মনুষ্যসৃষ্ট দুর্ভিক্ষে খাদ্যের অভাবে প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছে গেছে দক্ষিণ সুদানের হাজার হাজার মানুষ। খাবার না পেয়ে পানি থেকে শাপলা তুলে ক্ষুধা নিবারণের চেষ্টা চালাচ্ছে। তাই জরুরি ভিত্তিতে এ অঞ্চলে খাদ্য সহায়তা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ত্রাণকর্মীরা।
তেল ক্ষেত্রের সাবেক নিরাপত্তা কর্মকর্তা ৪৫ বছর বয়সী বোল মোল তার পরিবারকে বাঁচিয়ে রাখতে লড়াই করে যাচ্ছে। কয়েক মাস হলো তিনি কাছের নদী ও জলাশয় থেকে মাছ শিকার করছেন। আর অন্যদিকে তার তিন স্ত্রী খাবারের জন্য পানি থেকে শাপলা তুলে আনছে। যদি ভাগ্য ভালো হয়ে যায় তাহলে দিনে একবার খেতে পারেন। “জীবন এখন বৃথা মনে হয়” বলেন মোল।
লিয়ার কাউন্টির থনইয়োর গ্রামে খাবারের আশায় অন্যান্য হাজারো মানুষের সঙ্গে পথ চলার লাঠিটি হাতে নিয়ে তাকেও সূর্যের প্রখর রোদের নিচে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এদিকে খাদ্য সহায়তা দেওয়ার আগে গ্রামে একটি নিবন্ধন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করতে বিদ্রোহী বাহিনী ও সরকারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চালিয়েছে ত্রাণ সংস্থাগুলো। গত এক সপ্তাহ আগে দেশটির কিছু অংশে জাতিসংঘ দুর্ভিক্ষপীড়িত অঞ্চল বলে ঘোষণা করে।
কিন্তু ১ লাখ মানুষের খাদ্যাভাব জলবায়ু পরিবর্তনের কোন প্রভাব নয়। বরং তিন বছরের বেশি সময় দেশটিতে যে দাঙ্গা-হাঙ্গামা চলেছে তারই ফল। এসময় কৃষিখাত, খাদ্য মজুদ ব্যবস্থা পুরোপুরি ব্যাহত হয়। এছাড়া হামলার ফলে লোকজন বাঁচার তাগিদে অন্যত্র পালিয়ে যায়। তাছাড়া খাদ্য সরবরাহ ইচ্ছাকৃতভাবে বন্ধ করা ও ত্রাণকর্মীদের ওপর অবরোধ আরোপ করার ফলে এমন পরিস্থিতির উদ্ভব হয়।