নিজের জন্মভিটা কিশোরগঞ্জে এলে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ গ্রামের সাধারণ মানুষের বাহনে চড়তে পছন্দ করেন বেশি। সেটা কখনো হয় নৌকা, রিকশা কিংবা ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। এবার সফরে এসে প্রথমে মিঠামইনে রিকশায় ঘুরে বেড়ালেন। আর আজ অষ্টগ্রামে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় ঘুরলেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় হেলিকপ্টারে করে অষ্টগ্রাম উপজেলায় এসে বেলা একটায় অষ্টগ্রাম রোটারি ডিগ্রি কলেজের ২৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, ‘আমি হাওরের সন্তান। হাওরের কাদা-মাটি আমার গায়ে। এ মাটি থেকেই আমি আজ বড় হয়েছি।’
হাওরপ্রধান কিশোরগঞ্জের সঙ্গে তার নাড়ির টানের কথা বলতে গিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘অষ্টগ্রাম উপজেলার এমন কোনো গ্রাম নেই, যেখানে আমি যাইনি। হাওরের মানুষের সুখ-দুঃখ আমি বুঝি। হাওর সম্পর্কে উঁচু তলার লোকজন জানতেন না। আমি মন্ত্রী ও বিদেশি প্রতিষ্ঠানের লোকজনকে হাওর এলাকায় এনে এখানকার জনজীবন তুলে ধরি।’
ভৌগলিক কারণে এই আঞ্চল আজও অনুন্নত মন্তব্য করে কিশোরগঞ্জের সন্তান রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের রোল মডেলেও হাওড় অঞ্চল রয়েছে।’
স্থানীয় সাংসদ রেজওয়ান আহাম্মেদ তৌফিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন মোস্তফা আরিফ খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মো. আফজল হোসেন এমপি, মো. সোহরাব উদ্দিন এমপি। এ সময় মেজর জেনারেল মো. সারোয়ার হোসেন, সচিব সম্পদ বড়ুয়া, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. জিল্লুর রহমানসহ সামরিক, বেসামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিকেল সাড়ে তিনটায় রাষ্ট্রপতি অষ্টগ্রাম খেলার মাঠে সুধী সমাবেশে যোগ দেন। এর আগে রোববার (১২ মার্চ) দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে রাষ্ট্রপতি হেলিকপ্টারে করে জন্মস্থান মিঠামইনে আসেন। এরপর তিনি রিকশায় চড়ে মিঠামইন উপজেলা সদরের বাজার ও বাজারের বিভিন্ন স্থাপনা ঘুরে দেখেন।
কাল বুধবার সকালে অষ্টগ্রামে বিভিন্ন উন্নয়নকাজ পরির্দশন করে বেলা সাড়ে ১১টায় অষ্টগ্রাম হেলিপ্যাড থেকে হেলিকপ্টারে করে বঙ্গভবনের উদ্দেশে রওনা হবেন রাষ্ট্রপতি।