শুধু ধূমপান নয়, বিভিন্ন দূষণ থেকেও ফুসফুসের ক্যান্সার হতে পারে। তবে ধূমপান ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়। কেবল ধূমপায়ী নয়, ধূমপানের সময় ধূমপায়ীর কাছাকাছি থাকলেও এ সমস্যা হতে পারে। কিছু পদক্ষেপ নিলে ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমানো সম্ভব। ধূমপান ফুসফুস ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। ধূমপায়ীরা অধূমপায়ীদের চেয়ে অনেক বেশি ঝুঁকিতে থাকেন।
আরেকটি ঝুঁকি হলো দূষণের মধ্যে থাকা। আপনি যদি এমন এলাকায় থাকেন, যেখানকার বাতাস খুব দূষিত, তাহলে ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়তে পারে। ফুসফুসের ক্যান্সারের আরেকটি বড় বিষয় হলো পারিবারিক ইতিহাস। আপনার পরিবারের কেউ যদি ফুসফুসের ক্যান্সারে ভুগে থাকেন, তাহলে আপনারও ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা আছে।
তাহলে কী করলে ঝুঁকি কমতে পারে? প্রথমেই আসে নিয়মিত ব্যায়ামের কথা। নিয়মিত ব্যায়াম ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি ১৫ শতাংশ কমায়। নিয়মিত গ্রিন টি পান ফুসফুস ক্যান্সারের ঝুঁকি শতকরা ১৭ থেকে ১৮ ভাগ কমায়। কাঁচা রসুন খাওয়া ফুসফুসের ক্যান্সার প্রতিরোধে কাজ করে। যারা সপ্তাহে তিন দিন কাঁচা রসুন খান, তাদের ঝুঁকি ৪২ শতাংশ কমে যায়। এমনকি আপনি যদি ধূমপায়ীও হন, তবুও কাঁচা রসুন খেলে ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ২৯ শতাংশ কমবে। গবেষণায় বলা হয়, অ্যালক্যালাইন (রসুনে পাওয়া যায়) ফুসফুস, কোলন ও লিভারের ক্যান্সার প্রতিরোধেও লড়াই করে। কাঁচা রসুন কুচি করে বা থেঁতলে নিন। এরপর দুই মিনিট এভাবে রাখুন। তারপর খান। বিশেষজ্ঞরা বলেন, এভাবে খেলে কাঁচা রসুন ভালোভাবে শরীরের জন্য কাজ করে। -বোল্ডস্কাই।