রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ দ্বিতীয় দিনের মতো আকস্মিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হাওর এলাকা পরিদর্শন করেছেন। রাষ্ট্রপতি সোমবার কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা ও সুনামগঞ্জের বন্যাকবলিত বিভিন্ন হাওর পরিদর্শন করেন।
ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় হাওর এলাকার অধিকাংশ লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বিশেষ করে জমির ফসল পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের জানান, রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ আজ হেলিকপ্টারে করে তিন জেলার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন।
এর আগে রাষ্ট্রপতি গতকাল ঢাকা থেকে এসে কিশোরগঞ্জের কয়েকটি এলাকা পরিদর্শন করেন এবং পরে একই রাতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের প্রয়োজনীয় সবধরনের সহায়তা দেয়ার আশ্বাস দেন।
কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতিকে জানানো হয়, এ বছর জেলার সাতটি উপজেলার ৯৯ হাজার ৩৬৮ জন কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বন্যায় প্রায় ১৩৭ টন চাল এবং ৫৪৯.৪৮ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলাম রাষ্ট্রপতিকে জানান, জেলার প্রায় ৮২ শতাংশ ফসলি জমি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে প্রায় ২ দশমিক ৭১ হাজার কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এলাকার এ সকল চাষিরা তাদের একমাত্র ফসল বোরো ধানের ওপর নিভর্রশীল। আকস্মিক বন্যায় এসব এলাকার ফসল সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, এর আগে সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং মৌলভীবাজারের ব্যাপক এলাকা আকস্মিক বন্যায় নিমজ্জিত হয়।