অবশেষে সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আকাতার মিতরু সিম উদ্ধার হয়েছে।
মঙ্গলবার ভোলার লালমোহন উপজেলার চরাঞ্চলের এক বাসিন্দার কাছ থেকে সিমটি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে যে ব্যক্তির কাছ থেকে সিমটি পেয়েছে পুলিশ, তার পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারেননি পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার মো.কামরুজ্জামান জানান, যে ব্যক্তির কাছ থেকে সিমটি উদ্ধার করা হয়েছে, সে মিতুর হত্যাকাণ্ডের সময় চট্টগ্রাম শহরে রিক্সা চালাত। মিতু হত্যাকাণ্ডের পর বাকলিয়ায় রিক্সা চালানোর সময় সে সিমটি খুঁজে পেয়েছিল। সিম ব্যবহার করে ঐ ব্যক্তি বিভিন্নজনের সাথে ফোনে কথা বলেছে। লোকটি নিতান্তই দিনমজুর নিশ্চিত হয়ে লোকটিকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সিমটি ফেরত নিয়ে আসা হয়েছে।
তবে তাকে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি তদন্ত কর্মকর্তা জানালেও সে ব্যক্তিটি সম্পর্কে বেশি কিছু জানেন না বলে তিনি জানান।
কিন্তু সিমটি নিয়ে মিতুর বাবা-মায়ের কাছে ছিল ভিন্নরকম তথ্য। গত ২৬ জানুয়ারি তদন্তকারী কর্মকর্তার তলবে হাজির হয়েছিলেন মিতুর বাবা-মা। এসময় মিতুর বাবা-মা উভয়ই মোবাইলটি সচল থাকার কথা বলেছিলেন।
মিতুর মা সাহেদা মোশাররফ বলেছিলেন, মিতুর নম্বরে আমি কথা বলছি। ওই লোকটা বলছে আমি সিএনজি চালক। হাতিরঝিলে মোবাইলের সিম পেয়েছে। মগবাজারে থাকি। মাঝে মাঝে সে মিসকল দেয়। আমি কল করলে কথা বলে। আবার মাঝে মাঝে কেটে দেয়। সে সিএনজি চালক বলে নিজেকে পরিচয় দিয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে মিতুর বাবা মোশরাররফ হোসেনের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সিমটিই ছিল মিতু হত্যা রহস্য উদঘাটনের মূল বিষয়। কারণ ঐ সিমে ম্যাসেজ দিয়ে মিতুকে আগে বাসা থেকে বের করা হয়েছে। এতোদিন সিমটা সচল ছিল।
তিনি আরো বলেন, ৩ থেকে ৪দিন আগেও এ নম্বরে ফোন করে তিনি দেখেছেন, ফোনটি সচল। কিন্তু তিনি কথা বলেননি। সিমটি পাওয়া গেলে যার কাছে সিমটি পাওয়া গেলো, তার সম্পর্কে পুলিশ কেন বেশি কিছু জানতে পারলো না , তা তদন্ত কর্মকর্তাই বলতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৫ জুন সকালে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় নগরীর ও আর নিজাম রোডে দুর্বৃত্তদের উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত ও গুলিতে নিহত হন সদর দপ্তরে কর্মরত তৎকালীন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। এ ঘটনায় বাবুল আক্তার নিজে বাদি হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।