ঢাকা ০৪:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যুক্তরাষ্ট্রের সাহসী নারী পুরস্কার পাচ্ছেন বাংলাদেশের শারমিন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:১১:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ মার্চ ২০১৭
  • ২৯৩ বার

নিজের বাল্যবিবাহ রুখে দেয়ার জন্য বাংলাদেশের শারমিন আক্তার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রবর্তিত ‘ইন্টারন্যাশনাল উইমেন অব কারেজ অ্যাওয়ার্ড’ পাচ্ছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্টলেডি মেলানিয়া ট্রাম্প ও রাজনীতি বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি থমাস শ্যানন বুধবার তাকেসহ ১৩ নারীর হাতে এ পুরস্কার তুলে দেবেন বলে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

ব্যতিক্রমধর্মী সাহস, শান্তি, ন্যায়বিচার, মানবাধিকার, লিঙ্গ সমতা, নারীর ক্ষমতায়ন ও নারী নেতৃত্বে অবদানের জন্য বিশ্বব্যাপী নারীদের পুরস্কৃত করছে যুক্তরাষ্ট্র।

শারমিনকে মাত্র ১৫ বছর বয়সে তাকে বিয়ে দিতে চেয়েছিল তার মা। শারমিন বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। সাহসিকতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবেলা করে এবং তার পড়াশুনা চালিয়ে যায় শারমিন।

মাত্র ১৫ বছর বয়সে জোরপূর্বক বিয়ে ঠেকিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার কিশোরীদের জন্য দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করায় এই বছর শারমিন আক্তারকে ‘সাহসী নারী’ পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে। ২০১৫ সালের অগাস্টের ওই ঘটনায় শারমিন তার মা এবং ৩২ বছর বয়সী ‘হবু স্বামী’ প্রতিবেশী স্বপন খলিফার বিরুদ্ধে মামলাও করেছিলেন।

বাল্যবিবাহের প্রচলন রয়েছে বিশ্বের এমন দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। অপ্রাপ্ত বয়সে বিয়ের কারণে লাখো কিশোরীদের স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা, শিক্ষা হুমকির মুখে পড়ে এবং দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়।

শারমিনের গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠি জেলায়। তিনি এখন রাজাপুর পাইলট গার্লস উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করছেন। তার স্বপ্ন পড়াশুনা শেষ করে আইনজীবী হওয়া। যাতে করে বাল্যবিবাহ ও জোরপূর্বক বিয়ে প্রথার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে পারেন।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ২০০৭ সালে প্রথম এই পুরস্কার চালু করে। এখন পর্যন্ত ৬০টি দেশের ১০০ জন নারীকে এই পুরস্কার দেয়া হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

যুক্তরাষ্ট্রের সাহসী নারী পুরস্কার পাচ্ছেন বাংলাদেশের শারমিন

আপডেট টাইম : ১১:১১:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ মার্চ ২০১৭

নিজের বাল্যবিবাহ রুখে দেয়ার জন্য বাংলাদেশের শারমিন আক্তার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রবর্তিত ‘ইন্টারন্যাশনাল উইমেন অব কারেজ অ্যাওয়ার্ড’ পাচ্ছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্টলেডি মেলানিয়া ট্রাম্প ও রাজনীতি বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি থমাস শ্যানন বুধবার তাকেসহ ১৩ নারীর হাতে এ পুরস্কার তুলে দেবেন বলে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

ব্যতিক্রমধর্মী সাহস, শান্তি, ন্যায়বিচার, মানবাধিকার, লিঙ্গ সমতা, নারীর ক্ষমতায়ন ও নারী নেতৃত্বে অবদানের জন্য বিশ্বব্যাপী নারীদের পুরস্কৃত করছে যুক্তরাষ্ট্র।

শারমিনকে মাত্র ১৫ বছর বয়সে তাকে বিয়ে দিতে চেয়েছিল তার মা। শারমিন বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। সাহসিকতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবেলা করে এবং তার পড়াশুনা চালিয়ে যায় শারমিন।

মাত্র ১৫ বছর বয়সে জোরপূর্বক বিয়ে ঠেকিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার কিশোরীদের জন্য দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করায় এই বছর শারমিন আক্তারকে ‘সাহসী নারী’ পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে। ২০১৫ সালের অগাস্টের ওই ঘটনায় শারমিন তার মা এবং ৩২ বছর বয়সী ‘হবু স্বামী’ প্রতিবেশী স্বপন খলিফার বিরুদ্ধে মামলাও করেছিলেন।

বাল্যবিবাহের প্রচলন রয়েছে বিশ্বের এমন দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। অপ্রাপ্ত বয়সে বিয়ের কারণে লাখো কিশোরীদের স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা, শিক্ষা হুমকির মুখে পড়ে এবং দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়।

শারমিনের গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠি জেলায়। তিনি এখন রাজাপুর পাইলট গার্লস উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করছেন। তার স্বপ্ন পড়াশুনা শেষ করে আইনজীবী হওয়া। যাতে করে বাল্যবিবাহ ও জোরপূর্বক বিয়ে প্রথার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে পারেন।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ২০০৭ সালে প্রথম এই পুরস্কার চালু করে। এখন পর্যন্ত ৬০টি দেশের ১০০ জন নারীকে এই পুরস্কার দেয়া হয়েছে।