শনির হাওর রক্ষায় স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করছেন কৃষক জনপ্রতিনিধি

শনির হাওরে তিনটি ফসল রক্ষা বাঁধ মারাত্মক হুমকির মুখে রয়েছে। যে কোনো সময় বাঁধ ভেঙে তলিয়ে যেতে পারে হাওরের ১৫ হাজার হেক্টর জমির বোরো ফসল। হুমকির সম্মুখীন বাঁধগুলো হলো_ সাহেবনগর, লালুর গোয়ালা ও নান্টুখালী ক্লোজার বাঁধ। চার–পাঁচ দিন ধরে টানা বৃষ্টি ও পাহাড় থেকে নেমে আসা ঢলে পানি বৃদ্ধি পায়। সঠিক সময়ে বাঁধে কাজ না করায় সেগুলো মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে। রবিবার সরেজমিন শনির হাওরে গিয়ে দেখা যায়, সাহেবনগর বাঁধটিতে কোনো কাজ না করার কারণে নদীর পানি উপচে শুক্রবার ভোর থেকে হাওরে পানি প্রবেশ করছে। এ বাঁধের কাজের ঠিকাদার সুনামগঞ্জের পার্থ রায়। তিনি কিছু দিন আগে স্থানীয় এক ইউপি সদস্যকে কাজ করার দায়িত্ব দেন। ইউপি সদস্য কয়েকদিন সামান্য মাটির কাজ করেন। পরে ঠিকাদার বাঁধে আর মাটির কাজ করেননি। শুক্রবার সকালে হাওরে পানি প্রবেশ করলে স্থানীয়রা স্বেচ্ছাশ্রমে মাটি কেটে কোনো রকমে বাঁধটি রক্ষা করেন। তা ছাড়া বিগত বছর শনির হাওরে ভেঙে যাওয়া বাঁধ লালুর গোয়ালার অবস্থা অত্যন্ত খারাপ, বাঁধটি স্থানে স্থানে দেবে গেছে। সে সঙ্গে বাঁধের নিচ দিয়ে হাওরের দিকে পানি প্রবেশ করছে। অন্যদিকে নান্টুখালী বাঁধটিতে ফাটল দেখা দিয়েছে। সে সঙ্গে প্যালাসাইটিংয়ের জন্য বস্তা সেটিং না থাকায় এ বাঁধটিও হুমকির মুখে পড়েছে। যে কোনো সময় বাঁধ ভেঙে হাওরের ১৫ হাজার হেক্টর জমির বোরো ফসল তলিয়ে যেতে পারে বলে কৃষকরা আশঙ্কা করছেন। তাহিরপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন বলেন, বাঁধগুলো ঠেকাতে হলে জরুরি ভিত্তিতে বাঁধে কাজ করা প্রয়োজন।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর