কুমিল্লায় জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে একটি বাড়ি ঘেরাও করে রেখেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য। জেলার সদর দক্ষিণ থানাধীন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ২৪নং ওয়ার্ডের গন্ধমতি গ্রামের দেলোয়ার হোসেন ড্রাইভারের তিনতলা বিশিষ্ট ওই বাড়িটি বুধবার বিকাল চারটার দিকে ঘেরাও করা হয়। তবে ভোটারদের আতঙ্কিত না হয়ে নির্বিঘ্নে কেন্দ্রে যাওয়ার অনুরোধ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। ভোট শেষে প্রয়োজনে অভিযান করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সন্ধ্যায় সিইসি সাংবাদিকদের বলেন, আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। ভোটারদের নির্বিঘ্ন পরিবেশ নিশ্চিত করা হয়েছে। কোনোভাবেই আতঙ্কিত হবেন না। পুলিশ সংশ্লিষ্ট বাড়ি ঘিরে রেখেছে। সেক্ষেত্রে ভোটের কোনো অসুবিধা হবে না। পুলিশ আমাকে জানিয়েছে-প্রয়োজন হলেই অভিযানের বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে। তবে ভোটের মধ্যে এ অভিযান হবে না। প্রয়োজনে ভোট শেষে তারা অভিযান করবে।
জানা গেছে, কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট ঢাকায় এক জঙ্গিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। ওই জঙ্গির দেয়া তথ্যমতে, বুধবার বিকালের দিকে গন্ধমতি গ্রামের আহাম্মদ আলী ওরফে আহাম আলীর ছেলে দেলোয়ার হোসেন ড্রাইভারের তৃতীয় তলা বাড়িটি ঘেরাও করে র্যাব-পুলিশ ও একাধিক গোয়েন্দা সংস্থাসহ আইন-শৃংখলা বাহিনী সদস্যরা।
স্থানীয়রা জানায়, তিন তলা বাড়িটির উপরতলা নির্মাণাধীন। দুই ইউনিটের ওই বাড়ির নীচতলা ও দোতলা ম্যাচ হিসেবে ৩ মাস আগে ভাড়া দেয়া হয়। কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের হাতে আটক জঙ্গির দেখানো মতে, বুধবার আইন-শৃংখলা বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য ওই বাড়ির দরজায় বাইরে থেকে তালাবদ্ধ করে ঘেরাও করে। খবর পেয়ে কুমিল্লা পুলিশ সুপার মো. শাহ আবিদ হোসেন, র্যাব-১১ এর অধিনায়ক মেজর মোস্তফা কায়জারসহ পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যান।
কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) আবদুল্লাহ আল-মামুন জানান, বোমা ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এক বা একাধিক জঙ্গি এ বাড়ির নীচতলায় রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাড়িটি ঘেরাও করার পর দোতলার ম্যাচ থেকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২/১৩ জন ছাত্রকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়। ঢাকা থেকে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট, সোয়াত ও বোমা বিশেষজ্ঞ দল আসার পর বৃহস্পতিবার জঙ্গি গ্রেফতারে অভিযান পরিচালনা করা হবে। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।