সোলাইমান মিয়া। বয়স কত হবে? বলতে পারলেন না কত হবে। তারপরেও ধারণা করা হচ্ছে ৮০ এর কমবেশি হবে। সোলাইমান মিয়া কলকাতার নায়িকা প্রিয়াঙ্কা সরকারের বিয়ে পড়াবেন মনির হোসেন যুবরাজের সাথে। প্রিয়াঙ্কা শুটিং হাউজে এসে দুপুর থেকে বসে আছেন। ক্যামেরা লাইট সব রেডি। কিন্তু বারবার কুশীলবদের সংলাপ রিপিট করতে গিয়ে সমকয় যাচ্ছে। সন্ধ্যার পর পর বিয়ে সম্পন্ন হয়। এটা রফিক শিকদারের হৃদয় জুড়ে ছবির শুটিং সেটের গল্প। এরপরেই ক্যামেরা থেকে মুক্তি পেলে সোলাইমানের।
প্রিয়াঙ্কা শুটিং হাউজেই কথা হয় সোলাইমানের সাথে। জানতে চাইলাম তিনি বাস্তবিক কাজী কি না। সোলাইমান জানালেন না বাস্তবিক কাজী না। তবে কাজীর অভিনয় তাকে করতে হয়েছে। কাজীর অভিনয় করতে গিয়ে কাজী মনে হয়েছে কি না। সোলাইমান জানালেন, ক্যামেরার সামনে যখন তিনি কাজী তখন কাজী-ই। তিনি যে শুধু কাজীর অভিনয়ই করেন তা নয়। সোলাইমান বলেন, আমি কখনো বস্তির সর্দার, কখনো কুলির সর্দার কখনো হোটেল ম্যানেজারের অভিনয় করেছি। তবে কাজীর অভিনয়টাই কেন জানি আমারে কপালে এসে বেশি জোটে।
এই পর্যন্ত কার কার বিয়ে পড়িয়েছেন? সোলাইমান বলেন, কার বিয়ে পড়াইনি সেটাইতো মনে করতে পারছি না। আশির দশকে আমাকে চলচ্চিত্রে কাজ করার সুযোগ দেন নারায়ণ ঘোষ মিতা। সেটাই শুরু এরপরে এফডিসি আমার ঠিকানা হয়ে যায়। সেই সময় থেকে কাজীর রোলটা আমার বেশি করা হয়েছে। তখন থেকে প্রায় সব নায়ক-নায়িকার বিয়েই আমি পড়িয়েছি। তবে আমার শাবানা-আলমগীরের বিয়ে পরানোর কথা বেশি মনে আছে। কারণ তাদের বিয়ে আমি সবচেয়ে বেশি পড়িয়েছি।
ব্যক্তিগত জীবনে সোলাইমান স্ত্রীসহ পুরান ঢাকার একরুমের বাসায় থাকেন। এখন ছবির পার্শ্ব অভিনয় ছাড়া আর কোনো কাজ হাতে নেই। অভিনয় করেই মাস চলে যায়। সংসার এভাবেই চলে কি না, জানতে চাইলে বলেন, চলে যায় কোনোভাবে। কোনো সন্তান নেই। আসলে কি নেই? কথার পরিস্কার অর্থ বোঝা গেল না। হয়তো আক্ষেপ থাকতে পারে বা সন্তানেরা দেখভাল করেন না কিংবা আসলেই সন্তান নেই কিংবা বলতেই চান না পারিবারিক কথা। এসব কথা বলতে গিয়ে চোখ ছল ছল করা অভিনেতা সোলাইমান প্রতিবেদকের সামনে অভিনয় করতে পারলেন না।