ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে তল্লাশির সময় পুলিশের ওপর বোমা হামলায় আটক দুইজনের জঙ্গি সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছে পুলিশ। তারা দুইজনই জেএমবি সদস্য। হত্যার উদ্দেশ্যেই পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয়েছিল। তবে সৌভাগ্যক্রমে এতে পুলিশের কেউ হতাহত হননি।
কুমিল্লা জেলা হাইওয়ে পুলিশ জানায়, আটক দুইজনের একজন জসিম আরেকজন হাসান। এর মধ্যে জসিম গুলিবিদ্ধ হন।
আটক হাসানের বাড়ি চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার শান্তিরহাট গ্রামে। আর গুলিবিদ্ধ জসিমের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি। তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
হাইওয়ে পুলিশ ইলিয়টগঞ্জ ফাঁড়ির ইনচার্জ (এস.আই) মনিরুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, বেলা সোয়া ১১টায় সন্দেহজনক গতির কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুটুম্বপুর এলাকায় শ্যামলী পরিবহনের একটি বাস পুলিশ ধাওয়া করে আটক করে। তল্লাশি চালাতে গেলে যাত্রীবেশী দুই জেএমবি সদস্য ‘আল্লাহু আকবার’ ধ্বনি দিয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা ছুড়ে। এ সময় আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়ে। প্রায় ২০ মিনিটের প্রচেষ্টায় ২৪ রাউন্ড গুলি ছুড়ে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় তাদের আটক করা হয়। এ সময় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় জসিমকে ও হাসান নামে আরেক জেএমবি সদস্যকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে চারটি বোমা ও একটি ধারালো ছুরি জব্দ করা হয়।
হাইওয়ে পুলিশের সার্জেন্ট কামাল হোসেন জানান, গুলিবিদ্ধ জেএমবি সদস্য জসিম জেলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আর হাসান পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন।
হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা অঞ্চল সুপার রেজাউল করিম, জেলা পুলিশ সুপার শাহ্ মো. আবিদ হোসেন জানান, প্রথমে আমরা দুর্বৃত্ত হিসেবে উল্লেখ করলেও পরবর্তী সময়ে তদন্ত করে জানা যায় ওই দুই যুবক জেএমবির সদস্য। তারা জানান, আটক দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাদের কাছ থেকে আরও তথ্য পাওয়া যাবে বলে আশা করছে পুলিশ।