ঢাকা ১০:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
ভারতে ১৩ বাংলাদেশি নাগরিক গ্রেপ্তার কবরের পাশে দিন-রাত বসে থাকি, ছেলে ফিরে আসে না সংস্কার না করলে শহীদদের রক্তের সঙ্গে অন্যায় করা হবে : উপদেষ্টা সাখাওয়াত কাকে ‘ননসেন্স’ বললেন বুবলী ভোটার হওয়ার ন্যূনতম বয়সসীমা প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে আপত্তি বিএনপি মহাসচিবের সচিবালয়ে প্রবেশে অস্থায়ী পাসের ব্যাপারে বিশেষ সেল গঠন জর্জিনাকে ‘স্ত্রী’ সম্বোধন, তবে কি বিয়েটা সেরেই ফেলেছেন রোনালদো ৩১ ডিসেম্বর আসছে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণা মহাখালীতে আবাসিক ভবনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ২ ইউনিট ভোটার হওয়ার ন্যূনতম বয়সসীমা প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে আপত্তি বিএনপি মহাসচিবের

বিপর্যয়ের মুখে হাওরের শিক্ষা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:১৮:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ মে ২০১৭
  • ৪৩২ বার

ঘরে খাওয়া নেই হাতে টাকা নেই আধবেলা খেয়ে না খেয়ে আছি আবার ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া করানো এখন সম্ভব নয়। এছাড়াও শতভাগ ফসলহানির পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন এ অঞ্চলের মানুষ। তাই জীবন বাঁচার তাগিদেই এবছর ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া করানো সম্ভব নয়। এমনই মন্তব্য করেন সুনামগঞ্জের হাওর এলাকার ফসলহারা মানুষ। স্কুলের উপস্থিতি অনেকাংশ কমে গেছে। বিশেষ করে মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া এখন হুমকির মুখে। অর্থভাবেই বন্ধ হচ্ছে লেখাপড়া। এ অঞ্চলের মানুষ অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষাসহ সর্বক্ষেত্রের খরচ বোরো ফসলের উপর নির্ভর করছে। বিগত দুই বছর ধরে সুনামগঞ্জে বোরো ফসলের ব্যাপক ক্ষতিতে বিপর্যয়ে পড়েছে হাওর অঞ্চলের মানুষ। এখন অনেকেই পেটের দায়ে পড়ালেখা বাদ দিয়ে কাজের সন্ধানে বের হচ্ছে। এতে জেলার শিক্ষাক্ষেত্রও বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে।
এদিকে, সুনামগঞ্জের হাওর অঞ্চলের কৃষক পরিবারের সন্তানদের লেখাপড়া থেকে ঝরে না পড়তে খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি শিক্ষা সহায়তা দেবার ব্যাপারেও সরকারকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। স্থানীয় সাধারণ মানুষদের দাবি শুধু হাওর দুর্যোগে শিক্ষা সহায়তা না পেলে হাওর পাড়ের স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে পড়বে। শিক্ষা ক্ষেত্রে সহায়তা না পেলে জীবিকার তাগিদে পিতা-মাতার সঙ্গে কাজের সহযোগী হিসেবে এলাকা ছাড়বে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী ।
বিশ্বম্ভরপুর ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক প্রমথ রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, কলেজে উপস্থিতি কিছুটা কম হচ্ছে।
আর্থিক কারণেই এটা হতে পারে বলে তিনি মনে করেন। কয়েকটি স্কুল ঘুরে দেখা যায় প্রতিষ্ঠান গুলোতে তুলনামূলক শিক্ষার্র্থীদের উপস্থিতি কম। বোরো ফসল হারানোর পরই স্কুলগুলোতে এই প্রভাব পড়ছে। কারণ ফসল থেকেই তাদের সব ধরনের খরচ চলে। ধর্মপাশা উপজেলা প্রতিনিধি জানান, উপজেলার হাওর পাড়ের স্কুলগুলোতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম হয়ে গেছে। অর্থভাবের কারণে বই খাতাপত্রসহ স্কুল সামগ্রী ক্রয় তাদের কাছে এখন দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। অর্থের সংকটে অনেকেই ছেলে-মেয়ে নিয়ে কাজের সন্ধানে অন্য জেলায় চলে গেছেন।
সুনামগঞ্জ সদরের সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান মিছবাহ বলেন, জেলায় ফসলহারার মানুষের সর্বক্ষেত্রেই অস্থিরতা বিরাজ করছে। একের পর এক দুর্যোগে হাওর অঞ্চলের মানুষ এখন সর্বস্বান্ত। সরকার বিভিন্ন ত্রাণ সামগ্রী দিলেও যা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের তুলনায় অপ্রতুল। মানুষের মধ্যে খাদ্যের সঙ্গে অর্থ সংকট প্রকট হয়ে উঠছে। আর এর প্রভাবই পড়ছে শিক্ষা ক্ষেত্রে। তিনি সরকারকে শিক্ষা ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সহায়তা প্রদানের দাবি জানান।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ভারতে ১৩ বাংলাদেশি নাগরিক গ্রেপ্তার

বিপর্যয়ের মুখে হাওরের শিক্ষা

আপডেট টাইম : ১২:১৮:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ মে ২০১৭

ঘরে খাওয়া নেই হাতে টাকা নেই আধবেলা খেয়ে না খেয়ে আছি আবার ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া করানো এখন সম্ভব নয়। এছাড়াও শতভাগ ফসলহানির পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন এ অঞ্চলের মানুষ। তাই জীবন বাঁচার তাগিদেই এবছর ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া করানো সম্ভব নয়। এমনই মন্তব্য করেন সুনামগঞ্জের হাওর এলাকার ফসলহারা মানুষ। স্কুলের উপস্থিতি অনেকাংশ কমে গেছে। বিশেষ করে মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া এখন হুমকির মুখে। অর্থভাবেই বন্ধ হচ্ছে লেখাপড়া। এ অঞ্চলের মানুষ অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষাসহ সর্বক্ষেত্রের খরচ বোরো ফসলের উপর নির্ভর করছে। বিগত দুই বছর ধরে সুনামগঞ্জে বোরো ফসলের ব্যাপক ক্ষতিতে বিপর্যয়ে পড়েছে হাওর অঞ্চলের মানুষ। এখন অনেকেই পেটের দায়ে পড়ালেখা বাদ দিয়ে কাজের সন্ধানে বের হচ্ছে। এতে জেলার শিক্ষাক্ষেত্রও বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে।
এদিকে, সুনামগঞ্জের হাওর অঞ্চলের কৃষক পরিবারের সন্তানদের লেখাপড়া থেকে ঝরে না পড়তে খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি শিক্ষা সহায়তা দেবার ব্যাপারেও সরকারকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। স্থানীয় সাধারণ মানুষদের দাবি শুধু হাওর দুর্যোগে শিক্ষা সহায়তা না পেলে হাওর পাড়ের স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে পড়বে। শিক্ষা ক্ষেত্রে সহায়তা না পেলে জীবিকার তাগিদে পিতা-মাতার সঙ্গে কাজের সহযোগী হিসেবে এলাকা ছাড়বে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী ।
বিশ্বম্ভরপুর ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক প্রমথ রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, কলেজে উপস্থিতি কিছুটা কম হচ্ছে।
আর্থিক কারণেই এটা হতে পারে বলে তিনি মনে করেন। কয়েকটি স্কুল ঘুরে দেখা যায় প্রতিষ্ঠান গুলোতে তুলনামূলক শিক্ষার্র্থীদের উপস্থিতি কম। বোরো ফসল হারানোর পরই স্কুলগুলোতে এই প্রভাব পড়ছে। কারণ ফসল থেকেই তাদের সব ধরনের খরচ চলে। ধর্মপাশা উপজেলা প্রতিনিধি জানান, উপজেলার হাওর পাড়ের স্কুলগুলোতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম হয়ে গেছে। অর্থভাবের কারণে বই খাতাপত্রসহ স্কুল সামগ্রী ক্রয় তাদের কাছে এখন দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। অর্থের সংকটে অনেকেই ছেলে-মেয়ে নিয়ে কাজের সন্ধানে অন্য জেলায় চলে গেছেন।
সুনামগঞ্জ সদরের সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান মিছবাহ বলেন, জেলায় ফসলহারার মানুষের সর্বক্ষেত্রেই অস্থিরতা বিরাজ করছে। একের পর এক দুর্যোগে হাওর অঞ্চলের মানুষ এখন সর্বস্বান্ত। সরকার বিভিন্ন ত্রাণ সামগ্রী দিলেও যা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের তুলনায় অপ্রতুল। মানুষের মধ্যে খাদ্যের সঙ্গে অর্থ সংকট প্রকট হয়ে উঠছে। আর এর প্রভাবই পড়ছে শিক্ষা ক্ষেত্রে। তিনি সরকারকে শিক্ষা ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সহায়তা প্রদানের দাবি জানান।