ঢাকা ০৫:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

২৫ মার্চে হানাদার বাহিনীর বর্বরতা আমি দেখেছি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৩৬:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মার্চ ২০১৭
  • ২৯০ বার

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগীর বলেছেন, ‘২৫ মার্চের কালরাতে হানাদার বাহিনীর বর্বরতার মহোৎসব আমি দেখেছি। আর এই নৃশংসতার প্রতিরোধ গড়েছিল স্বাধীনতাকামী বাঙালিরা।’ শনিবার গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি বাস্তবায়নের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) আয়োজিত সপ্তাহব্যাপী মুক্তিসংগ্রাম নাট্যোৎসবের ‍উদ্বোধন শেষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

মহিউদ্দিন খান আলমগীর বলেন, ‘মুক্তিসংগ্রামের চেতনাবোধ এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে যাবে।’

.

এর আগে সন্ধ্যা পৌনে ৬ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে উৎসবের উদ্বোধন করেন মুক্তিযোদ্ধা তারামন বিবি (বীর প্রতীক)। ‘মুক্তির আলোয় আলোকিত করি ভুবন’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র এই উৎসবের আয়োজন করা হয়। উদ্বোধনী দিনে ১৫ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগীর, বিশেষ অতিথি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনের পর অতিথিরা ক্যাফেটেরিয়ায় মুক্তিসংগ্রামের আর্ট ক্যাম্প ও স্মারক প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন।

.

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে এক আলোচনা সভায় তারামন বিবি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা না পেলে ২৫ মার্চ কালরাতে গণহত্যা চালানো সেই অমানুষদের সঙ্গে আমাদের থাকতে হতো। তারা আমাদের মানুষ বলে গণ্য করতো না। এসব মাথায় রেখেই আমরা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি। যুদ্ধ মোটেও সহজ ছিল না। এমনি এমনি এই স্বাধীন দেশের জন্ম হয়নি।’

সভায় ডা. দীপু মনি বলেন, ‘২৫ মার্চের গণহত্যা ইতিহাসের নৃশংসতম গণহত্যা। কিন্তু এটি সারা বিশ্বে সেভাবে পরিচিতি পায়নি। কারণ ৭৫ এ জাতির পিতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশে যে সামরিক শাসন এসেছে, তারা বাংলাদেশকে পাকিস্তানি ধারায় পরিচালিত করার অপচেষ্টা চালিয়েছে। তারই অংশ হিসেবে গণহত্যার ইতিহাস বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরা হয়নি। বরং ইতিহাস বিকৃত করে পাকিস্তানের দোসরদের ক্ষমতায় বসানো হয়েছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘শীঘ্রই গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাবো বলে আমরা আশাবাদী। এর মধ্য দিয়ে আমরা গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারীদের বিচারের পথ সুগম করতে পারবো।’

আলোচনা সভা শেষে নাট্যাচার্য সেলিম আল দীন (মরনোত্তর), অভিনেতা হুমায়ুন ফরিদী (মরনোত্তর), সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক (মরনোত্তর), জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা তারামন বিবি (বীর প্রতীক), সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদসহ ১৫ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

২৫ মার্চে হানাদার বাহিনীর বর্বরতা আমি দেখেছি

আপডেট টাইম : ১১:৩৬:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মার্চ ২০১৭

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগীর বলেছেন, ‘২৫ মার্চের কালরাতে হানাদার বাহিনীর বর্বরতার মহোৎসব আমি দেখেছি। আর এই নৃশংসতার প্রতিরোধ গড়েছিল স্বাধীনতাকামী বাঙালিরা।’ শনিবার গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি বাস্তবায়নের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) আয়োজিত সপ্তাহব্যাপী মুক্তিসংগ্রাম নাট্যোৎসবের ‍উদ্বোধন শেষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

মহিউদ্দিন খান আলমগীর বলেন, ‘মুক্তিসংগ্রামের চেতনাবোধ এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে যাবে।’

.

এর আগে সন্ধ্যা পৌনে ৬ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে উৎসবের উদ্বোধন করেন মুক্তিযোদ্ধা তারামন বিবি (বীর প্রতীক)। ‘মুক্তির আলোয় আলোকিত করি ভুবন’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র এই উৎসবের আয়োজন করা হয়। উদ্বোধনী দিনে ১৫ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগীর, বিশেষ অতিথি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনের পর অতিথিরা ক্যাফেটেরিয়ায় মুক্তিসংগ্রামের আর্ট ক্যাম্প ও স্মারক প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন।

.

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে এক আলোচনা সভায় তারামন বিবি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা না পেলে ২৫ মার্চ কালরাতে গণহত্যা চালানো সেই অমানুষদের সঙ্গে আমাদের থাকতে হতো। তারা আমাদের মানুষ বলে গণ্য করতো না। এসব মাথায় রেখেই আমরা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি। যুদ্ধ মোটেও সহজ ছিল না। এমনি এমনি এই স্বাধীন দেশের জন্ম হয়নি।’

সভায় ডা. দীপু মনি বলেন, ‘২৫ মার্চের গণহত্যা ইতিহাসের নৃশংসতম গণহত্যা। কিন্তু এটি সারা বিশ্বে সেভাবে পরিচিতি পায়নি। কারণ ৭৫ এ জাতির পিতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশে যে সামরিক শাসন এসেছে, তারা বাংলাদেশকে পাকিস্তানি ধারায় পরিচালিত করার অপচেষ্টা চালিয়েছে। তারই অংশ হিসেবে গণহত্যার ইতিহাস বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরা হয়নি। বরং ইতিহাস বিকৃত করে পাকিস্তানের দোসরদের ক্ষমতায় বসানো হয়েছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘শীঘ্রই গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাবো বলে আমরা আশাবাদী। এর মধ্য দিয়ে আমরা গণহত্যার মূল পরিকল্পনাকারীদের বিচারের পথ সুগম করতে পারবো।’

আলোচনা সভা শেষে নাট্যাচার্য সেলিম আল দীন (মরনোত্তর), অভিনেতা হুমায়ুন ফরিদী (মরনোত্তর), সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক (মরনোত্তর), জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা তারামন বিবি (বীর প্রতীক), সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদসহ ১৫ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।