ঢাকা ০৭:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাঠের পর মাঠ পেঁয়াজফুলের মনোরম দৃশ্য

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:০৩:০৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মার্চ ২০১৭
  • ৫২২ বার

প্রতিবছরের মতো এ বছরও সারা দেশের পেঁয়াজবীজের চাহিদা মেটাতে প্রস্তুত হচ্ছেন ফরিদপুরের কৃষকরা। তাদের আশা এবারও পেঁয়াজের বীজের বাম্পার ফলন হবে। ফরিদপুরের নয় উপজেলার ৫টিতেই এখন মাঠজুড়ে পেঁয়াজ ফুলের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য।

পেঁয়াজের বীজের জন্য খ্যাতি রয়েছে ফরিদপুরের। তাহিরপুরী বীজ থেকে লাগানো পেঁয়াজ মাঠ থেকে বীজ হয়ে কৃষকের ঘরে উঠবে আর কয়েক সপ্তাহ পরই। কৃষকের আশা, এ বছর ২০০ মেট্রিক টনের বেশি পেঁয়াজের বীজ উৎপাদন হবে। দেশের পেঁয়াজবীজের মোট চাহিদার শতকরা ৭৫ ভাগ সরবরাহ হয় ফরিদপুর থেকে।

ফরিদপুর কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে এ অঞ্চলে তিন হাজার ২৭৫ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের বীজ চাষা করা হয়েছে। কম খরচে লাভ বেশি হওয়ায় জেলার এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি পেঁয়াজবীজ আবাদ হয়েছে বলে মনে করেন কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা।

ফরিদপুর অঞ্চলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ আবদুর রউফ বলেন, ‘বিএডিসির সংগৃহীত মোট পেঁয়াজবীজের ৭৫ শতাংশ ফরিদপুর জেলার। আমরা চেষ্টা করছি এই বীজ চাষে বেকার যুবকদের উৎসাহিত করতে।’ তিনি বলেন, আবহাওয়া ভালো থাকলে জেলার ৫টি উপজেলায় ২০০ মেট্রিক টনের বেশি বীজ উৎপাদন করা সম্ভব হবে।

ফরিদপুর সদর উপজেলার অম্বিকাপুর গ্রামের বিএডিসির তালিকাভুক্ত পেঁয়াজবীজ চাষি মো. আকবর খান এ বছর চার বিঘা জমিতে পেঁয়াজবীজের চাষ করেছেন। তিনি আশা করছেন, এবার ভালো ফলন হওয়ায় ১২ মণের বেশি বীজ উৎপাদন হবে।

একই গ্রামের বক্তার খান বললেন, ‘আমাদের এই অঞ্চলের বীজ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরকার বিএডিসির মাধ্যমে সরবরাহ করে।’ তিনি দাবি করেন, বিএডিসি এবং বিভিন্ন ব্যাংক যদি তাদের আরো বেশি সহায়তা করে তাহলে ফরিদপুর অঞ্চলের মানুষ আরো বেশি বীজ উৎপাদন করতে পারবে। এতে সরকারকে পেঁয়াজবীজ আমদানি করতে হবে না।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

মাঠের পর মাঠ পেঁয়াজফুলের মনোরম দৃশ্য

আপডেট টাইম : ১২:০৩:০৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মার্চ ২০১৭

প্রতিবছরের মতো এ বছরও সারা দেশের পেঁয়াজবীজের চাহিদা মেটাতে প্রস্তুত হচ্ছেন ফরিদপুরের কৃষকরা। তাদের আশা এবারও পেঁয়াজের বীজের বাম্পার ফলন হবে। ফরিদপুরের নয় উপজেলার ৫টিতেই এখন মাঠজুড়ে পেঁয়াজ ফুলের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য।

পেঁয়াজের বীজের জন্য খ্যাতি রয়েছে ফরিদপুরের। তাহিরপুরী বীজ থেকে লাগানো পেঁয়াজ মাঠ থেকে বীজ হয়ে কৃষকের ঘরে উঠবে আর কয়েক সপ্তাহ পরই। কৃষকের আশা, এ বছর ২০০ মেট্রিক টনের বেশি পেঁয়াজের বীজ উৎপাদন হবে। দেশের পেঁয়াজবীজের মোট চাহিদার শতকরা ৭৫ ভাগ সরবরাহ হয় ফরিদপুর থেকে।

ফরিদপুর কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে এ অঞ্চলে তিন হাজার ২৭৫ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের বীজ চাষা করা হয়েছে। কম খরচে লাভ বেশি হওয়ায় জেলার এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি পেঁয়াজবীজ আবাদ হয়েছে বলে মনে করেন কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা।

ফরিদপুর অঞ্চলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ আবদুর রউফ বলেন, ‘বিএডিসির সংগৃহীত মোট পেঁয়াজবীজের ৭৫ শতাংশ ফরিদপুর জেলার। আমরা চেষ্টা করছি এই বীজ চাষে বেকার যুবকদের উৎসাহিত করতে।’ তিনি বলেন, আবহাওয়া ভালো থাকলে জেলার ৫টি উপজেলায় ২০০ মেট্রিক টনের বেশি বীজ উৎপাদন করা সম্ভব হবে।

ফরিদপুর সদর উপজেলার অম্বিকাপুর গ্রামের বিএডিসির তালিকাভুক্ত পেঁয়াজবীজ চাষি মো. আকবর খান এ বছর চার বিঘা জমিতে পেঁয়াজবীজের চাষ করেছেন। তিনি আশা করছেন, এবার ভালো ফলন হওয়ায় ১২ মণের বেশি বীজ উৎপাদন হবে।

একই গ্রামের বক্তার খান বললেন, ‘আমাদের এই অঞ্চলের বীজ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরকার বিএডিসির মাধ্যমে সরবরাহ করে।’ তিনি দাবি করেন, বিএডিসি এবং বিভিন্ন ব্যাংক যদি তাদের আরো বেশি সহায়তা করে তাহলে ফরিদপুর অঞ্চলের মানুষ আরো বেশি বীজ উৎপাদন করতে পারবে। এতে সরকারকে পেঁয়াজবীজ আমদানি করতে হবে না।