রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বিশ্বকে বসবাসের জন্য একটি নিরাপদ স্থান হিসেবে গড়ে তুলতে সামাজিক বৈষম্য, মানবিক অসমতা এবং সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করতে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। খবর বাসস’র
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে এক ভোজসভায় ভাষণে রাষ্ট্রপতি এ আহ্বান জানান। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ১৩৬তম ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) ৫ দিনব্যাপী সম্মেলনে যোগদানকারী প্রতিনিধিদের সম্মানে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এ ভোজসভার আয়োজন করেন।
বৈশ্বিক সন্ত্রাস প্রসঙ্গে আবদুল হামিদ বলেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ শুধু উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের জন্য হুমকি নয়, এটি মানব সভ্যতার জন্যও একটি অভিশাপ। তিনি গোটা মানবজাতির স্বার্থে এর নির্মূলে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ ও নীতি প্রণয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
ভাষণের শুরুতে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের জন্মের পর থেকে বিশ্ব শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা স্মরণ করেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সারা জীবন বিশ্ব শান্তি ও সম্প্রীতির প্রতি সমর্থন এবং সংহতি প্রকাশ করেছেন।
দেশের চমৎকার উন্নয়নের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেন, নারী ক্ষমতায়ন, দারিদ্র্য বিমোচন এবং বিভিন্ন প্রতিকূলতা সত্ত্বেও গত ৮ বছর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখাসহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক খাতে টেকসই উন্নয়ন ও অগ্রগতি অর্জন করেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের পরিণত করতে সরকার ‘রূপকল্প-২০২১’ এবং ‘রূপকল্প-২০৪১’ ঘোষণা করেছে।
প্রতিটি দেশের সংসদ সদস্যরা তাদের অভিজ্ঞতার মাধ্যমে নিজেদের দেশে এবং অন্য দেশগুলোতে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অসমতা দূরীকরণে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবেন বলে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন।
ভোজসভায় অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্পিকার ও সিপিএ চেয়ারপার্সন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচএম এরশাদ, আইপিইউ প্রেসিডেন্ট সাবের হোসেন চৌধুরী, আইপিইউ মহাসচিব মার্টিন চুনগং, অটিজম সংক্রান্ত বাংলাদেশ জাতীয় কমিটির চেয়ারপার্সন সায়মা ওয়াজেদ হোসেন, ডেপুটি স্পিকার ও আইপিইউ সংসদ সদস্য, মন্ত্রী, হুইপ এবং পদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা ভোজসভায় উপস্থিত ছিলেন।