ঢাকা ০৭:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুই তরুণী হাত-পা জড়িয়ে ধরলেও ছাড় দেয়নি সাফাতরা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:০৯:৪৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ মে ২০১৭
  • ২৬৮ বার

বহুল আলোচিত রাজধানীর বনানীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে সম্ভ্রমহানীর মামলার প্রধান আসামি সাফাত আহমেদের গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। রোববার ঢাকা মহানগর হাকিম মাহমুদুল হাসানের খাসকামরায় আসামির জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্র জানায়, বিল্লাল জবানবন্দিতে বলেছে, ‘দুই শিক্ষার্থীকে বনানীর রেইনট্রি হোটেলের অষ্টম তলার দুই রুমে আটকে রেখে ইজ্জত লুটে নেয় সাফাত ও নাঈম। আর এই পুরো পরিকল্পনা বাস্তবায়নে

সহযোগিতা করে সাফাতের বন্ধু সাদমান সাকিফ। তাদের মধ্যে নাঈম এই অসৎ কাজে প্রধান ভূমিকা রাখে। সম্ভ্রমহানীর সময় দুই তরুণীই বাঁচাও বাঁচাও বলে চিত্কার করে। এমন কাজে বাধ্য না করতে তারা সাফাত ও নাঈমের হাত-পা ধরে। কিন্তু তারা (সাফাত-নাঈম) কিছুতেই ছাড় দেয়নি।

জবানবন্দিতে বিল্লাল আরও বলেন, সাফাতের কথামতো আজাদ ও আমি (বিল্লাল) পুরো রাতই হোটেলের ওই কক্ষ পাহারা দিই। খাবারসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম এনে দিই। সম্ভ্রমহানীর সময় দুই শিক্ষার্থীর দুই বন্ধুও ছিল। তাদের মধ্যে একজনকে গভীর রাতে সাফাত তার রুমে আসতে বলে। এরপর তাকে বাথরুমে দাঁড় করিয়ে রাখে সাফাত। ওই সময় এক রুমে সাফাত, অন্য রুমে নাঈম ও সাদমান দুই তরুণীকে সম্ভ্রমহানী করে। এরপর পাশের রুম থেকে দুই তরুণীর ওই বন্ধুকে ডেকে এনের তাকে মারধর করা হয়। তাদের কথা না শোনায় তাকে ইয়াবা দিয়ে ধরিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। সম্ভ্রমহানীর সময়ও আমি দুই বাথরুমে দাঁড়িয়ে ঘটনার ভিডিও ধারণ করি। ’

মামলার অন্য আসামি সাফাতের বন্ধু নাঈম আশরাফ (আবদুল হালিম) এক ছাত্রীকে সম্ভ্রমহানী করার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি রিমান্ডে আছেন। এ ছাড়া সাফাতের দেহরক্ষী রহমত আলীকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

দুই তরুণী হাত-পা জড়িয়ে ধরলেও ছাড় দেয়নি সাফাতরা

আপডেট টাইম : ১২:০৯:৪৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ মে ২০১৭

বহুল আলোচিত রাজধানীর বনানীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে সম্ভ্রমহানীর মামলার প্রধান আসামি সাফাত আহমেদের গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। রোববার ঢাকা মহানগর হাকিম মাহমুদুল হাসানের খাসকামরায় আসামির জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্র জানায়, বিল্লাল জবানবন্দিতে বলেছে, ‘দুই শিক্ষার্থীকে বনানীর রেইনট্রি হোটেলের অষ্টম তলার দুই রুমে আটকে রেখে ইজ্জত লুটে নেয় সাফাত ও নাঈম। আর এই পুরো পরিকল্পনা বাস্তবায়নে

সহযোগিতা করে সাফাতের বন্ধু সাদমান সাকিফ। তাদের মধ্যে নাঈম এই অসৎ কাজে প্রধান ভূমিকা রাখে। সম্ভ্রমহানীর সময় দুই তরুণীই বাঁচাও বাঁচাও বলে চিত্কার করে। এমন কাজে বাধ্য না করতে তারা সাফাত ও নাঈমের হাত-পা ধরে। কিন্তু তারা (সাফাত-নাঈম) কিছুতেই ছাড় দেয়নি।

জবানবন্দিতে বিল্লাল আরও বলেন, সাফাতের কথামতো আজাদ ও আমি (বিল্লাল) পুরো রাতই হোটেলের ওই কক্ষ পাহারা দিই। খাবারসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম এনে দিই। সম্ভ্রমহানীর সময় দুই শিক্ষার্থীর দুই বন্ধুও ছিল। তাদের মধ্যে একজনকে গভীর রাতে সাফাত তার রুমে আসতে বলে। এরপর তাকে বাথরুমে দাঁড় করিয়ে রাখে সাফাত। ওই সময় এক রুমে সাফাত, অন্য রুমে নাঈম ও সাদমান দুই তরুণীকে সম্ভ্রমহানী করে। এরপর পাশের রুম থেকে দুই তরুণীর ওই বন্ধুকে ডেকে এনের তাকে মারধর করা হয়। তাদের কথা না শোনায় তাকে ইয়াবা দিয়ে ধরিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। সম্ভ্রমহানীর সময়ও আমি দুই বাথরুমে দাঁড়িয়ে ঘটনার ভিডিও ধারণ করি। ’

মামলার অন্য আসামি সাফাতের বন্ধু নাঈম আশরাফ (আবদুল হালিম) এক ছাত্রীকে সম্ভ্রমহানী করার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি রিমান্ডে আছেন। এ ছাড়া সাফাতের দেহরক্ষী রহমত আলীকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।