ঢাকা ০৬:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এমআইটির সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী আইসিটি ডিভিশন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৫৪:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০১৭
  • ৩১৪ বার

বিশ্ববিখ্যাত তথ্যপ্রযুক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) সঙ্গে অভিনব প্রযুক্তিতে(ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি) কাজ করতে আগ্রহী বাংলাদেশ। শনিবার রাজধানীর বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলে আয়োজিত “ইনোভেশন এন্ড অন্ট্রাপ্রেনিওরশীপ ইন ডিজিটাল এজ” শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এ কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এমআইটি বিশ্বব্যাপী ডিজিটাল বিপ্লব ও গবেষণায় অন্যতম একটি প্রতিষ্ঠান। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ডিপ লার্নিং, বিগ ডেটা, ইন্টারনেট অব থিংসসহ অভিনব প্রযুক্তিতে এমআইটি’র দারুণ সব গবেষণা কার্যক্রম পুরো পৃথিবীর চিত্র বদলে দিচ্ছে। আমাদের সরকারও ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ বিনির্মাণে অনন্য সব প্রযুক্তির সমাবেশ ঘটাতে চায়। তাই, আমাদের অভিনব প্রযুক্তিতে কাজ করতে হবে এবং আমরা এমআইটি’র সাথে কার্যকর ও টেকসই অংশীদারিতে মাধ্যমে যৌথ গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করতে আগ্রহী।

প্রতিমন্ত্রী এ সময় বিগত ৮ বছরে তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে সরকার কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রম উল্লেখপূর্বক আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, উদ্ভাবনে সফলতা আনয়ন, উদ্যোক্তা সৃষ্টি এবং ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে আমাদেরে সরকার ইনোভেশন ডিজাইন এন্ড অন্ট্রাপ্রেনিওরশীপ একাডেমী(আইডিয়া) শীর্ষক এক অনন্য প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এই প্রকল্প গবেষণা ও উদ্ভাবনে শিল্প-শিক্ষার্থী-শিক্ষক-সরকারের সাথে সমন্বয়ের পাশাপাশি উদ্ভাবনী কার্যক্রমী প্রণোদনা সৃষ্টি করবে এবং দেশে একটি বৈশ্বিক স্টার্ট-আপ কালচার সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখবে।

এমআইটি’র কানেকশন সায়েন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডেভিড এম শয়ার ডিজিটাল অর্থনীতির ন্যায্য হিস্যা বুঝে নিতে বাংলাদেশের করণীয়, সুযোগ ও সম্ভাবনা উল্লেখ করে বলেন, ডিজিটাল অর্থনীতির সম্মানজনক অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগ প্রশংসনীয়।

ইউরোপীয় কমিশনকে উদ্ভাবনে বাণিজ্যিকীকরণে উপদেশ প্রদানকারী এমআইটি’র এই বক্তা পরে এক প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন। উদ্ভাবন মডেলগুলোর সফলতার হার কম কেন এবং আমাদের দেশে একটি সফল উদ্ভাবন ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে এমআইটি কোন ধরণের সহযোগিতা করতে পারে’ এই প্রশ্নের জবাবে ডেভিড বলেন, উদ্ভাবনে সফলতা আসার নিশ্চয়তা দিয়ে কোন উদ্ভাবন হয়।

তিনি টমাস আলভা এডিসনের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, টমাস ১০ হাজার বার প্রচেষ্টার পর পৃথিবী বদলে দেয়া একটি সফল উদ্ভাবন ‘বিদ্যুৎ’ আবিষ্কার করতে পেরেছিলেন। ঝুঁকি না নিয়ে, উদ্ভাবন হয় না। কেউ যদি ২/৩টি গেম চেঞ্জিং প্রকল্প/উদ্যোগ নিতে চায়, তবে তাকে অবশ্যই ১০ হাজার উদ্ভাবন/উদ্যোগ নিয়ে কাজ করতে হবে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর শিকদারের সভাপতিত্বে, অতিরিক্ত সচিব হারুনুর রশিদ, অতিরিক্ত সচিব পার্থ প্রতিম দেব, অতিরিক্ত সচিব সুশান্ত কুমার সাহা, আইসিটি ডিভিশনের চীফ স্ট্রাটেজিক অফিসার জামিল আজহারসহ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এবং দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাত সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িক নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

এমআইটির সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী আইসিটি ডিভিশন

আপডেট টাইম : ১১:৫৪:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০১৭

বিশ্ববিখ্যাত তথ্যপ্রযুক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) সঙ্গে অভিনব প্রযুক্তিতে(ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি) কাজ করতে আগ্রহী বাংলাদেশ। শনিবার রাজধানীর বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলে আয়োজিত “ইনোভেশন এন্ড অন্ট্রাপ্রেনিওরশীপ ইন ডিজিটাল এজ” শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এ কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এমআইটি বিশ্বব্যাপী ডিজিটাল বিপ্লব ও গবেষণায় অন্যতম একটি প্রতিষ্ঠান। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ডিপ লার্নিং, বিগ ডেটা, ইন্টারনেট অব থিংসসহ অভিনব প্রযুক্তিতে এমআইটি’র দারুণ সব গবেষণা কার্যক্রম পুরো পৃথিবীর চিত্র বদলে দিচ্ছে। আমাদের সরকারও ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ বিনির্মাণে অনন্য সব প্রযুক্তির সমাবেশ ঘটাতে চায়। তাই, আমাদের অভিনব প্রযুক্তিতে কাজ করতে হবে এবং আমরা এমআইটি’র সাথে কার্যকর ও টেকসই অংশীদারিতে মাধ্যমে যৌথ গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করতে আগ্রহী।

প্রতিমন্ত্রী এ সময় বিগত ৮ বছরে তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে সরকার কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রম উল্লেখপূর্বক আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, উদ্ভাবনে সফলতা আনয়ন, উদ্যোক্তা সৃষ্টি এবং ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে আমাদেরে সরকার ইনোভেশন ডিজাইন এন্ড অন্ট্রাপ্রেনিওরশীপ একাডেমী(আইডিয়া) শীর্ষক এক অনন্য প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এই প্রকল্প গবেষণা ও উদ্ভাবনে শিল্প-শিক্ষার্থী-শিক্ষক-সরকারের সাথে সমন্বয়ের পাশাপাশি উদ্ভাবনী কার্যক্রমী প্রণোদনা সৃষ্টি করবে এবং দেশে একটি বৈশ্বিক স্টার্ট-আপ কালচার সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখবে।

এমআইটি’র কানেকশন সায়েন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডেভিড এম শয়ার ডিজিটাল অর্থনীতির ন্যায্য হিস্যা বুঝে নিতে বাংলাদেশের করণীয়, সুযোগ ও সম্ভাবনা উল্লেখ করে বলেন, ডিজিটাল অর্থনীতির সম্মানজনক অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগ প্রশংসনীয়।

ইউরোপীয় কমিশনকে উদ্ভাবনে বাণিজ্যিকীকরণে উপদেশ প্রদানকারী এমআইটি’র এই বক্তা পরে এক প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন। উদ্ভাবন মডেলগুলোর সফলতার হার কম কেন এবং আমাদের দেশে একটি সফল উদ্ভাবন ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে এমআইটি কোন ধরণের সহযোগিতা করতে পারে’ এই প্রশ্নের জবাবে ডেভিড বলেন, উদ্ভাবনে সফলতা আসার নিশ্চয়তা দিয়ে কোন উদ্ভাবন হয়।

তিনি টমাস আলভা এডিসনের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, টমাস ১০ হাজার বার প্রচেষ্টার পর পৃথিবী বদলে দেয়া একটি সফল উদ্ভাবন ‘বিদ্যুৎ’ আবিষ্কার করতে পেরেছিলেন। ঝুঁকি না নিয়ে, উদ্ভাবন হয় না। কেউ যদি ২/৩টি গেম চেঞ্জিং প্রকল্প/উদ্যোগ নিতে চায়, তবে তাকে অবশ্যই ১০ হাজার উদ্ভাবন/উদ্যোগ নিয়ে কাজ করতে হবে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর শিকদারের সভাপতিত্বে, অতিরিক্ত সচিব হারুনুর রশিদ, অতিরিক্ত সচিব পার্থ প্রতিম দেব, অতিরিক্ত সচিব সুশান্ত কুমার সাহা, আইসিটি ডিভিশনের চীফ স্ট্রাটেজিক অফিসার জামিল আজহারসহ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এবং দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাত সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িক নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।