০ টাকা আদায় বন্ধ এবং মালিক/শ্রমিক কল্যাণ তহবিলের হিসাব প্রকাশসহ সমাবেশে ১২ দফা দাবি তুলে ধরা হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

সরকারের দুই মন্ত্রী প্রতিদিন ২০ কোটি টাকার চাঁদাবাজি করছেন

আপডেট টাইম : ০৪:৫৩:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ মে ২০১৭

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির সভাপতি পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গাকে মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণের দাবি জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের নেতারা।

তারা অভিযোগ করেছেন, এ দুই মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী সরকারের মন্ত্রিসভায় থেকেও সড়ক পরিবহন আইনের বিরোধিতা করছেন। বিভিন্ন সময়ে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে পরিবহন ধর্মঘটসহ সরকারবিরোধী নানা কর্মসূচি পালন করেছেন। তাদের নেতৃত্বে প্রতিদিন পরিবহন খাতে অন্তত ২০ কোটি টাকা চাঁদাবাজি হয়।

এ দুই মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে পরিবহন খাত থেকে এ পর্যন্ত হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ করে তাদের এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের সম্পদের হিসাব দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মাধ্যমে অনুসন্ধান করারও দাবি জানান তারা।

বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আয়োজিত পরিবহন শ্রমিক সমাবেশে বক্তারা জোরালোভাবে এসব দাবির কথা তুলে ধরেন।

পরিবহন শ্রমিকদের নিয়োগপত্র প্রদান ও গণপরিবহনে অবৈধ চাঁদাবাজি বন্ধসহ নানা দাবিতে বৃহস্পতিবার এ সমাবেশের আয়োজন করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগ।

সংগঠনের সভাপতি মো. রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহম্মদ হোসেন। বক্তব্য রাখেন শ্রম ও জনশক্তিবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি ফজলুল হক মন্টু, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলামসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।

অনুষ্ঠানে ঘোষণাপত্র পাঠ করেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইনসুর আলী। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্যাবিনেট সভায় সড়ক পরিবহন আইনের খসড়া অনুমোদন করা হয়েছে। মন্ত্রিসভার সদস্য হয়েও শাজাহান খান সেই খসড়া আইনের বিরোধিতা করছেন। তিনি নিজেকে শ্রমিকদের জান দাবি করলেও প্রকৃতপক্ষে তিনি শ্রমিক হত্যাকারী। অপর দিকে প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গা এ আইন পাস হলে হাত কেটে ফেলার ধৃষ্টতা দেখিয়েছেন। সরকারে থেকেও এই দু’জন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী এভাবে মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত খসড়া আইনের বিরোধিতা করেছেন।

তিনি বলেন, তারা (দুই মন্ত্রী) পরিবহন খাত থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এটা করে মন্ত্রিত্বের শপথ ভঙ্গ করেছেন। তাই তাদের মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণ করতে হবে। ঘোষণাপত্রে তিনি বলেন, কয়েক দিন আগে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন দেশব্যাপী হঠাৎ করে পরিবহন ধর্মঘট ডেকে জনজীবনে জনদুর্ভোগ ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করে। সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। তারা অহেতুক শ্রমআইন পরিপন্থী পরিবহন ধর্মঘট ডেকে সরকারের বিরুদ্ধে পরিবহন শ্রমিকদের উসকানি দিয়ে আন্দোলন সৃষ্টি করেছে। বিভিন্নভাবে আদায় করা অবৈধ চাঁদাকে আলোচনার মাধ্যমে বৈধ করছেন। সড়ক পরিবহনে নৈরাজ্য ও সরকারের উন্নয়ন কাজে বাধা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন গণপরিবহন থেকে ৭০ টাকা হারে ২০ কোটি ৬৪ লাখ টাকা চাঁদাবাজি করা হচ্ছে। এগুলো বন্ধ করতে হবে।

হাবিবুর রহমান সিরাজ বলেন, পরিবহন সেক্টরে সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্য চলছে। মানুষ এগুলো ভালোভাবে নিচ্ছে না। কয়েক দিন আগে দেখলাম বিএনপি নেতা শিমুল বিশ্বাসের গ্রেফতারের প্রতিবাদে শ্রমিক ফেডারেশনের নেতৃত্বে আন্দোলন হয়েছে। আমার প্রশ্ন- সরকারের একজন মন্ত্রীর নেতৃত্বে থাকা শ্রমিক ফেডারেশন কীভাবে বিএনপি নেতার মুক্তির দাবিতে আন্দোলন করতে পারে। শাজাহান খানের নাম উল্লেখ না করে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, যিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে এমপি হয়েছেন, আওয়ামী লীগের মন্ত্রিসভায় রয়েছেন, তার নেতৃত্বের সংগঠন কিভাবে বিএনপির নেতার মুক্তি চাইল?

তিনি বলেন, বিএনপি, সিপিবি, বাসদ, ফ্রিডম পার্টির লোকজন নিয়ে যেই শ্রমিক ফেডারেশন চলে তাতে আমার কোনো সমর্থন নেই। পরিবহন সেক্টরকে সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজাদের সেক্টরে পরিণত হতে দিতে পারি না।

সিরাজুল ইসলাম বলেন, পরিবহন শ্রমিকদের শ্রমিক নেতারা নিয়ন্ত্রণ করছেন না। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রুমে বসে একদল লোক শ্রমিকদের নিয়ন্ত্রণ করছেন। এভাবে চলতে পারে না। শ্রমিকদের নিয়ন্ত্রণ শ্রমিকরা করবে বলে জানান তিনি।

পরিবহন শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি মো. আজহার আলী বলেন, সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে পরিবহন সেক্টরে অরাজকতা সৃষ্টি করতে একের পর এক ধর্মঘট ডাকা হচ্ছে। সর্বশেষ উত্তরাঞ্চলে ধর্মঘট ডেকে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। এসব বন্ধ করতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট হয়েছে। লুটেরাদের বিরুদ্ধে শ্রমিকদের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আহম্মদ হোসেন বলেন, আমি সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগের সঙ্গে আছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্রমিকদের পক্ষে আছেন। আগামী নির্বাচনে নৌকার পক্ষে কাজ করতে শ্রমিকদের প্রতি আহবান জানান তিনি।

প্রতিদিন গণপরিবহন থেকে ৭০ টাকা আদায় বন্ধ এবং মালিক/শ্রমিক কল্যাণ তহবিলের হিসাব প্রকাশসহ সমাবেশে ১২ দফা দাবি তুলে ধরা হয়।