ঢাকা ০৮:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইসির রোডম্যাপে ২১ বিষয়

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:৫২:০৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ মার্চ ২০১৭
  • ৩০৬ বার

একাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ২১টি বিষয় ধরে নির্বাচনী রোডম্যাপের প্রাথমিক খসড়া তৈরি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রাথমিক এ খসড়ায় ভোটগ্রহণ, তফসিল ঘোষণার আগে ও পরে কোন কাজটি কখন করা হবে তার বিবরণ রয়েছে। বুধবার ইসির অতিরিক্ত সচিব মোখলেছুর রহমানের নেতৃত্বে এক অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে চূড়ান্ত খসড়া তৈরি করার কথা রয়েছে। যা পরবর্তীতে চূড়ান্ত করার জন্য ২৮ মার্চ কমিশন বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে বলে ইসি সূত্রে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, এই রোডম্যাপে কোনো উপ-নির্বাচন বা স্থানীয় সরকারের ছোট ছোট নির্বাচনের বিষয়ে কিছু বলা না থাকলেও কোনো স্থানে নির্বাচনের প্রয়োজন হলে বা সময় হলে আইন অনুযায়ী সেগুলো সম্পন্ন করবে ইসি। আর এই রোডম্যাপ চূড়ান্ত করে ইসি অনুমোদন দিলে সেটি বই আকারে প্রকাশ করা হবে।
নির্বাচনী আইনের সংস্কার : প্রথমেই রয়েছে নির্বাচনী আইনের সংস্কার। যা চলতি বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট আইন-বিধি সংশোধন করে চূড়ান্ত করা হবে। এই অংশে বিষয়টি নিয়ে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল/গণমাধ্যম/সুশীল সমাজের সঙ্গে আলোচনার করার কথা বলা হয়েছে।
নির্বাচনী এলাকার সীমানা সংক্রান্ত : নির্বাচনী এলাকার সীমানা সংক্রান্ত বিষয়টিতে চলতি বছরের আগস্ট থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে ৩০০ আসনের সীমানা চূড়ান্ত করে গেজেট প্রকাশ করার কথা বলা হয়েছে।
নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধন : এ অংশে চলতি বছরের অক্টোবরে নতুন রাজনৈতি দলগুলোর আবেদন আহ্বান করে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে তা নিষ্পত্তি করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
ভোটার তালিকা : ভোটার তালিকা ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি হালনাগাদের খসড়া প্রস্তুত ও প্রকাশ করে আগস্টের মধ্যে প্রার্থীদের জন্য নির্বাচনী এলাকাভিত্তিক ছবিছাড়া ভোটার তালিকার সিডি প্রস্তুত ও মাঠপর্যায়ে পাঠানোর পরিকল্পার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
নির্বাচনী বাজেট প্রস্তুত ও বাজেট সংক্রান্ত কার্যক্রম : এখানে দুইটি ভাগ রয়েছে- একটি রাজস্ব বাজেট, আরেকটি প্রকল্প বাজেট। নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণার ১৮০ দিন আগে বাজেটের বরাদ্দকৃত অর্থের খাতভিত্তিক হার নির্ধারণ ও দফাওয়ারি বিভাজন তালিকা প্রস্তুত করে সময়সূচি ঘোষণার ১০ দিন আগে নির্বাচনী ব্যয় নির্বাহের জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে প্রয়োজনীয় অর্থের বরাদ্দপত্র জারি করার কথা বলা হয়েছে রাজস্ব বাজেটে। আর সময়সূচি ঘোষণার ৩৬৫ দিন আগেই উন্নয়ন অংশীদার বা অন্য কোনোভাবে প্রকল্পের মাধ্যমে নির্বাচনী কার্যক্রমের অর্থের সংস্থান করার কথা বলা হয়েছে প্রকল্প বাজেট অংশে।
বিভিন্ন ফরম প্যাকেট মুদ্রণ সংক্রান্ত কার্যক্রম : ২০১৮ সালের এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচনের বিভিন্ন ফরম প্যাকেট মুদ্রণের জন্য মুদ্রণ অধিদপ্তরের সাথে সভা করে বিভিন্ন প্রকার ফরম, প্যাকেট, লিফলেট ইত্যাদি পর্যায়ক্রমে মুদ্রণের জন্য মুদ্রণালয়ের নিয়ন্ত্রককে অনুরোধ করা। জুলাইয়ে মুদ্রণ সম্পন্ন করা এবং অক্টোবরের মধ্যে মনোনয়নপত্র দাখিল সংশ্লিষ্ট এবং প্রাথমিক পর্যায়ের বিভিন্ন ফরম, প্যাকেট ও অন্যান্য দ্রব্যাদি মাঠপর্যায়ে পাঠানো।
এছাড়া এর মধ্যে নির্বাচনী সামগ্রী সংযুক্ত এবং ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে পরপত্রের মাধ্যমে ব্যালট বাক্স ক্রয় সংক্রান্ত প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করে ভোটগ্রহণের কমপক্ষে ৩০ দিন পূর্বের সকল ব্যালট বাক্স ব্যবহার উপযোগী করা।
ভোটকেন্দ্র : সময়সূচি ঘোষণার ১৮০ দিন পূর্বে ভোটকেন্দ্র হিসেবে সম্ভাব্য স্থাপনা/প্রতিষ্ঠানের মেরামত ও সংস্কারের লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ে নির্দেশনা দেওয়া এবং সময়সূচি ঘোষণার ২৫ দিন পূর্বে ভোটকেন্দ্রের গেজেট প্রকাশ করে সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে পাঠানো।
বিভিন্ন প্রকার ম্যানুয়েল ও নির্দেশিকা প্রণয়ন : সময়সূচি ঘোষণার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন পরিচালনা ও প্রশিক্ষণের জন্য বিভিন্ন প্রকার ম্যানুয়েল ও নির্দেশিকা প্রণয়ন ও কমিশনের প্রাথমিক অনুমোদন নেওয়া এবং বাকি কাজ করে সময়সূচি ঘোষণার ২০ দিন পূর্বে ম্যানুয়েল ও নির্দেশিকার মুদ্রণ সম্পন্ন করা।
আন্তঃমন্ত্রণালয় সংক্রান্ত কার্যক্রম : সময়সূচি ঘোষণার ৩০ দিন পূর্বে ঋণখেলাপী সংক্রান্ত তথ্য প্রাপ্তি ও এ সংক্রান্ত বিধি বিধান/নীতিমালা প্রস্তুতের জন্য অর্থমন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে সভা। এছাড়া ডাক টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়, ডাক বিভাগ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পরিবহন ও সেতু বিভাগ এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগের সঙ্গে সভা করার কথা বলা হয়েছে সময়সূচির ৩০ দিন পূর্বে।
প্রাথমিক পর্যায়ে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সাথে সভা : সময়সূচি ঘোষণার ২৫ দিন পূর্বে এই অংশে ভোটগ্রহণের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ ও নির্বাচনের বিষয়ে সার্বিক ধারণা নেওয়ার জন্য প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলের সাথে সভা করার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া এই অংশে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সাথেও সভা করার কথা বলা হয়েছে।
এছাড়াও রয়েছে নির্বাচনের জন্য জনবল, আইন-শৃঙ্খলা, প্রশিক্ষণ/ব্রিফিং, নির্বাচনী প্রচারণামূলক কার্যক্রম, রাজনৈতিক দলের নির্বাচনি প্রচারণা, নির্বাচন কমিশনের ও বেসরকারি পর্যায়ের দেশি, বিদেশি পর্যবেক্ষক, টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা সুসংহতকরণ, বেসরকারি প্রাথমিক ফলাফল প্রচার সংক্রান্ত কার্যাবলী, ডিজিটাল ভোটিং মেশিন সংক্রান্ত এবং ডিজিটাল পদ্ধতিতে নির্বাচনি এলাকার পরিস্থিতি প্রতিবেদন সংগ্রহ।
এ বিষয়ে ইসি সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে আমাদের একটি কর্মপরিকল্পনার কাজ চলছে। এটাকে চেক লিস্টও বলা যেতে পারে। এটিতে কোন সময়ের মধ্যে আমাদের কি কাজ করতে হবে এটার লিস্ট করা থাকবে। এতে সময় মতো কাজগুলো হচ্ছে কি না তা বোঝা যাবে। মার্চেই এটি চূড়ান্ত করা হবে বলে আমি আশা করি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ইসির রোডম্যাপে ২১ বিষয়

আপডেট টাইম : ১২:৫২:০৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ মার্চ ২০১৭

একাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ২১টি বিষয় ধরে নির্বাচনী রোডম্যাপের প্রাথমিক খসড়া তৈরি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রাথমিক এ খসড়ায় ভোটগ্রহণ, তফসিল ঘোষণার আগে ও পরে কোন কাজটি কখন করা হবে তার বিবরণ রয়েছে। বুধবার ইসির অতিরিক্ত সচিব মোখলেছুর রহমানের নেতৃত্বে এক অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে চূড়ান্ত খসড়া তৈরি করার কথা রয়েছে। যা পরবর্তীতে চূড়ান্ত করার জন্য ২৮ মার্চ কমিশন বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে বলে ইসি সূত্রে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, এই রোডম্যাপে কোনো উপ-নির্বাচন বা স্থানীয় সরকারের ছোট ছোট নির্বাচনের বিষয়ে কিছু বলা না থাকলেও কোনো স্থানে নির্বাচনের প্রয়োজন হলে বা সময় হলে আইন অনুযায়ী সেগুলো সম্পন্ন করবে ইসি। আর এই রোডম্যাপ চূড়ান্ত করে ইসি অনুমোদন দিলে সেটি বই আকারে প্রকাশ করা হবে।
নির্বাচনী আইনের সংস্কার : প্রথমেই রয়েছে নির্বাচনী আইনের সংস্কার। যা চলতি বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট আইন-বিধি সংশোধন করে চূড়ান্ত করা হবে। এই অংশে বিষয়টি নিয়ে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল/গণমাধ্যম/সুশীল সমাজের সঙ্গে আলোচনার করার কথা বলা হয়েছে।
নির্বাচনী এলাকার সীমানা সংক্রান্ত : নির্বাচনী এলাকার সীমানা সংক্রান্ত বিষয়টিতে চলতি বছরের আগস্ট থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে ৩০০ আসনের সীমানা চূড়ান্ত করে গেজেট প্রকাশ করার কথা বলা হয়েছে।
নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধন : এ অংশে চলতি বছরের অক্টোবরে নতুন রাজনৈতি দলগুলোর আবেদন আহ্বান করে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে তা নিষ্পত্তি করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
ভোটার তালিকা : ভোটার তালিকা ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি হালনাগাদের খসড়া প্রস্তুত ও প্রকাশ করে আগস্টের মধ্যে প্রার্থীদের জন্য নির্বাচনী এলাকাভিত্তিক ছবিছাড়া ভোটার তালিকার সিডি প্রস্তুত ও মাঠপর্যায়ে পাঠানোর পরিকল্পার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
নির্বাচনী বাজেট প্রস্তুত ও বাজেট সংক্রান্ত কার্যক্রম : এখানে দুইটি ভাগ রয়েছে- একটি রাজস্ব বাজেট, আরেকটি প্রকল্প বাজেট। নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণার ১৮০ দিন আগে বাজেটের বরাদ্দকৃত অর্থের খাতভিত্তিক হার নির্ধারণ ও দফাওয়ারি বিভাজন তালিকা প্রস্তুত করে সময়সূচি ঘোষণার ১০ দিন আগে নির্বাচনী ব্যয় নির্বাহের জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে প্রয়োজনীয় অর্থের বরাদ্দপত্র জারি করার কথা বলা হয়েছে রাজস্ব বাজেটে। আর সময়সূচি ঘোষণার ৩৬৫ দিন আগেই উন্নয়ন অংশীদার বা অন্য কোনোভাবে প্রকল্পের মাধ্যমে নির্বাচনী কার্যক্রমের অর্থের সংস্থান করার কথা বলা হয়েছে প্রকল্প বাজেট অংশে।
বিভিন্ন ফরম প্যাকেট মুদ্রণ সংক্রান্ত কার্যক্রম : ২০১৮ সালের এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচনের বিভিন্ন ফরম প্যাকেট মুদ্রণের জন্য মুদ্রণ অধিদপ্তরের সাথে সভা করে বিভিন্ন প্রকার ফরম, প্যাকেট, লিফলেট ইত্যাদি পর্যায়ক্রমে মুদ্রণের জন্য মুদ্রণালয়ের নিয়ন্ত্রককে অনুরোধ করা। জুলাইয়ে মুদ্রণ সম্পন্ন করা এবং অক্টোবরের মধ্যে মনোনয়নপত্র দাখিল সংশ্লিষ্ট এবং প্রাথমিক পর্যায়ের বিভিন্ন ফরম, প্যাকেট ও অন্যান্য দ্রব্যাদি মাঠপর্যায়ে পাঠানো।
এছাড়া এর মধ্যে নির্বাচনী সামগ্রী সংযুক্ত এবং ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে পরপত্রের মাধ্যমে ব্যালট বাক্স ক্রয় সংক্রান্ত প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করে ভোটগ্রহণের কমপক্ষে ৩০ দিন পূর্বের সকল ব্যালট বাক্স ব্যবহার উপযোগী করা।
ভোটকেন্দ্র : সময়সূচি ঘোষণার ১৮০ দিন পূর্বে ভোটকেন্দ্র হিসেবে সম্ভাব্য স্থাপনা/প্রতিষ্ঠানের মেরামত ও সংস্কারের লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ে নির্দেশনা দেওয়া এবং সময়সূচি ঘোষণার ২৫ দিন পূর্বে ভোটকেন্দ্রের গেজেট প্রকাশ করে সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে পাঠানো।
বিভিন্ন প্রকার ম্যানুয়েল ও নির্দেশিকা প্রণয়ন : সময়সূচি ঘোষণার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন পরিচালনা ও প্রশিক্ষণের জন্য বিভিন্ন প্রকার ম্যানুয়েল ও নির্দেশিকা প্রণয়ন ও কমিশনের প্রাথমিক অনুমোদন নেওয়া এবং বাকি কাজ করে সময়সূচি ঘোষণার ২০ দিন পূর্বে ম্যানুয়েল ও নির্দেশিকার মুদ্রণ সম্পন্ন করা।
আন্তঃমন্ত্রণালয় সংক্রান্ত কার্যক্রম : সময়সূচি ঘোষণার ৩০ দিন পূর্বে ঋণখেলাপী সংক্রান্ত তথ্য প্রাপ্তি ও এ সংক্রান্ত বিধি বিধান/নীতিমালা প্রস্তুতের জন্য অর্থমন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে সভা। এছাড়া ডাক টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়, ডাক বিভাগ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পরিবহন ও সেতু বিভাগ এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগের সঙ্গে সভা করার কথা বলা হয়েছে সময়সূচির ৩০ দিন পূর্বে।
প্রাথমিক পর্যায়ে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সাথে সভা : সময়সূচি ঘোষণার ২৫ দিন পূর্বে এই অংশে ভোটগ্রহণের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ ও নির্বাচনের বিষয়ে সার্বিক ধারণা নেওয়ার জন্য প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলের সাথে সভা করার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া এই অংশে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সাথেও সভা করার কথা বলা হয়েছে।
এছাড়াও রয়েছে নির্বাচনের জন্য জনবল, আইন-শৃঙ্খলা, প্রশিক্ষণ/ব্রিফিং, নির্বাচনী প্রচারণামূলক কার্যক্রম, রাজনৈতিক দলের নির্বাচনি প্রচারণা, নির্বাচন কমিশনের ও বেসরকারি পর্যায়ের দেশি, বিদেশি পর্যবেক্ষক, টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা সুসংহতকরণ, বেসরকারি প্রাথমিক ফলাফল প্রচার সংক্রান্ত কার্যাবলী, ডিজিটাল ভোটিং মেশিন সংক্রান্ত এবং ডিজিটাল পদ্ধতিতে নির্বাচনি এলাকার পরিস্থিতি প্রতিবেদন সংগ্রহ।
এ বিষয়ে ইসি সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে আমাদের একটি কর্মপরিকল্পনার কাজ চলছে। এটাকে চেক লিস্টও বলা যেতে পারে। এটিতে কোন সময়ের মধ্যে আমাদের কি কাজ করতে হবে এটার লিস্ট করা থাকবে। এতে সময় মতো কাজগুলো হচ্ছে কি না তা বোঝা যাবে। মার্চেই এটি চূড়ান্ত করা হবে বলে আমি আশা করি।